সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ও ক্রেডিট ফি কমানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মো. আবদুল কাদির প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সেমিস্টার ভর্তির ক্ষেত্রে বিভাগীয় কম্পিউটার খাতের ফি পূর্বের প্রশাসন এক হাজার টাকা নির্ধারণ করেছিল। বর্তমান প্রশাসন তা থেকে পাঁচ শ টাকা হ্রাস করেছে।’

এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি ‘শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক খাতেই ফি বেড়েছে ৭০০ টাকা, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা’ শিরোনামে প্রথম আলো অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর এক সপ্তাহ পর ২ ফেব্রুয়ারি কম্পিউটার ফি খাতে ৫০০ টাকা কমাল কর্তৃপক্ষ। তবে সেমিস্টার ভর্তিতে কম্পিউটার খাতে ফি কমলেও অন্য খাতগুলোয় ফি অপরিবর্তিত রয়েছে বলে একাডেমিক কাউন্সিল সূত্রে জানা গেছে।

একই সূত্র থেকে জানা যায়, ২০২১-২২ থেকে শিক্ষাবর্ষে আগে সেমিস্টার ভর্তি ফি ছিল ৩ হাজর ৩৪৫ টাকা। কম্পিউটার ফি ৫০০ টাকা কমাতে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত বর্তমানে সেমিস্টার ভর্তি ফি দিতে হবে ২ হাজার ৮৪৫ টাকা।’

এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শাবিপ্রবির জনসংযোগ দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘শাবিপ্রবি সেমিস্টার ও ক্রেডিট ফি কমানো হয়েছে; এ ক্ষেত্রে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা চলমান সেমিস্টার থেকে কার্যকর হবে। গত রোববার একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ল্যাব ফি কমানো হয়েছে প্রতি ক্রেডিটে ১৫ টাকা। আগের সেমিস্টারে প্রতি ক্রেডিট ১৭৫ টাকা ছিল, বর্তমানে ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।’ তবে ওই শিক্ষাবর্ষের তত্ত্বীয় ফি অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে, ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের (স্নাতক ও স্নাতকোত্তর) তত্ত্বীয়  প্রতি ক্রেডিট ২০ টাকা কমানো হয়েছে। আগে তত্ত্বীয় কোর্সের প্রতি ক্রেডিট ফি ছিল ১৪০ টাকা; বর্তমানে তা ১২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ল্যাব প্রতি ক্রেডিটে ৪০ টাকা কমানো হয়েছে। আগে ল্যাবপ্রতি ক্রেডিট ২০০ টাকা ছিল; বর্তমানের ১৬০ টাকা করা হয়েছে।’

একই সঙ্গে ২০২১-২২, ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের সেমিস্টার ফি থেকে কম্পিউটার খাতে ৫০০ টাকা কমানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বর্তমান নির্ধারিত ফি অনুসারে ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের একজন শিক্ষার্থী তত্ত্বীয় সর্বোচ্চ ৩০ ক্রেডিট রেজিস্ট্রেশন করলে (সেমিস্টার ও ক্রেডিট ফির ক্ষেত্রে) আগের ফি থেকে এক হাজার এক শ টাকা কম প্রদান করতে হবে। এতে আগে চার হাজার দুই শ টাকার বদলে বর্তমানে তিন হাজার ছয় শ টাকা দিতে হবে।’ এ ছাড়া ইতোমধ্যে যে সব শিক্ষার্থী ফি জমা দিয়েছেন, রশিদ জমা সাপেক্ষে তাঁদের জমাকৃত অতিরিক্ত ফি পরবর্তী সেমিস্টারে সমন্বয় করা হবে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

আরও পড়ুনশাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা, প্রতি আসনে প্রার্থী ৫১ শিক্ষার্থী, পরীক্ষা ৫ কেন্দ্রে০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ৫০০ ট ক

এছাড়াও পড়ুন:

লায়লার মামলায় প্রিন্স মামুনের বিচার শুরু 

লায়লা আখতারকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় দায়ের করা মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্যে দিয়ে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হক আসামির অব্যাহতি আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ১ মার্চ সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

মঙ্গলবার প্রিন্স মামুন ও লায়লা আখতার আদালতে হাজির হন। মামুনের আইনজীবী মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।

২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর মামলা দায়ের করেন লায়লা আখতার। মামলায় অভিযোগ করা হয়, প্রিন্স মামুনের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় লায়লার। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই পরিবারের সম্মতিতে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে লায়লার বিয়ের কথা চূড়ান্ত হয়। তখন থেকে প্রিন্স মামুন লায়লার বারিধারা ডিওএইচএসের বাসায় বাস করতে থাকেন। এরপর থেকে প্রিন্স মামুন বিভিন্ন অজুহাতে লায়লার কাছ থেকে টাকা নিতেন। প্রায় সময় মাদকসেবন করে গভীর রাতে বাসায় আসতেন। অশ্লীল ভাষায় কথা বলতেন মামুন। এমনকি মাঝে মধ্যে লায়লাকে মারপিট করতেন। বিভিন্ন অযৌক্তিক দাবি আদায়ের পাঁয়তারা করতেন মামুন। ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর উত্তরায় একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে বাসায় ফেরেন তারা। এ সময় মামুনসহ আরো দুজন মদপানের জন্য মিরপুরে যাওয়ার পরামর্শ করেন। লায়লা মামুনকে নিষেধ করেন এবং বাধা দেন। এতে মামুন উত্তেজিত হয়ে লায়লাকে গালি দেন। গালি দিতে নিষেধ করলে মামুন লায়লাকে মারধর করেন ও হত্যার চেষ্টা করেন। 

মামলাটি তদন্ত শেষে গত বছরের ৩১ জানুয়ারি মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ। পরে ওই বছরের ৩ জুন অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। তবে পলাতক থাকায় প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরদিন ৪ জুন মামুন আত্মসমর্পণ করে জামিন পান। 

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফিলিস্তিনি সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ হত্যার ১০০০ দিন
  • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পাঠাগারটিতে বই নেই, যান না পাঠকেরাও
  • চলতি হিসাবের সঙ্গে আর্থিক হিসাবও ইতিবাচক ধারায় ফিরল
  • দলবদলে লা লিগা–বুন্দেসলিগা–সৌদি প্রো লিগের চেয়েও বেশি খরচ করেছে ম্যান সিটি
  • বইমেলায় শফিক রিয়ানের উপন্যাস ‘বিসর্জন’
  • দুই শিক্ষিকা তিন বছর ধরে অনুপস্থিত, একজন ফ্রান্সে আরেকজন পর্তুগাল
  • লায়লার মামলায় প্রিন্স মামুনের বিচার শুরু 
  • ছেলে হত্যার বিচার না পেলে আত্মাহুতির হুমকি মায়ের
  • ছাত্রলীগ নেতাসহ কুয়েটের ১০ শিক্ষার্থী বহিষ্কার