পশ্চিমবঙ্গের এই অভিনেত্রী যেকোনো বিষয়ে নিজের মত জানাতে পরোয়া করেন না। সম্প্রতি আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্যক্তিগত নানা বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি।

সাক্ষাৎকারে শ্রীলেখা বলেন, তাঁর ওজন বাড়ার নেপথ্যে আছে অবসাদ। অভিনেত্রীর কথায়, ‘দীর্ঘ সময় কাজ না থাকলে নিজেকে ধরে রাখার তাগিদটা নষ্ট হয়ে যায়। দিনের পর দিন যখন ক্যামেরার সামনে দাঁড়াইনি, ঘর থেকে বেরোয়নি আমি, তখন রাতে ঘুম আসত না। তখন অনলাইনে খাবার আনাতাম, মিষ্টি খেতাম। এভাবেই একদিন দেখলাম, জিনিসটা আর ফিট করছে না। আগে শরীরচর্চা, ডায়েট মানতাম। এখন আর সেই তাগিদ পাই না।’

শ্রীলেখা মিত্র এদিন আরও জানান, ‘অবসাদের জন্য আমি ওষুধ খাই। বাড়ির কোনো কাজ করতে হয় না। অবসাদ থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলাম। টলিউডের তারকাদের নিয়ে নানা কথা বলেছিলাম। কিন্তু কেন বলেছিলাম, কেউ বোঝেননি। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুটা আমাকে ভীষণ নাড়া দিয়েছিল।

অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কাজ ছাড়াই বেতন তোলেন বেরোবির ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারী: দুদক

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারী কোনো কাজ না করেই প্রতি মাসে বেতন-ভাতা তুলছেন বলে অভিযোগ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার সকালে দুদকের রংপুর অফিসের পরিচালক হোসেন শরীফের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল বেরোবির রিসার্চ অফিসারদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন। এতে বেরোবির ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কর্মরত কর্মকর্তাদের কর্মস্থলে অনিয়ম ও অবৈধ বেতন উত্তোলনের তথ্য পাওয়া যায়।

জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৩ ডিসেম্বর ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ইনস্টিটিউট থেকে এমফিল, পিএইচডি ডিগ্রি দিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ২০১২ সালের ৭ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এমফিল, পিএইচডিতে ভর্তি করানো হয়। গবেষণার জন্য অনুমোদন না থাকলেও উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল জলিল মিয়া তাঁর মেয়ে রুমানা ফেরদৌসী জলীলকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য এই ইনস্টিটিউটে গবেষক ভর্তির সিদ্ধান্ত নেন বলে কথিত আছে। ২০২২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ২০৫ জন গবেষক ভর্তি হন। তখন এই ইন্সটিটিউটে ভর্তির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে কার্যক্রম স্থবির হয়ে যায়। ২০২২ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এ ইনস্টিটিউটে কর্মরত প্রায় সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী বসে বসেই বেতন পাচ্ছেন বলে কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন সংবাদ প্রকাশ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

হোসেন শরীফ বলেন, নীতিমালা ছাড়াই কার্যক্রম পরিচালনা করায় ভর্তি ফেলোরা ডিগ্রি সম্পন্ন করতে পারেনি। কাগজপত্র যাচাই করে প্রাথমিকভাবে এ সত্যতা পেয়েছি। প্রতিবেদন কমিশনে পাঠাব। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী বলেন, যোগদানের পর জানতে পারি, এ ইনস্টিটিউটের পরিচালক আমি নিজে। পরে নিজের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আমি ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউট সম্পর্কে খোঁজ খবর নিই। এটির প্রথম দিকে অনুমোদন ছিল না। মে ২০২৪ সালে এ ইনস্টিটিউটের অনুমোদন দেওয়া হলেও নীতিমালা তৈরি করা হয়নি। আমি নিজ উদ্যোগে নীতিমালা তৈরি করার জন্য কাজ করছি।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ