জাভেদ আখতারের মামলায় কঙ্গনাকে শেষ সুযোগ দিলো আদালত
Published: 5th, February 2025 GMT
অভিনেত্রী-বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রনৌত ও ভারতের প্রখ্যাত গীতিকার জাভেদ আখতারের মধ্যে আইনি লড়াই দীর্ঘদিনের। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনার বেশ কিছু মন্তব্যে রীতিমতো ক্ষুব্ধ জাভেদ আখতার। অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়েরও করেন।
মঙ্গলবার জাভেদ আখতারের করা সেই মানহানির মামলায় কঙ্গনার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার আগে আদালত তাঁকে শেষ সুযোগ দিয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে বাড়ি থেকে তরুণ অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি আত্মহত্যা কারেছেন নাকি খুন হয়েছে-সেই মীমাংসা আজও হয়নি। তার মৃত্যু নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা হয়। তবে সবাইকে ছাপিয়ে যায় কঙ্গনার বক্তব্য। সুশান্ত সিং রাজপুত বলিউডের স্বজনপোষণ বা নেপোটিজম’র শিকার- এজন্য জাভেদ আখতারকে দায়ী করেন কঙ্গনা। বিষয়টি অসম্মানজনক উল্লেখ করে কঙ্গনার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন জাভেদ আখতার।
মুম্বাই আদালতে সেই মামলায় একে একে ৪০ দিন মামলার শুনানিতে যাননি কঙ্গনা। মঙ্গলবারও শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিনও আদালতে উপস্থিত হাননি তিনি।
কঙ্গনার আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকি আদালতে জানান, সংসদীয় কাজে ব্যস্ত অভিনেত্রী। আদালতে হাজির হওয়া সম্ভব নয়। তা শুনে জাভেদ আখতারের আইনজীবী জয় কে ভরদ্বাজ পাল্টা আপিল করেন, আদালতের গুরুত্বপূর্ণ ৪০ দিন নষ্ট করেছেন সাংসদ-অভিনেত্রী। তাই তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হোক।
পরে বিচারক জানিয়ে দেন, কঙ্গনা রনৌতের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আগে শেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। অন্যথায় গ্রেপ্তারি এড়ানো কঠিন হবে তাঁর।
যদিও মামলা ও আদালতের রায় নিয়ে এখনও প্রতিক্রিয়া জানাননি অভিনেত্রী ও বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রনৌত। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন ও এই সময়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ভ দ আখত র জ ভ দ আখত র র
এছাড়াও পড়ুন:
রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুনসাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত ৩ এর বিচারক দেবী রানী রায়ের আদালতে হাজির করা হয়। সরকার পক্ষ আর রিমান্ড এর আবেদন না করায় বিচারক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সেই সঙ্গে আসামির পক্ষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করা হয়।
এর আগে বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে কঠোর পুলিশী নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। আসামিকে নতুন করে আর রিমান্ডে নেবার জন্য মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা কোন আবেদন করেনি। তবে আসামি পক্ষে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। আদালত শুনানী শেষে আসামির জামিনের আবেদন না মজ্ঞুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী সাইদ কামাল ইবনে খতিব জানান, আমার মক্কেল সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ খুব অসুস্থ। আদালতে তার জামিন আবেদন করলে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরনের আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোড এলাকায় অবস্থিত আসামির এক ভাগ্নের বাসা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট এস এম মুন্না হত্যা মামলার এজাহার নামীয় এক নম্বর আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের দিন শুক্রবার সকালে আসামি আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা এস আই মোস্তাফিজ। আদালত ৫ রিমান্ড মজ্ঞুর করেন। আজ মঙ্গলবার ৫ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
বিএইচ