হাজীগঞ্জে মক্তব থেকে পড়ে আসার সময় বাগবিতণ্ডার জেরে দুই শিশুর মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে শাহাদাত হোসেন নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে পশ্চিম বড়কুল ইউনিয়নের বশির মেম্বার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাহাদাত হোসেন ওই বাড়ির টিটু হোসেনের ছেলে।
নিহত শাহাদাতের জেঠা লিটন হোসেন জানান, একই বাড়ির শিপনের ছেলে হৃদয় ও শাহাদাত স্থানীয় একটি মক্তব থেকে পড়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে হৃদয় শাহাদাতকে ধাক্কা দিলে সে গাছের সঙ্গে আঘাত পায়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিতে বলা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মৃত্যু হয় শাহাদাতের।
শিশুর শাহাদাতের নানা আলমগীর হোসেন বলেন, শিশুর শাহাদাতের আগে থেকেই শারীরিক অসুস্থতা ছিল। হৃদয়ের ধাক্কায় গাছের সঙ্গে আঘাত পেলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকের রিপোর্ট অনুযায়ী শাহাদাত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন ফারুক জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় শিশুটির লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘লক্ষ্মীসোনা’ ৮ কোটি পার, পাঁচ লাখের বেশি লাইক
হৃদয় খানের গাওয়া ও সুরে ‘লক্ষ্মীসোনা’ গানটি ব্যবহার হয় ‘যদি একদিন’ সিনেমায়। গানে বাবা-মেয়ের ভালোবাসা, মান-অভিমান ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গানটি প্রকাশের পরপরই দর্শক হৃদয় স্পর্শ করে। আস্তে আস্তে শ্রোতাপ্রিয়তা বাড়ে এই গানের। ছয় বছর আগের সেই গানটি নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে। ইউটিউবে এই গানের ভিউ ৮০ মিলিয়ন বা ৮ কোটি পার করেছে। গানটির শিল্পী, গীতিকার-সুরকার তাই বেশ উচ্ছ্বসিত।
ইউটিউবে ‘লক্ষ্মীসোনা’ গানের মন্তব্যের ঘরে ১৯ হাজারের বেশি মতামত এসেছে। ছয় বছরে পাঁচ লাখের বেশি লাইক পড়েছে, একটিও ডিজলাইক নেই। মোনায়েম খান নামের একজন লিখেছেন, ‘হৃদয় খান আসলে ম্যাজিশিয়ান, লোকে ভুল করে মিউজিশিয়ান ডাকে...গানটা অসাধারণ হয়েছে।’
আলিফ হাসান লিখেছেন, ‘এত ভালো লাগে এই গানটা, ইচ্ছা করে সারা দিন শুনি।’ দুই সপ্তাহ আগে মালেক আহমেদ নামের একজনের একটি মন্তব্য এমন, ‘গানটা শুনলেই আমার মেয়েটার কথা মনে পড়ে। একা একা কাঁদি, আজ দুই মাস বিদেশের মাটিতে কলিজাটা ছাড়া।’
মুসাফির নামের একজন লিখেছেন, ‘ছয় বছর ধরে এই গানটা মাঝেমধ্যেই শোনা হয়, যেন এটা পুরোনো হওয়ার নয়। জীবনে শোনা অন্যতম শ্রেষ্ঠ গান।’ মাস দুয়েক আগের একটি মন্তব্য এ রকম, ‘ছয় বছর আগে প্রকাশিত হলেও আজই প্রথম গানটি শুনলাম। গানটি আমার হৃদয় স্পর্শ করেছে।’
হৃদয় খান