সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকার নিম্ন আদালতে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটি (সিআরইউ)।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সংগঠনটির সভাপতি লিটন মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক মামুন খান এক যৌথ বিবৃতিতে হামলার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

তারা বলেন, “পাবনার ঈশ্বরদীতে ১৯৯৪ সালে শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে গুলি ও বোমা হামলার মামলায় দণ্ডিতদের খালাসের রায় নিয়ে ব্রিফিংয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন কর্মরত সাংবাদিকেরা। এ সময় ঈশ্বরদী থেকে আগত কয়েকজন উশৃঙ্খল ব্যক্তি সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় আহত বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজের সাংবাদিক জাবেদ আখতারকে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”

নেতারা বলেন, “পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে উচ্চ আদালতের মতো সুরক্ষিত এলাকায় এ ধরনের হামলার ঘটনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক সাংবাদিকদের নির্ভয়ে দায়িত্ব পালনের আহ্বানের স্পিরিট ও উচ্চ আদালতের ভাবমূর্তিকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করেছে। হামলার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাই। একইসঙ্গে হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকার ও সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ করছি।”

ঢাকা/মামুন/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বাঁশখালীর সংরক্ষিত বনে নির্মমভাবে বন্যহাতি হত্যা

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলে একটি হাতি নির্মম মৃত্যুর শিকার হয়েছে। হাতিটির বয়স আনুমানিক সাত বছর। এটির পিঠে গভীর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। হাতিটির দাঁত ও নখ কেটে নিয়ে গেছে কে বা কারা।

দাঁত কেটে নেওয়ার সময় ক্ষতবিক্ষত হাতিটির শুঁড়ও উপড়ে ফেলা হয়েছে। গতকাল বুধবার  উপজেলার জলদী রেঞ্জের পাইরাং বিটের আওতাধীন মনুমার ঝিরি এলাকায় গহিন বনের ভেতর এমন প্রাণহীন হাতিটির সন্ধান মিলেছে। বন বিভাগের কর্মকর্তাদের ধারণা, ফাঁদ পেতে হাতিটিকে আটকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলা হয়েছে।

স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মীরা গিয়ে মৃত হাতিটিকে হেফাজতে নেয়। পরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (দক্ষিণ) আবদুল্লাহ আল মামুন হাতিটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন।

ময়নাতদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গভীরভাবে আঘাত করে হাতিটিকে মারা হয়েছে। ফাঁদ পেতে দুয়েক দিন আগেই হাতিটিকে আটকে মারা হয়েছে বলে আমাদের ধারণা। সম্ভবত হাতিটি দলছুট হয়ে গিয়েছিল। এ কারণে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কোনো একটি চক্র হাতিটিকে ফাঁদে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। এ ঘটনায় আদালতে মামলা করা হবে। হাতিটিকে বনের ভেতরেই মাটিচাপা দেওয়া হবে। ব

ন কর্মকর্তাদের ধারণা, দাঁত ও নখ পাচারের উদ্দেশ্যে হাতিটিকে মেরে ফেলা হয়েছে। এর সঙ্গে সংঘবদ্ধ পাচারকারী চক্র জড়িত। ঘটনাটির খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান কর্মকর্তারা। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ