জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ও হত্যা চেষ্টা মামলায় চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের সাবেক সহ-সভাপতি জাবেদ আবছার চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। খুলশী থানার ওসি মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর জাকির হোসেন রোডস্থ চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতালের একটি কক্ষ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

আরো পড়ুন:

যশোরে আ.

লীগ-ছাত্রলীগের ২ কর্মী আটক

লিফলেট বিতরণে বাধা দেওয়ায় আ.লীগের হামলা, গ্রেপ্তার ২

খুলশী থানার ওসি মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও হত্যা চেষ্টা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে জাবেদ আবছার চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত জাবেদ আবছার চৌধুরী আওয়ামী সমর্থিত বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সহ-সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক চর্চা ও শিশু-কিশোর সংগঠনের উপদেষ্টা।

খুলশী থানা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২০ জুলাই বিকেল ৪টার দিকে খুলশী থানাধীন গরীবুল্লাহ শাহ হাউজিং সোসাইটির গেইটের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবক দলের খুলশী থানা আহ্বায়ক মো. আলম রায়হান আলমের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় দুষ্কুতকারীরা। গত বছরের ২৬ আগস্ট খুলশী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রায়হান আলম বাদী হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধরের অভিযোগ করা মামলা করেন। 

মামলার আসামিরা হলেন- মো. দিদার (৫৫), কাউছার উজ জামান (৫৬), কাজী হারুনুর রশিদ (৫২), সমির বাবু (৪৫), মো. বাবুল (৪৪), মো. আলম যে সি.সি.এল আলম (৫০), মো. জানা উল্লাহ (৫০),  মো. এনায়েত উল্লাহ ও টেক্সবার এনায়েত (৫২), রবিউল হোসেন বাবু (৩৫), মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) এবং নাম না জানা ৪০-৫০ জন।

আলম রায়হান জানান, এজহারে উল্লেখিত ১-১০ নম্বর আসামিসহ নাম না জানা ৪০/৫০ জন দুষ্কৃতকারী আমাকে মারধর শুরু করে। এ সময়ে ২ ও ৩ নম্বর আসামি তাদের হাতে থাকা অগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ফাঁকা গুলি করে এলাকায় ত্রাস ও আতঙ্কের সৃষ্টি করে। মারধরের একপর্যায়ে আসামিরা হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশে আমার হাত, মুখ, চোখ, কাপড় দিয়ে বেঁধে ফেলে এবং আজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। সেখানেও আমাকে প্রচুর মারধর করা হয়। পরে আমাকে ফেলে চলে যায় তারা।

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের মাতাল বিমানযাত্রী সহযাত্রীর সঙ্গে যে আচরণ করলেন

এয়ার ইন্ডিয়ার এক যাত্রীর বিরুদ্ধে আরেক সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার দিল্লি থেকে ব্যাংককে যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে। এর আগেও ভারতের যাত্রীদের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা এটিই প্রথম নয়। তাঁরা একাধিকবার এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। গতকালের ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়া ও ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো অভিযোগের ঘটনা খতিয়ে দেখবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।

এয়ার ইন্ডিয়ার যে ফ্লাইটে সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করার ঘটনা ঘটেছে, সেটার নম্বর এআই২৩৩৬। ভুক্তভোগী যাত্রীর অভিযোগের পর উড়োজাহাজের ক্রুরা ওই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেন।

এক বিবৃতিতে এয়ার ইন্ডিয়া ওই ঘটনাকে ‘উচ্ছৃঙ্খল আচরণ’ বলে মন্তব্য করেছে। এ ঘটনার কথা বেসামরিক বিমান চলাচল অধিদপ্তরকে (ডিজিসিএ) জানিয়েছে তারা এবং অভিযোগ খতিয়ে দেখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

এয়ার ইন্ডিয়া আরও জানিয়েছে, তাদের ক্রুরা যাত্রীদের কাছে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করছেন। পাশাপাশি ভুক্তভোগী যাত্রীকে ব্যাংককে নামার পর স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে অনুরোধ করেছেন। তবে ভুক্তভোগী যাত্রী প্রাথমিকভাবে ব্যাংককে অভিযোগ করবেন না বলে জানিয়েছেন।

ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী কে রামমোহন নাইডু বলেছেন, ‘যদি কোনো অন্যায় করা হয়ে থাকে, আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’ তাঁর মন্ত্রণালয় বিষয়টি তদন্ত করবে এবং ফ্লাইট পরিচালনা কর্তৃপক্ষগুলোর সঙ্গে কথা বলবে।

ঘটনা খতিয়ে দেখতে এয়ার ইন্ডিয়া একটি স্বাধীন কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। কমিটি ঘটনা যাচাই করে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানাবে।

এর আগে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে আর্য ভোহরা নামের এক ভারতীয় শিক্ষার্থী একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করেছিলেন। এই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারলাইনস তাঁকে নিষিদ্ধ করে। আর্য ভোহরা যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।

ওই ঘটনার কয়েক মাস পর ২০২৪ সালের নভেম্বরে একই ধরনের আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল। তখন শংকর মিশ্র নামের এয়ার ইন্ডিয়ার এক যাত্রী মাতাল অবস্থায় এক বয়স্ক নারী সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করে দিয়েছিলেন। এই ঘটনায় বেশ সমালোচনা হয়েছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ