ওজন বাড়ার কারণ জানালেন শ্রীলেখা
Published: 5th, February 2025 GMT
পশ্চিমবঙ্গের এই অভিনেত্রী যেকোনো বিষয়ে নিজের মত জানাতে পরোয়া করেন না। সম্প্রতি আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্যক্তিগত নানা বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে শ্রীলেখা বলেন, তাঁর ওজন বাড়ার নেপথ্যে আছে অবসাদ। অভিনেত্রীর কথায়, ‘দীর্ঘ সময় কাজ না থাকলে নিজেকে ধরে রাখার তাগিদটা নষ্ট হয়ে যায়। দিনের পর দিন যখন ক্যামেরার সামনে দাঁড়াইনি, ঘর থেকে বেরোয়নি আমি, তখন রাতে ঘুম আসত না। তখন অনলাইনে খাবার আনাতাম, মিষ্টি খেতাম। এভাবেই একদিন দেখলাম, জিনিসটা আর ফিট করছে না। আগে শরীরচর্চা, ডায়েট মানতাম। এখন আর সেই তাগিদ পাই না।’
শ্রীলেখা মিত্র এদিন আরও জানান, ‘অবসাদের জন্য আমি ওষুধ খাই। বাড়ির কোনো কাজ করতে হয় না। অবসাদ থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলাম। টলিউডের তারকাদের নিয়ে নানা কথা বলেছিলাম। কিন্তু কেন বলেছিলাম, কেউ বোঝেননি। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুটা আমাকে ভীষণ নাড়া দিয়েছিল।
অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ইঙ্গিত এনসিপির
মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অংশ না নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) মার্কিন কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে নির্বাচনের বিষয়ে এমন ইঙ্গিত দেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা বলেছি যে আমরা এখানে ন্যূনতম সংস্কার নয়; বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কারের জন্য আমরা কাজ করছি। এই পরিবর্তনগুলো ছাড়া নির্বাচন হলে, তা গ্রহণযোগ্য হবে না। সেই নির্বাচনে জাতীয় নাগরিক পার্টি অংশগ্রহণ করবে কি না, সেটাও বিবেচনাধীন থাকবে।’’
আরো পড়ুন:
বেড়াতে গিয়ে পায়ে আঘাত পেলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম
দেশে সংস্কারের দরকার আছে : নুসরাত তাবাসসুম
তিনি বলেন, ‘‘আমরা আমাদের এজেন্ডাগুলো নিয়ে কাজ করছি। বর্তমান সময়ে মাঠ প্রশাসন নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না। বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হচ্ছে। সেখানে প্রশাসন নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে। এসব বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘মূলত বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সংস্কার কার্যক্রম এবং নির্বাচন বিষয়ে আমাদের প্রধান ফোকাস ছিল। এ ছাড়া সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা, বাংলাদেশে রাজনীতি কোনদিকে যাবে এবং আমাদের রাজনীতিতে দলের গঠন প্রক্রিয়া, সাংগঠনিক কার্যক্রম, আদর্শ ইত্যাদি বিষয়ে তাদের আগ্রহ ছিল। আমরা আমাদের জায়গা থেকে ব্যাখ্যা করেছি।’’
এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, ‘‘আমাদের যে তিনটি দাবি- বিচার, সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচন; সে বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে বলেছি। আমরা বলেছি, ন্যূনতম সংস্কার নয়, মৌলিক সংস্কার, রাষ্ট্রের গুণগত পরিবর্তনের জন্যই আমরা কাজ করছি। কোনো ধরনের পরিবর্তন ছাড়া নির্বাচনের দিকে গেলে সে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। সে নির্বাচনে জাতীয় নাগরিক পার্টি অংশগ্রহণ করবে কি না- সেটাও বিবেচনাধীন থাকবে।’’
এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, আমরা দেখছি প্রশাসন বিএনপির পক্ষ অবলম্বন করছে অনেক জায়গায়। মাঠপর্যায়ে যেসব জায়গায় চাঁদাবাজি চলছে, সেই জায়গায়ও প্রশাসন আসলে নীরব ভূমিকা পালন করছে। আমরা বলেছি, এ ধরনের প্রশাসন যদি থাকে তাহলে এর অধীনে নির্বাচন করাটা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ‘‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের জন্য নিরপেক্ষ প্রশাসন, আমলাতন্ত্র, পুলিশ নিশ্চিত করতে হবে।’’
ঢাকা/হাসান/এনএইচ