দেশে বর্তমানে মোট ৪৩টি মন্ত্রণালয় ও ৬১টি বিভাগ রয়েছে। এ মন্ত্রণালয়গুলোকে যুক্তিসঙ্গতভাবে কমিয়ে সরকারের সকল মন্ত্রণালয়কে মোট ২৫টি মন্ত্রণালয় ও ৪০টি বিভাগে পুনর্বিন্যাস করার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।

এছাড়া মন্ত্রণালয়কে পাঁচটি গুচ্ছে বিভক্ত করার কথা জানিয়েছে। কমিশন সকল মন্ত্রণালয়কে সমপ্রকৃতির পাঁচটি গুচ্ছে বিভক্ত করারও সুপারিশ করছে। 

মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে যে পাঁচটি গুচ্ছে বিন্যস্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে সেগুলো হলো (ক) বিধিবদ্ধ প্রশাসন (খ) অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্য, (গ) ভৌত
অবকাঠামো ও যোগাযোগ (ঘ) কৃষি ও পরিবেশ ও (ঙ) মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন। 

মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও মাঠ পর্যায়ের দপ্তরগুলোর সাংগঠনিক ও জনবল কাঠামো সংস্কারে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের উদ্যোগে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও মাঠ পর্যায়ের দপ্তরগুলোর সাংগঠনিক ও জনবল কাঠামো পর্যালোচনা করতে হবে। তারা তাদের সুপারিশ ও প্রস্তাব স্থায়ী জনপ্রশাসন
সংস্কার কমিটির কাছে পাঠাবে। কমিশন তা পর্যালোচনা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সরকার প্রধানের কাছে পেশ করবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: মন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

“প্রকাশ্যে চলছে পরিবহনে চাঁদাবাজি” জনবল চেম্বারের, ব্যবসা তাদের!

রমজানের যানজট নিয়ন্ত্রণে পুলিশ প্রশাসনকে সাহায্য করতে কমিউনিটি পুলিশের পাশাপাশি ১৮০ জন সদস্য দেয় নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি।

যানজট নিয়ন্ত্রণে চেম্বারের সহযোগীতায় পুরো রমজান মাসব্যাপী চলবে এই কার্যক্রম। রমজানে রোজাদারসহ সকল মানুষের ভোগান্তি রোধে এ কার্যক্রম হাতে নেয় চেম্বার। পাশাপাশি সড়ক দখলমুক্ত রাখতেও নানা উদ্যোগের চেষ্টা করছে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি। 

এদিকে চেম্বারের এ জনবলকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায় মেতে উঠেছে এক শ্রেণীর পরিবহন চাঁদাবাজরা। তারা চেম্বারের দেয়া জনবলকে নিজেদের দাবি করে যানবাহন বিশেষ করে অটো রিকশা থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে। বর্তমানে পুরো শহর ছেয়ে গেছে এ চাঁদবাজরা। 

শহরের ২নং রেলগেট, ১নং রেলগেট, মন্ডলপাড়া, নিতাইগঞ্জ, চাষাঢ়া চত্বর, মহিল কলেজ সংলগ্ন এলাকা ও তোলারাম কলেজ মোড় সহ বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা মিলছে এ চাঁদাবাজদের। তেমনি এক চিহ্নিত চাঁদাবাজ হলো মো: সাইদ। যিনি চেম্বারের ওই জনবলকে নিজেদের জনবল দাবি করে অটো রিকশা থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে বলে গুরুত্বর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শহরের চাষাঢ়ার মত এলাকায় দাঁড়িয়ে পুলিশ প্রশাসনের চোঁখ ফাকি দিয়ে তিনি অনেকটা প্রকাশ্যেই এ চাঁদাবাজি করে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে সচেতন নগরবাসীর বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আমরা আজ যে দেশ দেখতে পাচ্ছি। তা আমরা কখনোই কল্পনা করিনি। প্রশ্ন জাগে, তারা সেদিন বুকের তাজা রক্ত দিয়েছিলো কি এ বাংলাদেশের জন্য? কিছুইতো বদল হলো না। এখনও এ দেশে চাঁদাবাজী, দখলবাজী ও নারী-শিশু ধর্ষণসহ নানা অপকর্ম চলছে। তাহলে লাভ কি হলো? 

আমরা চাই, এসব সকল অপকর্মকারিদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। আমরা এদেশে বিশেষ করে আমাদের এ নারায়ণগঞ্জে আর কোন প্রকার চাঁদাবাজী দেখতে চাই না, আর কোন দখলবাজ দেখতে চাই না, আর কোন ধর্ষণের ঘটনা দেখতে চাই না। আমরা এসব অপকর্মকারিদের কঠোর হস্তে দমন করে একটি সুন্দর ও নির্মল বাংলাদেশ গড়ে তোলতে প্রশাসন থেকে শুরু করে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

সচেতন নগরবাসী আরও বলেন, তাদের কত বড় সাহস হলে চাষাঢ়ার মত জায়গা জনবল দেয়ার কথা বলে চাঁদাবাজি করছে। এসব কি পুলিশ প্রশাসনের চোঁখে পড়ছে না। যদি পড়ে তাহলে বলবো, দয়া করে আর নিরব থাকবেন না। এবার দেশের স্বার্থে, দেশের মানুষের স্বার্থে একটু সক্রিয় হোন। এসব চাঁদাবাজদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুন যাতে নতুন এ দেশে আর কোন চাঁদাবাজদের জন্ম না হয়।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা দপ্তরের প্রায় অর্ধেক জনবল ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা
  • প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
  • “প্রকাশ্যে চলছে পরিবহনে চাঁদাবাজি” জনবল চেম্বারের, ব্যবসা তাদের!