মালয়েশিয়ায় আবারও সিন্ডিকেটের পাঁয়তারা করছে আমিন-স্বপন চক্র
Published: 5th, February 2025 GMT
মালয়েশিয়ার নাগরিক আমিন নূর ও তাঁর বাংলাদেশি অংশীদার রুহুল আমিন ওরফে স্বপনের সিন্ডিকেট দেশটিতে কর্মী পাঠাতে জনপ্রতি ১ লাখ ৭ হাজার টাকা করে চাঁদাবাজি করেছে। আবার যাতে সিন্ডিকেট তৈরি না হয়, সে জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি সিন্ডিকেটের মূল হোতা আমিন ও স্বপনের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
আজ বুধবার এসব দাবি জানিয়ে রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকদের সংগঠন বায়রার বেশ কয়েকজন নেতা প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে এই স্মারকলিপি দেন। এতে রিয়াজুল ইসলাম, নোমান চৌধুরী, খন্দকার আবু আশফাক, মো.
এর আগে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সামনে মানববন্ধন করে বায়রার একটি অংশ। সংগঠনটির নেতারা বলেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালু নিয়ে আবারও সিন্ডিকেট গঠনের পাঁয়তারা করছে আমিন-স্বপন চক্র।
বিদেশে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজতর ও খরচ কমাতে বিভিন্ন দাবিসংবলিত স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, সৌদি আরবের ক্ষেত্রে ২৪ জনের ভিসাকে একক পণ্য হিসেবে ধরে দূতাবাসের সত্যায়ন ছাড়াই বহির্গমন ছাড়পত্র দিতে হবে। আগে ২৫টি পর্যন্ত এ সুযোগ ছিল। বর্তমানে একের অধিক ভিসা হলেই তা সত্যায়নের নিয়ম করা হয়েছে।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, প্রতিবছর একটি সিন্ডিকেট উড়োজাহাজের টিকিট মজুত করে বেশ দামে বিক্রি করে। একেকটি টিকিট দ্বিগুণ বা তার চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করে এক শ্রেণির লোক আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছেন। অথচ দরিদ্র বিদেশগামী কর্মীরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েন। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি প্রবাসী কর্মীদের জন্য লেবার ফেয়ার চালুর দাবি জানান তাঁরা।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স বপন
এছাড়াও পড়ুন:
আশুলিয়ায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, ককটেল ফাটিয়ে স্বর্ণালংকার লুট
সাভারের আশুলিয়ায় দোকান বন্ধের সময় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতরা ককটেল ফাটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে ওই ব্যবসায়ীর স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে।
রোববার রাতে আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম দিলীপ কুমার দাস (৪৮)। সে আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের দুলাল দাসের ছেলে এবং নয়ারহাট বাজারের দিলীপ স্বর্ণালয়ের মালিক।
জানা যায়, ডাকাতদের হামলায় আহত ওই ব্যবসায়ীকে সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যান।
পুলিশ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানায়, স্বর্ণ ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার দাস রাতে দোকান বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় একদল ডাকাত দোকানে এসে দিলীপের হাতে থাকা স্বর্ণের ব্যাগ ধরে টান দেয় । এতে তিনি বাধা দিলে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে টাকার ব্যাগ ও সেখানে থাকা প্রায় ২৫ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতরা কয়েকটি ককটেল বোমা ফাটিয়ে বাজারে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ ঘটনার পর বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা সেখানে ছুটে এসে দিলীপ দাসকে দোকানের সামনে পড়ে থাকতে দেখে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে তিনি মারা যান।
নিহতের ফুপাতো ভাই খোকন সরকার বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে দোকান বন্ধ করে শাটার নামানোর সময় কয়েকজন ডাকাত তার হাতে থাকা ব্যাগ ধরে টান দেয়। কিন্তু দিলীপ ব্যাগ না ছাড়ায় চাপাতি দিয়ে তাকে কুপিয়ে স্বর্ণ এবং টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়।
নিহতের স্ত্রী সরস্বতী দাশ বলেন, আমার স্বামী প্রতিদিন ৯টার মধ্যে বাসায় আসতো। কিন্তু ওরা আর আমার স্বামীকে বাসায় আসতে দিল না। আমি এ হত্যার বিচার চাই।
সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মেরাজুর রেহান পাভেল জানান, আহত অবস্থায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বুকে বড় ক্ষত ছিল, গালের ডানে ক্ষত ছিল এবং পিঠেও ক্ষত ছিল। আমরা চিকিৎসা শুরু করেছিলাম, স্যালাইন এবং ওষুধ চলছিল, পরে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যেই তিনি মারা যান। আমরা ধারনা করছি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তিনি মারা গেছেন।
আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। দোষীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধারে আমাদের কার্যক্রম চলছে।