১০ হাজারে চুক্তি, নদীতে নেমে প্রাণ গেল যুবকের
Published: 5th, February 2025 GMT
১০ হাজার টাকা চুক্তিতে ডুবে যাওয়া নৌকা উদ্ধার করতে গিয়ে আব্দুল মজিদ (৩৮) নামে এক মৎস্যজীবী যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বড়াল নদীতে নিখোঁজ ওই মৎস্যজীবীর মরদেহ উদ্ধার করেছে ডুবুরি দলের সদস্যরা।
এর আগে, একইদিন দুপুরে উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের চর-চিথুলিয়া গ্রামের রাউতারা স্লুইচ গেট এলাকা থেকে নিখোঁজ হন তিনি।
আরো পড়ুন:
ঝিনাইদহে ভোট দিতে গিয়ে ভোটারের মৃত্যু
ভূমধ্যসাগরে স্বপ্নের সমাধি গোপালগঞ্জের ৩ যুবকের
মারা যাওয়া আব্দুল মজিদ পোতাজিয়া ইউনিয়নের নুকালী গ্রামের মৃত হানিফ আলীর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল আলীম বলেন, “দুইদিন আগে ইটভাটার মাটিবাহী একটি নৌকা রাউতারা স্লুইচ গেট এলাকায় বড়াল নদীতে ডুবে যায়। স্থানীয় এক ডুবুরি ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন নৌকাটির মালিকের কাছে। এতে নৌকার মালিক রাজি না হলে আব্দুল মজিদ ১০ হাজার টাকা চুক্তিতে ডুবে যাওয়া নৌকা উদ্ধারের জন্য আজ দুপুরে নদীতে নামেন। নদীতে প্রথম ও দ্বিতীয় ডুব দিয়ে দুইটি রশি ডুবে যাওয়া নৌকায় বাঁধেন তিনি।”
তিনি আরো বলেন, “নদীতে তৃতীয় ডুব দেওয়ার পর তিনি আর উঠে আসেননি। দীর্ঘ সময় আব্দুল মজিদ উঠে না আসায় নদীর ওপরে থাকা লোকজন তাকে খুঁজতে শুরু করেন। ব্যর্থ হয়ে তারা বাঘাবাড়ি নৌ ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। বাঘাবাড়ি নৌ ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম স্পিডবোড নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে হুকের সাহায্যে আব্দুল মজিদকে খুঁজতে শুরু করে। পরে রাজশাহীর ডুবুরি দলকে খবর দেন তারা।”
বাঘাবাড়ি নৌ ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার শাহদত হোসেন বলেন, “ঘটনাস্থলে পৌঁছে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে আব্দুল মজিদকে পাইনি। এ কারণে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেই উদ্ধার অভিযান শুরু করে। সন্ধ্যার পর নিখোঁজ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।”
শাহজাদপুর থানার ওসি আসলাম আলী বলেন, “রাজশাহী থেকে ডুবুরি দল এসে নিখোঁজ যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে। নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে আসছে।”
ঢাকা/অদিত্য/মাসুদ
ঢাকা/অদিত্য/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ
গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। এ ঘটনায় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও গরম পানি নিক্ষেপ করেছে।
বুধবার সকাল ৯টার থেকে গাজীপুরা এলাকার সৃজন্স ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ শুরু করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কারখানার কয়েক'শ শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে শিল্প পুলিশ-২ এবং টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ কয়েক দফা চেষ্টা করেও শ্রমিকদের সরাতে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং গরম পানি ছিটিয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে।
বিক্ষোভরত শ্রমিক শিল্পি আক্তার বলেন, ঈদের আগে আমাদের অর্ধেক বেতন আর অর্ধেক বোনাস দিয়ে কারখানা ছুটি দেয়। বলা হয়েছিল, ঈদের পরেই বাকী টাকা পরিশোধ হবে। কিন্তু এখনও কিছুই পাইনি। বাড়িওয়ালা তো আশ্বাসে ভাড়া নেয় না, দোকানও বাকির টাকা চায়। সরকার যদি আমাদের পাশে না দাঁড়ায়, আমরা কোথায় যাবো?
আরেক শ্রমিক রহমত বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ আমাদের ওপর গরম পানি ছুড়ে দেওয়া হলো। এভাবে কি শ্রমিকের ন্যায্য দাবি দমন করা যায়?
শ্রমিকদের দাবি, কারখানার মালিক পক্ষ গত ২০ এপ্রিল কিছু বোনাস পরিশোধ করলেও ২৮ এপ্রিলের মধ্যে পুরো বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখেনি। এতে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ–২ এর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।