প্রথমবারের মতো বইমেলার আয়োজন করছে চবি প্রশাসন
Published: 5th, February 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসনের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো পাঁচ দিনব্যাপী ‘একুশে বইমেলা’র আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশবিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বইমেলা উপলক্ষে সাত সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিতে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড.
কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অনুবাদে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গোলাম হোসেন হাবীব, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ফুয়াদ হোসেন এবং বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এমএম রিজাউল ইসলাম৷
উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, “চবি প্রশাসনের উদ্যোগে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে একুশে বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে। এ পর্যন্ত ১৫টি প্রকাশনী অংশগ্রহণের কথা জানিয়েছে। এর সংখ্যা সামনে আরো বাড়বে।”
ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গোলাম হোসেন হাবীব বলেন, “প্রতি বছর চবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একাধিক বই প্রকাশিত হয়। একুশে বইমেলাকে কেন্দ্র করেও এবার নতুন বই আসছে অনেকের। কেউ যদি শুধু তাদের বইগুলো নিয়ে আলাদা স্টল রাখতে চায়, আমরা সেই সুযোগও দিব। এতে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অনুপ্রাণিত হবেন।”
ঢাকা/মিজান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ উপ চ র য বইম ল
এছাড়াও পড়ুন:
এত বছর কেউ আমার কথা ভাবেনি: জিৎ
‘জোশ’, ‘আওয়ারা’, ‘শুভদৃষ্টি’, ‘দুই পৃথিবী’র মতো যেমন বাণিজ্যিক ছবি উপহার দিয়েছেন, তেমনই দর্শক তাকে দেখেছে ‘অসুর’, ‘রাবণ’, ‘মানুষ’-এর মতো ছকভাঙা চরিত্রে। বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সুপারস্টার অভিনয়ের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরেই প্রযোজকের ভূমিকাও সমানতালে সামাল দিচ্ছেন। দেখতে দেখতে টালিউড ইন্ডাস্ট্রিতে বাইশ বছর পার করেছেন নায়ক জিৎ।
এবার নীরজ পাণ্ডের ‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’-এর সুবাদে বলিউডে অভিষেক ঘটল জিতের। এবার তিনি জানালেন, তার কাছে হিন্দির চেয়ে বাংলায় কাজ করাই নাকি বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল।
ভারতীয় গণমাধ্যমকে জিৎ বলেন, ‘এত বছর হিন্দি ইন্ডাস্ট্রির কেউ আমার কথা ভাবেনি। তবে আমি বরাবরই এখানে কাজ করতে চাইতাম কারণ আমি আদতে হিন্দিভাষী। আঞ্চলিক ইন্ডাস্ট্রিতে বাণিজ্যিক সিনেমার মাধ্যমে দর্শকদের ১০-১৫ বছর ধরে বিনোদিত করা অভিনেতাদের মধ্যে খুবই কমই রয়েছেন, যারা ভালো করে হিন্দি বলতে পারেন। বাংলায় কাজ করাটাই আমার জন্য আসল চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ, আমি হিন্দিতে ভাবি।’
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রথমবার স্ক্রিন শেয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমার একে-অপরকে অনেক দিন ধরেই চিনি। ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে একসঙ্গে নিজেদের মতো করে কাজ করেছি। তাই আমাদের সমীকরণ ভীষণই ভালো। ‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’-এর জন্য যখন একসঙ্গে কাজ করছিলাম, তখনও মনে হয়নি প্রথমবার স্ক্রিন শেয়ার করছি আমরা। সেটা আমাদের এত সহজ সুন্দর সমীকরণের জন্যই সম্ভব হয়েছে।”
হিন্দি ভাষী হলেও বাংলার দর্শকরা জিৎকে মনপ্রাণ ঢেলে আপন করে নিয়েছে। টালিউডে দু’ দশক কাটিয়ে তেইশ সালে অনুরাগীদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন অভিনেতা।
জিতের শুরুটা হয়েছিল ২০০২ সালের ১৪ জুন। হরনাথ চক্রবর্তীর হাত ধরে টালিউডে ‘বিজয়’ চরিত্রে আত্মপ্রকাশ। সেই ‘সাথী’ বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রির বক্স অফিসে আজও অন্যতম মাইলফলক হিসেবে রয়ে গেছে। টানা ২৫ সপ্তাহ হাউজফুল শো উপহার দিয়েছিল ‘সাথী’। ফিল্মি কেরিয়ারের গোড়াতেই সমস্ত রেকর্ড ভেঙে চুরমার করে দিয়েছিলেন জিৎ। তারপর থেকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। ‘সাথী’র বিজয় থেকে টালিউডের ‘বস’ হয়ে উঠেছেন জিৎ।
গত ২ দশকে ৫৫টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। যার মধ্যে ২০টির বেশি ব্লকবাস্টার এবং একাধিক সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন। বর্তমানে তাঁর বলিউড ডেবিউ সিরিজ ‘খাকি ২’ চর্চার শিরোনামে। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।