যশোরে আ.লীগ-ছাত্রলীগের ২ কর্মী আটক
Published: 5th, February 2025 GMT
যশোরের কেশবপুরে লিফলেট বিতরণকালে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া বাজার থেকে তাদের আটক করা হয়। কেশবপুর চিংড়া বাজার পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. কামরুজ্জামান এতথ্য জানান।
আটককৃতরা হলেন- কেশবপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের রশিদ মোড়লের ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী সুজন হোসেন (২৩) এবং একই গ্রামের মৃত হজরত আলীর ছেলে ও আওয়ামী লীগ কর্মী আলী হোসেন (৪২)।
আরো পড়ুন:
লিফলেট বিতরণে বাধা দেওয়ায় আ.
চট্টগ্রামে আ.লীগ-ছাত্রলীগের ৪৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
এএসআই মো. কামরুজ্জামান জানান, গতকাল রাত ৯টার দিকে ৮-১০ জন ব্যক্তি বাঁশবাড়িয়া বাজারে লিফলেট বিতরণ করছিলেন। চিংড়া বাজার ক্যাম্পের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুজন ও আলী হোসেনকে আটক করে। এ সময় বাকিরা পালিয়ে যান। আটককৃতরা ‘জয় বাংলা’ বলে স্লোগান দেন। পরে আটককৃতদের পুলিশ ক্যাম্পে আনা হয়।
ঢাকা/রিটন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক আওয় ম ল গ
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামিকে ধরলো জনতা, ছাড়লো পুলিশ!
বন্দরে ড্রেজার ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার মামলার আসামি শাওন (৩২)কে স্থানীয় জনতা আটক করে পুলিশে সোর্পদ করার পরও মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে বন্দর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।
জনতা কর্তৃক আটককৃত মামলার আসামিকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছে সচেতন মহল। বন্দর থানা পুলিশের এ রকম কর্মকান্ডের জন্য র্তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে গনমাধ্যমের কাছে এসব কথা জানিয়েছে মামলার বাদিনী সিনথিয়াসহ তার পরিবার।
জনতা কর্তৃক আটককৃত হামলাকারি শাওন বন্দর থানার নবীগঞ্জ কদমতলী এলাকার সালাউদ্দিন মিয়ার ছেলে। এর আগে গত রোববার (২ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে বন্দর থানার চৌরাপাড়া এলাকা থেকে ওই হামলাকারিকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে স্থানীয় জনতা।
উল্লেখ্য, বন্দর থানার ২৪ নং ওয়ার্ডের দেওলী চৌরাপাড়া এলাকার মৃত সামছুজ্জামান ওরফে বাচ্চু মিয়ার ছেলে ও বাদিনী স্বামী মেহফুজজ্জামান সাদ দীর্ঘ দিন ধরে ড্রেজার ব্যবসা চালিয়ে আসছে। উল্লেখিত বিবাদীগন বাদিনীর পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা।
বিবাদীদের সহিত বাদিনী স্বামীর ঘটনার পূর্ব হইতে সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলিয়া আসিতেছিল। গত সোমবার (২০ জানুয়ারী) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় বাদিনী স্বামী মেহফুজজ্জামান সাদ (৩০) কাজশেষে পায়ে হেঁটে বাড়িতে ফেরার পথে রাত অনুমান সাড়ে ১২টায় সময় বন্দর থানাধীন কাইতাখালি সিকদার বাড়ির মোড়ে পৌছামাত্র পূর্ব হইতে ঘটনাস্থলে ওৎপেতে থাকা বন্দর থানার উত্তর পাড়া লুয়ারপুল এলাকার মৃত ফকির সেক্রেটারী ছেলে শাহ-নেওয়াজ ওরফে শাহানাজ, নবীগঞ্জ উত্তরপাড়া এলাকার মৃত শাহজাহান মিয়া ইকবাল নবীগঞ্জ কদমতলী এলাকার আলমগীরসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বাদিনী স্বামী চলার পথ গতিরোধ করে উল্লেখিত বিবাদীগন অতর্কিতভাবে মারপিট শুরু করে।
সন্ত্রাসী শাহনেওয়াজ তার হাতে থাকা সুইজ গিয়ার দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামী মেহফুজজ্জামান সাদ এর বুকের ডান পাশে ঘাই মারিয়া মারাত্বক কাটা রক্তাক্ত ছিদ্রযুক্ত জখম করে। ইকবাল বিবাদী তার হাতে থাকা সুইজ গিয়ার দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামী মেহফুজজ্জামান সাদ এর মাথায় ঘাই মারিলে ডান হাত দিয়ে প্রতিহত করায় ডান হাতের কনুই এর নিচে গুরুত্বর রগ কাটা রক্তাক্ত জখম করে।
৩নং আসামী তার হাতে থাকা সুইজ গিয়ার দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামী মেহফুজজ্জামান সাদ এর ডান পায়ের হাটুর উপরের অংশে ঘাই মারিয়া কাটা রক্তাক্ত জখম করে। অজ্ঞাত আসামীরা লাঠি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করিয়া আমার স্বামীর শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলাফুলা রক্তজমাট জখম করে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার এসআই ফারুক হোসেনের যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।