ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে জাবেদ আবছার গ্রেপ্তার
Published: 5th, February 2025 GMT
জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ও হত্যা চেষ্টা মামলায় চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের সাবেক সহ-সভাপতি জাবেদ আবছার চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। খুলশী থানার ওসি মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর জাকির হোসেন রোডস্থ চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতালের একটি কক্ষ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরো পড়ুন:
যশোরে আ.
লিফলেট বিতরণে বাধা দেওয়ায় আ.লীগের হামলা, গ্রেপ্তার ২
খুলশী থানার ওসি মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও হত্যা চেষ্টা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে জাবেদ আবছার চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত জাবেদ আবছার চৌধুরী আওয়ামী সমর্থিত বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সহ-সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক চর্চা ও শিশু-কিশোর সংগঠনের উপদেষ্টা।
খুলশী থানা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২০ জুলাই বিকেল ৪টার দিকে খুলশী থানাধীন গরীবুল্লাহ শাহ হাউজিং সোসাইটির গেইটের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবক দলের খুলশী থানা আহ্বায়ক মো. আলম রায়হান আলমের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় দুষ্কুতকারীরা। গত বছরের ২৬ আগস্ট খুলশী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রায়হান আলম বাদী হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধরের অভিযোগ করা মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- মো. দিদার (৫৫), কাউছার উজ জামান (৫৬), কাজী হারুনুর রশিদ (৫২), সমির বাবু (৪৫), মো. বাবুল (৪৪), মো. আলম যে সি.সি.এল আলম (৫০), মো. জানা উল্লাহ (৫০), মো. এনায়েত উল্লাহ ও টেক্সবার এনায়েত (৫২), রবিউল হোসেন বাবু (৩৫), মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) এবং নাম না জানা ৪০-৫০ জন।
আলম রায়হান জানান, এজহারে উল্লেখিত ১-১০ নম্বর আসামিসহ নাম না জানা ৪০/৫০ জন দুষ্কৃতকারী আমাকে মারধর শুরু করে। এ সময়ে ২ ও ৩ নম্বর আসামি তাদের হাতে থাকা অগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ফাঁকা গুলি করে এলাকায় ত্রাস ও আতঙ্কের সৃষ্টি করে। মারধরের একপর্যায়ে আসামিরা হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশে আমার হাত, মুখ, চোখ, কাপড় দিয়ে বেঁধে ফেলে এবং আজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। সেখানেও আমাকে প্রচুর মারধর করা হয়। পরে আমাকে ফেলে চলে যায় তারা।
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ ম রধর
এছাড়াও পড়ুন:
ধর্ষকদের গ্রেপ্তারের পর কী বিচার হয়? এফডিসিতে শিল্পীদের প্রশ্ন
দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের ঘটনায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ক্ষুব্ধ শিল্পীরাও। বিশেষ করে মাগুরার আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারকারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ধর্ষণের ঘটনায় আসামিদের দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছে শিল্পীরা। আজ সোমবার বিকেলে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন চলচ্চিত্রের শিল্পী ও কলাকুশলীরা। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির উদ্যোগে এই মানববন্ধনে বক্তব্য দেন অভিনেত্রী রোজিনা, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরসহ অনেকে।
চিত্রনায়িকা রোজিনা বলেন, ‘...ছোট একটি মেয়ে, তার সঙ্গে যে অন্যায় করা হয়েছে, এই কাজটি যারা করেছে, তারা মানুষ নয়। তারা মানুষ নামের ভয়ংকর পশু। আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই, তাদের জনসমক্ষে ফাঁসি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। আমরা দেখতে পাই, দেশে শিশু থেকে বৃদ্ধা—কেউই ধর্ষকদের হাত থেকে রেহাই পায় না। ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করার পর তাদের কী বিচার হয়? তাদের কী ধরনের বিচার হয় আমরা জানতে পারি না, তাদের ফাঁসি হয় কি না, তা–ও জানতে পারি না। আবার দেখা যায়, ধর্ষণকারীরা জামিনে বের হয়ে অবাধে চলাফেরা করে। ধর্ষকদের শাস্তি সংবিধানে থাকলেও তা আমরা বাস্তবায়ন হতে দেখি না। প্রকাশ্যে ফাঁসি না দিলে আমরা শান্ত হব না। এই প্রতিবাদ চালিয়ে যাব।’
ধর্ষণের ঘটনায় আসামিদের দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়ে আজ সোমবার বিকেলে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন চলচ্চিত্রের শিল্পী ও কলাকুশলীরা।