নারী ফুটবলারকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় মহিলা পরিষদের ক্ষোভ
Published: 5th, February 2025 GMT
বাংলাদেশের জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। আজ বুধবার এক বিবৃতিতে নারী ফুটবলারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, গভীর উদ্বেগের সঙ্গে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, দুবার সাফ শিরোপাজয়ী নারী ফুটবলারদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে। এমনকি কাউকে কাউকে হত্যা ও ধর্ষণেরও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। বাংলাদেশের এই নারী ফুটবলাররা আজ যখন দেশে-বিদেশে সুনামের সঙ্গে বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করছেন, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ের শিরোপা অর্জন করে দেশের সুনাম বয়ে আনছেন, তখন এ ধরনের পরিস্থিতি নারী ফুটবলারদের খেলার পরিবেশ বিঘ্নিত করে, যা ফুটবলারসহ কোনো নাগরিকের কাছেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মহিলা পরিষদ এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই সমস্যার দ্রুত সমাধানের দাবি জানাচ্ছে। একই সঙ্গে জাতীয় দলের ১৮ জন ফুটবলারসহ সব নারী ফুটবলারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সবার কাছে দাবি জানাচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ টবল র
এছাড়াও পড়ুন:
আশুলিয়ায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, ককটেল ফাটিয়ে স্বর্ণালংকার লুট
সাভারের আশুলিয়ায় দোকান বন্ধের সময় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতরা ককটেল ফাটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে ওই ব্যবসায়ীর স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে।
রোববার রাতে আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম দিলীপ কুমার দাস (৪৮)। সে আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের দুলাল দাসের ছেলে এবং নয়ারহাট বাজারের দিলীপ স্বর্ণালয়ের মালিক।
জানা যায়, ডাকাতদের হামলায় আহত ওই ব্যবসায়ীকে সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যান।
পুলিশ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানায়, স্বর্ণ ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার দাস রাতে দোকান বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় একদল ডাকাত দোকানে এসে দিলীপের হাতে থাকা স্বর্ণের ব্যাগ ধরে টান দেয় । এতে তিনি বাধা দিলে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে টাকার ব্যাগ ও সেখানে থাকা প্রায় ২৫ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতরা কয়েকটি ককটেল বোমা ফাটিয়ে বাজারে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ ঘটনার পর বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা সেখানে ছুটে এসে দিলীপ দাসকে দোকানের সামনে পড়ে থাকতে দেখে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে তিনি মারা যান।
নিহতের ফুপাতো ভাই খোকন সরকার বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে দোকান বন্ধ করে শাটার নামানোর সময় কয়েকজন ডাকাত তার হাতে থাকা ব্যাগ ধরে টান দেয়। কিন্তু দিলীপ ব্যাগ না ছাড়ায় চাপাতি দিয়ে তাকে কুপিয়ে স্বর্ণ এবং টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়।
নিহতের স্ত্রী সরস্বতী দাশ বলেন, আমার স্বামী প্রতিদিন ৯টার মধ্যে বাসায় আসতো। কিন্তু ওরা আর আমার স্বামীকে বাসায় আসতে দিল না। আমি এ হত্যার বিচার চাই।
সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মেরাজুর রেহান পাভেল জানান, আহত অবস্থায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বুকে বড় ক্ষত ছিল, গালের ডানে ক্ষত ছিল এবং পিঠেও ক্ষত ছিল। আমরা চিকিৎসা শুরু করেছিলাম, স্যালাইন এবং ওষুধ চলছিল, পরে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যেই তিনি মারা যান। আমরা ধারনা করছি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তিনি মারা গেছেন।
আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। দোষীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধারে আমাদের কার্যক্রম চলছে।