সোনার দাম বেড়ে ফের রেকর্ড, কাল থেকে কার্যকর
Published: 5th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
পাঁচদিনের মাথায় আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ২ হাজার ৯২৮ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৭ হাজার ৮১৮ টাকা নির্ধারণ করেছে সংস্থাটি। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিকে, বিশ্ববাজারেও রেকর্ড ছুঁয়েছে স্বর্ণের দাম। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক আউন্স স্বর্ণের দাম ছাড়িয়েছে ২ হাজার ৮৫০ ডলার।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ গত ১ ফেব্রুয়ারি দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ২ হাজার ৯৯ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯০ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। যা ছিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৮ হাজার ৫৪১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৭ হাজার ৪৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে।
এ নিয়ে চলতি বছর ৫ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে পাঁচ বারই। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।
বিএইচ
উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: ২২ ক য র ট র
এছাড়াও পড়ুন:
অনেকের মধ্যেও একাকীত্ব বোধ করছেন? ভালো থাকবেন যেভাবে
বিষণ্ণতা একটি মানসিক রোগ যা একজন ব্যক্তিকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে প্রভাবিত করে। যখনই কোনও ব্যক্তি খুব বেশি চিন্তা করতে শুরু করে বা তার জীবনে এমন কোনও ঘটনা ঘটে যা তাকে কষ্ট দেয়, তখনই সে হতাশায় পড়তে শুরু করে। এখনকার ব্যস্ত জীবনে একাকীত্ব একটি বড় মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে উঠছে। অনেক সময় এমন হয় আমরা অনেকের মধ্যে থেকেও সম্পূর্ণ একা এবং বিচ্ছিন্ন বোধ করি।
বিষণ্ণতায় ভুগলে একাকীত্ব, অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা, খাওয়ার ইচ্ছা না থাকা, উদ্বেগ এবং অনিদ্রার মতো অনেক লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এই অনুভূতিটি সময়মতো সনাক্ত না করা হয় এবং এটি মোকাবেলা করার জন্য ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে।
কেন আমরা অনেকের মধ্যে ও একাকীত্ব বোধ করি?
মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগের অভাব, আত্মবিশ্বাস, আত্মসম্মানবোধের অভাব এবং মানসিক দ্বন্দ্ব একাকীত্বের অনুভূতি বাড়ায়। যখন কারও মনে হয় কেউ তাকে বোঝে না বা তার অনুভূতিগুলি উপেক্ষা করছে তখন অনেকের মধ্যেও সে একাকী বোধ করতে শুরু করে।
বিশেষজ্ঞদের ভাষায়, একাকীত্ব বোধ করা স্বাভাবিক, কিন্তু যদি এই অনুভূতি দীর্ঘ সময় ধরে থাকে, তাহলে এটিকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। সামাজিক সংযোগ এবং আপনার অনুভূতির প্রকাশ মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
একাকীত্ব বোধ করলে কী করবেন-
নিজের অনুভূতিগুলি বুঝুন : প্রথম পদক্ষেপ হল আপনার অনুভূতিগুলিকে না এড়িয়ে স্বীকার করুন। নিজেকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুনম, ‘আমি কেমন বোধ করছি?’ এবং ‘কেন’? এমন বোধ করছি ইত্যাদি।
বিশ্বস্ত কারো সাথে কথা বলুন: বন্ধু, পরিবারের সদস্য, অথবা মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সাথে খোলামেলা কথা বলুন। অনেক সময় শেয়ারিং মন শান্ত করতে এবং সমাধান খুঁজে পেতে সাহায্য করতে পারে।
ইতিবাচক কার্যক্রমে যুক্ত হোন: শখ, খেলাধুলা, যোগব্যায়াম, সঙ্গীত বা নতুন দক্ষতা শেখার মতো কার্যক্রমে ব্যস্ত থাকুন। এসব কার্যক্রম মানসিক শক্তিকে সঠিক দিকে পরিচালিত করতে সাহায্য করে।
একটি স্বাস্থ্যকর রুটিন বজায় রাখুন: নিয়মিত ঘুম, সুষম খাবার খাওয়া এবং ব্যায়াম আপনার মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
পেশাদার কারও সাহায্য নিতে দ্বিধা করবেন না: যদি একাকীত্বের অনুভূতি দীর্ঘ সময় ধরে থাকে এবং দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করতে শুরু করে, তাহলে একজন কাউন্সিলর বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।