থানায় অভিযোগ দিতে গিয়ে হেনস্তার শিকার
Published: 5th, February 2025 GMT
কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর থানায় জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ করতে গিয়ে রেজাউল করিম নামে এক ব্যক্তি হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার থানা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। রেজাউল করিম উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের চাইর উদ্দিন মেম্বার পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
ভুক্তভোগীর ভাষ্য, থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান বাদী রেফাজউদ্দিনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিবাদী রেজাউল করিমকে টেনেহিঁচড়ে থানায় নিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়েছেন।
এ ঘটনার একটি ভিডিও সমকালের কাছে এসেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, চর রাজিবপুর থানার এসআই আসাদুজ্জামান ও আরেক পুলিশ সদস্য সাধারণ পোশাক পরা অবস্থায় থানার গেটের সামনে থেকে রেজাউল করিমের কোমরের বেল্ট ধরে টেনেহিঁচড়ে থানার ভেতরে নিয়ে যাচ্ছে।
রেজাউল করিম বলেন, জমিজমা নিয়ে রেফাজউদ্দিনের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছে। দুই দিন আগে এসিল্যান্ড স্যার বিষয়টা তদন্ত করেন। তারপর পরামর্শ দেন থানায় অভিযোগ করতে। আমি সকালে থানায় অভিযোগ দিতে গেলে এসআই আসাদুজ্জামান আমাকে টেনেহিঁচড়ে থানায় নিয়ে মারধর করে এবং জেলের ভেতরে আটকে রাখে। এ সময় হুমকি দেয়- আমাকে হত্যা মামলার আসামি করবে। পরে আমি ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত এসআই আসাদুজ্জামান বলেন, ঘটনা সত্য না। জমিজমা বিষয়ে কোর্টে একটা মামলা আছে। এসিল্যান্ড স্যার তদন্ত করছেন। থানায় বিষয়টি জানানোর পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রেজাউল করিমকে থানায় নেওয়া হয়। তাকে টানাহেঁচড়া করা হয়নি।
আপনি কি মামলার তদন্তের দায়িত্বে আছেন, এমন প্রশ্নে এসআই বলেন, আমি দায়িত্বে নেই। অন্য একটা মামলার তদন্তে আমি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি।
চর রাজিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তসলিম উদ্দিন বলেন, ২০১৩ সালে জামায়াতের অফিস ভাঙচুরের একটি মামলায় রেজাউলের বাবা তাহের আলীকে আসামি করা হয়েছে। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি। তার বিষয়ে জানতে ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হইছে। কোনো হুমকি দেওয়া হয়নি।
মামলার বিষয়ে রেজাউল করিমের বাবা তাহের আলী বলেন, আমার নামে কোনো মামলা নেই। পুলিশ মিথ্যা বলছে। আমি আমার এলাকায় চলাফেরা করছি। আমার ছেলে জমিজমার বিষয়ে অভিযোগ করতে গেলে উল্টো তাকে হেনস্তা করে পুলিশ।
উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবুল বাশার মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, আমরা অফিস ভাঙচুরে বিষয়ে গতকাল রাতে থানায় একটি মামলা করেছি। কোদালকাটির আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিমকে আমি চিনি না। মামলার আসামি কিনা জানি না।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদের স্ত্রীর করা মামলা খারিজ
ভ্রূণ হত্যার অভিযোগে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), দুই উপপরিদর্শকসহ (এসআই) ছয়জনের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেনের স্ত্রীর করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. নুরুল ইসলাম গত রোববার এই আদেশ দেন। আজ মঙ্গলবার বিষয়টি জানাজানি হয়। বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের সাঁটলিপিকার দীপেন দাশগুপ্ত।
সাজ্জাদের স্ত্রী শারমিন তামান্না বাদী হয়ে গত ২৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলার আবেদন করেন। এতে অভিযুক্ত করা হয় বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান, এসআই জগৎজ্যোতি দাস, মনিরুল ইসলাম, ‘সন্ত্রাসী’ সরোয়ার হোসেন, ‘সন্ত্রাসী’ জাবেদ ও পুলিশের সোর্স আনিকা ইসলামকে।
মামলার আবেদনে বলা হয়, গত ৫ জানুয়ারি শারমিন তামান্নার স্বামী সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারে পুলিশ বাসায় অভিযান চালায়। স্বামীকে না পেয়ে এসআই মনিরুল ইসলাম তাঁকে আটক করেন। এ সময় পুলিশ ও সোর্সরা তাঁকে শারীরিকভাবে হেনস্তা ও সন্ত্রাসী জাবেদ পুলিশের সামনে শারমিনকে মারধর করেন। থানার ওসি শারমিনকে লাঠি দিয়ে মারধর এবং এসআই জগৎজ্যোতি দাস বাদীর পেটে লাথি মারেন। বাদী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা থাকায় রক্তক্ষরণে ভ্রূণ নষ্ট হয়ে যায়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাদীকে আদালতে হাজির না করে ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় হাজির করেন। ৮ জানুয়ারি আদালত বাদীকে জামিন দেন। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা জানান গর্ভে থাকা ভ্রূণ নষ্ট হয়ে গেছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সন্ত্রাসী’ স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশের জিরো টলারেন্স দেখে পুলিশের মনোবল ভেঙে দিতে মিথ্যা মামলার আবেদন করেছেন সাজ্জাদের স্ত্রী।
সাজ্জাদ হোসেন