১০ হাজার টাকা চুক্তিতে ডুবে যাওয়া নৌকা উদ্ধার করতে গিয়ে আব্দুল মজিদ (৩৮) নামে এক মৎস্যজীবী যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বড়াল নদীতে নিখোঁজ ওই মৎস্যজীবীর মরদেহ উদ্ধার করেছে ডুবুরি দলের সদস্যরা।

এর আগে, একইদিন দুপুরে উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের চর-চিথুলিয়া গ্রামের রাউতারা স্লুইচ গেট এলাকা থেকে নিখোঁজ হন তিনি।

আরো পড়ুন:

ঝিনাইদহে ভোট দিতে গিয়ে ভোটারের মৃত্যু

ভূমধ্যসাগরে স্বপ্নের সমাধি গোপালগঞ্জের ৩ যুবকের

মারা যাওয়া আব্দুল মজিদ পোতাজিয়া ইউনিয়নের নুকালী গ্রামের মৃত হানিফ আলীর ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল আলীম বলেন, ‍“দুইদিন আগে ইটভাটার মাটিবাহী একটি নৌকা রাউতারা স্লুইচ গেট এলাকায় বড়াল নদীতে ডুবে যায়। স্থানীয় এক ডুবুরি ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন নৌকাটির মালিকের কাছে। এতে নৌকার মালিক রাজি না হলে আব্দুল মজিদ ১০ হাজার টাকা চুক্তিতে ডুবে যাওয়া নৌকা উদ্ধারের জন্য আজ দুপুরে নদীতে নামেন। নদীতে প্রথম ও দ্বিতীয় ডুব দিয়ে দুইটি রশি ডুবে যাওয়া নৌকায় বাঁধেন তিনি।” 

তিনি আরো বলেন, “নদীতে তৃতীয় ডুব দেওয়ার পর তিনি আর উঠে আসেননি। দীর্ঘ সময় আব্দুল মজিদ উঠে না আসায় নদীর ওপরে থাকা লোকজন তাকে খুঁজতে শুরু করেন। ব্যর্থ হয়ে তারা বাঘাবাড়ি নৌ ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। বাঘাবাড়ি নৌ ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম স্পিডবোড নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে হুকের সাহায্যে আব্দুল মজিদকে খুঁজতে শুরু করে। পরে রাজশাহীর ডুবুরি দলকে খবর দেন তারা।”

বাঘাবাড়ি নৌ ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার শাহদত হোসেন বলেন, “ঘটনাস্থলে পৌঁছে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে আব্দুল মজিদকে পাইনি। এ কারণে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেই উদ্ধার অভিযান শুরু করে। সন্ধ্যার পর নিখোঁজ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার  হয়েছে।”

শাহজাদপুর থানার ওসি আসলাম আলী বলেন, “রাজশাহী থেকে ডুবুরি দল এসে নিখোঁজ যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে। নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে আসছে।” 


ঢাকা/অদিত্য/মাসুদ

ঢাকা/অদিত্য/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সিরাজগঞ্জে ডাকাতের কবলে ৮ জামায়াত নেতা, টাকা-মোবাইল লুট

সিরাজগঞ্জে ডাকাতির শিকার হয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী শাখার নেতারা। অস্ত্রের মুখে এসময় ৮১ হাজার টাকা ও ৭টি মোবাইল লুট করেছে ডাকাতদল।

গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে সিরাজগঞ্জের যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়কের ঝাঔল এলাকায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় রাতেই সিরাজগঞ্জ যমুনা সেতুর পশ্চিম থানায় একটি ডাকাতির মামলা করেছেন জেলা জামায়াতের শিক্ষা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো: ওবায়দুল্লাহ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন- যমুনা সেতু পশ্চিম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত (ওসি) আনারুল ইসলাম।

ডাকাতির শিকার জেলা জামায়াতের অন্য নেতারা হলেন, জেলা জামায়াতের কর্ম পরিষদ সদস্য ⁠ফারুক মো. ইসমাইল আলম, গোদাগাড়ী উপজেলা জামায়াতের শিক্ষা বিষয়ক সদস্য ⁠গোলাম মোস্তফা, গোদাগাড়ী উপজেলা জামায়াতের শিক্ষা বিষয়ক সদস্য ⁠শওকত আলী, চারঘাট উপজেলা জামায়াতের শিক্ষা বিভাগের সদস্য ⁠আজম আলী ও ⁠আশেক আব্দুর রহমান, বাঘা উপজেলা জামায়াতের শিক্ষা বিষয়ক সদস্য ⁠আবু হানিফ, পুঠিয়া উপজেলা জামায়াতের শিক্ষা বিষয়ক সদস্য আব্দুল আজিজ।

জেলা জামায়াতের কর্ম পরিষদ সদস্য ডাকাতির শিকার ⁠ফারুক মো. ইসমাইল আলম বলেন, ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে আমাদের একটি সংবাদ সম্মেলন ছিল। সেটি করে আমরা একটি মাইক্রোবাসে ফিরছিলাম। রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিরাজগঞ্জ যমুনা সেতুর পশ্চিম থানা এলাকার ধান গবেষণাগারের সামনে গেলে ডাকাতরা ইট ছুড়ে মারে। কিন্তু আমাদের ড্রাইভার ভেবেছেন যে গাড়ির চাকা পাংচার হয়েছে। একারণে গাড়ি থামিয়ে চাকা দেখতে নামেন। এসময় ১০-১২ জন ডাকাত বড় বড় ছুরি ও হাসুয়া নিয়ে এসে আমাদের গলায় ধরে।

তিনি আরও বলেন, আমরা শুরুতেই বুঝতে পেরে তাদের বলেছি, কাউকে আঘাত করো না। তোমাদের যা প্রয়োজন নিয়ে যাও। এসময় তারা আমার কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকাসহ সবার কাছ থেকে মোট ৮১ হাজার টাকা, ৭টি মোবাইল নিয়ে নেয়। আমার মোবাইলটি গাড়ির সিটের পেছনে থাকায় সেটি রক্ষা পায়। যাওয়ার সময় তারা গাড়িতে রাখা দুটি ব্লেজার ছিল- সেগুলোও নিয়ে যায়।

তিনি জানান, ডাকাতদের বয়স ছিল ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। তাদের পরনে প্যান্ট শার্ট ছিল। একজন লুঙ্গি পরেছিল। এ ঘটনায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে যমুনা সেতুর পশ্চিম থানায় আমরা মামলা করেছি।

এ বিষয়ে যমুনা সেতুর পশ্চিম থানার ওসি আনারুল ইসলাম বলেন, ডাকাতদের পুলিশ আটক করতে পারেনি। পুলিশ তাদের চিহ্নিত করে আটক করার চেষ্টা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ