মাদারীপুরের কুমার নদে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয়েছে ভাই ও বোন। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে মাদারীপুর সদর উপজেলার তরমুগরিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের লিডার লিয়াকত হোসেন।
নিখোঁজ দুই শিশু হলো- তরমুগরিয়া এলাকার লিটন মাতুব্বরের মেয়ে কুলসুম আক্তার (১১) ও ছেলে মিনহাজ (৭)। তারা স্থানীয় একটি মাদরাসার শিক্ষার্থী ছিল।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর শহরের তরমুগরিয়া এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকেন লিটন মাতুব্বর ও মিনু বেগম দম্পতি। তাদের তিন মেয়ে ও এক ছেলে। প্রতিদিনের মতো লিটন মাতুব্বর ভাঙ্গারী পণ্য বেচাকেনার জন্য বাসার বাইরে যান। মা কাজে ব্যস্ত থাকার সুযোগে কুমার নদে গোসল করতে যায় ভাই-বোন। এরপর থেকে তারা নিখোঁজ ছিল। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরির দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে।
আরো পড়ুন:
বিদ্যালয়ে আগুনে পুড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু, ৮ শিক্ষক বরখাস্ত
গুলিতে আহত অন্তঃস্বত্ত্বা জন্ম দিলেন ছেলে সন্তান
নিখোঁজদের মা মিনু বেগম বলেন, “আমাকে না বলেই ওরা নদীতে গোসলে যায়। আশেপাশের লোকজন ওদের ডুবে যেতে দেখেছে। ডুবুরিরা তাদের খুঁজছে। আল্লাহর কাছে দোয়া করছি, যেন ওরা জীবিত উদ্ধার হয়।”
মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের লিডার লিয়াকত হোসেন বলেন, “ভাই-বোনকে উদ্ধারে ডুবুরি দল উদ্ধারে কাজ করছে। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।”
ঢাকা/বেলাল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় হাসপাতালে মিসাইল ছুড়েছে ইসরায়েল, আইসিইউ ও অস্ত্রোপচার বিভাগ ধ্বংস
ফিলিস্তিনের গাজা সিটির প্রধান আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে মিসাইল হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। অনলাইনে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে, হাসপাতালের দোতলা ভবনে মিসাইল ছোড়ার পর সেখান থেকে আগুনের বিশাল কুণ্ডলি ছড়িয়ে পড়ছে।
এতে হাসপাতালটির আইসিইউ এবং অস্ত্রোপচার বিভাগ ধ্বংস হয়ে গেছে। ওই সময় হাসপাতালের বিছানায় থাকা বেশ কয়েকজন রোগী দ্রুত সরে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন। সূত্র: বিবিসি
হামাস এই হামলাকে ‘ভয়াবহ অপরাধ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক চিকিৎসকে ফোন করে জানায়, তারা হাসপাতালে হামলা চালাবে। তাই দ্রুত হাসপাতালের সবাইকে সরিয়ে নিতে হবে।
স্থানীয় ওই সাংবাদিক আরও জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের কাছে ফোন করেন, হুমকি দিয়ে বলেন, সব রোগী এবং বাস্তুচ্যুত মানুষকে অবশ্যই নিরাপদ স্থানে সরে যেতে হবে। আপনাদের হাতে আছে মাত্র ২০ মিনিট।
সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, রাতের বেলা রোগীরাও হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া হাসপাতালের সামনে যেসব নারী ও শিশু আশ্রয় নিয়েছিলেন তারাও সরে যান।
দখলদার ইসরায়েল গাজা সিটির সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। এরপর আল-আহলি হাসপাতালটি সেখানকার প্রধান হাসপাতালে পরিণত হয়। রোববার রাতে এই হাসপাতালটিতেও হামলা চালিয়েছে তারা। এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরে একই হাসপাতালে হামলা চালিয়ে কয়েকশ মানুষকে হত্যা করেছিল দখলদার ইসরায়েল।