মায়ের বাধায় শহীদ আরাফাতের মরদেহ উত্তোলন বন্ধ
Published: 5th, February 2025 GMT
আদালতের নির্দেশে ছয় মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আরাফাতের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করতে গিয়ে শহীদের কবর জিয়ারত করে ফিরে এসেছে প্রশাসন। মায়ের কাকুতি মিনতির বাধায় লাশ উত্তোলন করেননি তারা।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মহারাজপুর ইউনিয়নের ছোট বনগ্রামে পারিবারিক কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলন করতে যায় প্রশাসন।
এ ঘটনায় শহীদের পরিবার ও স্থানীয়দের প্রশংসায় ভাসছেন কর্তব্যরত প্রসাশনের কর্মকর্তারা। গোপালগঞ্জ জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রবির বিশ্বাসের নেতৃত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (পিবিআই) কুদরত ই খুদা, মুকসুদপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা কামাল, ইন্সপেক্টর (পিবিআই) গোবিন্দ লাল, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রবির বিশ্বাস জানান, আদালতের নির্দেশে সঙ্গীয় পিবিআই ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার, মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নিয়ে শহীদ আরাফাতের মরদেহ উত্তোলন করতে গেলে তার মায়ের আর্তনাদে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ উত্তোলন বন্ধ করা হয়। পরে শহীদ আরাফাতের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে ঘটনাস্থল ত্যাগ করা হয়।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয় তিনি। আরাফাতের বাবা স্বপন মুন্সি পেশায় দিনমজুর। মা মায়া বেগম কাজ করেন একটি পোশাক কারখানায়। তারা ঢাকার আশুলিয়ায় থাকেন। অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আরাফাত সেখানেই বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়তেন।
ঢাকা/বাদল/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদা না পেয়ে গুলি ছুড়ে ২ ট্রলার ছিনতাই, থানায় অভিযোগ
ঢাকার সাভারে দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে যাত্রী পারাপারের দুটি ট্রলার ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাভার পৌর এলাকার কাতলাপুরে বংশী নদীর মিলন ঘাটে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে আজ বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার ওসি জুয়েল মিয়া।
সাভার পৌরসভা থেকে ইজারা নিয়ে স্থানীয় কামরুল ইসলাম এই ঘাটটি পরিচালনা আসছিলেন। ইজারাদার কামরুল ইসলামের ছেলে হেদায়েতুল্লাহ জানান, অন্তর খান, মোর্শেদ খানসহ আরও কয়েকজন আমার বাবার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। চাঁদা না দেওয়ায় তারা বাবাকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছিলেন। গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অন্তরসহ আরও কয়েকজন ঘাট এলাকায় এসে বাবার কাছে দাবি করা চাঁদার ৫ লাখ টাকা চান। টাকা না দেওয়ায় তারা বাবাকে মারধর করতে থাকেন। এ সময় বাবার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অন্তর তার হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এরপর অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে খেয়া পারাপারের ট্রলার দুটি নিয়ে যান।
হেদায়েতুল্লাহ জানান, ঘটনার পর তার বাবা অন্তরসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে সাভার থানায় অভিযোগ করেছেন।
অন্তর ও তার সহযোগীরা যুবদল ও ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। ঘটনার পর গা ঢাকা দেওয়ায় অভিযুক্ত কারও সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা সমকালকে বলেন, বুধবার বিকেলে মিলন ঘাটে ট্রলার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক যুবককে পিস্তল হাতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে গুলির ঘটনার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। পুলিশ কাজ করছে এবং তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।