ইয়াশা সাগরকেও টাকা দেয়নি চিটাগং কিংস, ‘হেনস্থার’ অভিযোগ
Published: 5th, February 2025 GMT
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শুরুতে মডেল ও উপস্থাপিকা ইয়াশা সাগরকে এনে চমকে দিয়েছিল চিটাগং কিংস। কিন্তু প্লে’অফের শুরু থেকে কোথাও দেখা যাচ্ছে ভারতীয় বংশোদ্ভুত কানাডিয়ান এই মডেলকে।
পুরো আসর মাতিয়ে রাখার পর প্লে’অফের মতো গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এই উপস্থাপিকা না থাকায় কৌতুহুল দেখা দিয়েছে। বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) খোঁজ নিয়ে জানা গেছে পেমেন্ট ইস্যুতে বনিবনা না হওয়ায় এই মডেল ভারতে চলে যান। চুক্তি অনুযায়ী টাকাও দেওয়া হয়নি।
রাইজিংবিডি ডটকমকে ইয়াশা সাগরের এজেন্ট জ্যোতি ব্লান্ডেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। চুক্তির ৫৫ শতাংশ টাকা পেয়েছেন ইয়াশা।
আরো পড়ুন:
ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে ব্যাটিংয়ে খুলনা, একাদশে কারা
চিটাগং ফাইনালে উঠলে বোলিং করতে পারবেন সানি?
এজেন্ট আরও জানান, “চুক্তির বাইরে ইয়াশাকে দিয়ে বিজ্ঞাপনে মডেলিং করানোর প্রস্তাব দিয়েছিল চিটাগং কিংস। কিন্তু পেশাদার এই উপস্থাপিকা তাতে রাজি হননি।”
ফ্র্যাঞ্চাইজির চাওয়া অনুযায়ী কাজ না করায় বাধে বিপত্তি। এমনকি তার পাসপোর্ট রেখে মডেলিং করার জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগও জানিয়েছেন ইয়াশার এজেন্ট।
বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে নিয়মিত উপস্থাপনা করেন ইয়াশা সাগর। বাংলাদেশে এসেছিলেন এই প্রথম। কিন্তু ফিরলেন তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে। এর আগে কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে উপস্থাপনা করে নজরে আসেন।
ইয়াশা সাগরকে ছাড়াও চিটাগং কিংস মেন্টর হিসেবে পাকিস্তানের সাবেক তারকা ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদিকে আনে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে আফ্রিদিকে পাওনা পরিশোধ না করার সংবাদও এসেছে।
এর আগে পারভেজ হোসেন ইমনকে এক পয়সাও পরিশোধ না করায় শিরোনামে আসে চিটাগং কিংস। তখন ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক সামির কাদের জানিয়েছিলেন, পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট না হওয়ায় টাকা দেওয়া হয়নি।
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল উপস থ প
এছাড়াও পড়ুন:
এবার বিএসইসির সার্ভিলেন্স বিভাগে দুদকের অভিযান
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবারো অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানে সার্ভিলেন্স ও মনিটরিং বিভাগে এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলে দুদক সূত্র জানা গেছে।
সোমবার (১০ মার্চ) ঢাকার আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে বিএসইসির কার্যালয়ে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে এই অভিযান শুরু হয়েছে। দুইজন সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি টিম এই অভিযান পরিচালনা করছেন।
জানা গেছে, দুদকের তদন্ত দল প্রথমে এসেই বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর বিএসইসির সার্ভিলেন্স ও মনিটরিং বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে অভিযান পরিচালনা করছেন।
এর আগে গত ২ মার্চ বিএসইসিতে অভিযান পরিচালনা করে দুদক। অভিযানকালে পাওয়া অনিয়মগুলো শিগগিরই কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে বলেও জানায় দুদক।
এর আগে অভিযানকালে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম ২০১০ সাল পরবর্তী দুই কমিশনের মেয়াদের অনিয়ম ও দুর্নীতির অনেক প্রমাণ পেয়েছেন বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন কোম্পানির প্রসপেক্টাসে থাকা আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যেও ম্যানিপুলেট করা হয়। আর্থিক অবস্থা দুর্বল থাকা কোম্পানিকে সবল দেখানো হয়। তারপর মার্কেটে ছাড়া হয় আইপিও। সেই কোম্পানি অব্যাহত প্রবৃদ্ধিও করেছে। তারপর একপর্যায়ে তাদের শেয়ারদর পড়তে শুরু করে। এতে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে বিভিন্ন সময় এসব কোম্পানির বিষয়ে সতর্ক করে সুপারিশ করা হলেও বিএসইসি তা আমলে নেয়নি।
এছাড়া, প্রাইভেট প্লেসমেন্ট জালিয়াতি ও বাণিজ্য, অধিক মূল্যে শেয়ার প্রাইস নিয়ে মার্কেটে প্রবেশ ও অল্প সময়ে শেয়ার বিক্রি, প্রাইসের দ্রুত অবনমনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ার বিষয়টিও পরিলক্ষিত হয়েছে বলে দুদক জানায়।
দুদক জানিয়েছে, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনায় টিম আরো প্রত্যক্ষ করে যে দুর্বল কোম্পানিগুলোকে অবৈধভাবে অনুমোদন দেওয়ায় ক্যাপিটাল মার্কেটে প্রবেশের অল্পদিনেই তাদের লো পারফর্মিং কোম্পানি হিসেবে জেড ক্যাটাগরিভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া, জালিয়াতির মাধ্যমে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের প্রস্তুতকৃত উইন্ডো ড্রেসড ব্যালান্সশিট ও ফ্যাব্রিকেটেড আর্নিং রিপোর্ট ও ইস্যু ম্যানেজারের তৈরীকৃত ওভারভ্যালুড কোম্পানি প্রোফাইলের পরিপ্রেক্ষিতে অনিয়মের আশ্রয়ে বিএসইসি আইপিওর অনুমোদন দিয়েছে। প্রাপ্ত অনিয়মগুলোর বিষয়ে দুদক টিম প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।
ঢাকা/এনটি/ইভা