পাট পণ্যের বহুমুখী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।পাট নিয়ে সমস্যার দ্রুত সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ‘এসো দেশ বদলাই-পৃথিবী বদলাই’ স্লোগান নিয়ে পাট অধিদপ্তর ও জেডিপিসি আয়োজিত ৪ দিনব্যাপী বহুমুখী পাটপণ্য মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা বলেন, “আমরা বিভিন্ন জায়গায় বৈচিত্র্যময় পাট মেলার আয়োজন করছি। কিছু দিন আগে বাণিজ্য মেলা সম্পন্ন হয়েছে। সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কক্সবাজারে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় অংশগ্রহণকারীরা খুশি এবং তারা প্রবৃদ্ধির আশা করছেন। সরকার তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে।”

বিভাগীয় এবং জেলা পর্যায়ে আরো মেলার আয়োজন করা হবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, “পাটের দ্রব্য তৈরির উপকরণ নিয়ে যে সমস্যা রয়েছে তা সমাধান করা হবে।”

রমজানে দ্রব্যমূল্য বাড়বে না জানিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “সম্প্রতি একটি ব্যবসায়িক সম্মেলনে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সবাই একত্রে কাজ করছে। তাই আশা করছি, রমজানে বাজারে পণ্যের মূল্য কোনোভাবেই বাড়বে না। তেল, চিনি, খেজুর, ছোলা, মাছ, মুরগি, ডিম ও মৌসুমি সবজির সরবরাহ সঠিকভাবে করা হবে।”

পাট অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) সত্যকাম সেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং উদ্যোক্তাদের সাথে পাট পণ্যের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন।

এবারের বহুমুখী পাটপণ্য মেলায় ৩৩টি স্টল রয়েছে। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত।

ঢাকা/হাসনাত/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যারাডোনাকে বাসায় নিয়ে যাওয়াটাই ভুল হয়েছিল, বললেন চিকিৎসক

বুয়েনস এইরেসের সান ইসিদরো আদালতে বিচার চলছে। ডিয়েগো ম্যারাডোনার শেষ দিনগুলোয় তাঁর চিকিৎসায় নিয়োজিত সাতজন চিকিৎসক এই মামলায় অভিযুক্ত। ম্যারাডোনার চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। গতকাল শুনানিতে এক চিকিৎসক নিজের সাক্ষ্যে বলেছেন, মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর ম্যারাডোনাকে বাসায় নিয়ে যাওয়াটা ভুল হয়েছে।

মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের সপ্তাহ দু-এক পর ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর মারা যান ম্যারাডোনা। বুয়েনস এইরেসে এক অভিজাত এলাকায় ভাড়া করা বাড়িতে জীবনের শেষ দিনগুলো কেটেছে ’৮৬ বিশ্বকাপের কিংবদন্তির। সে বাসাকে ‘হোম হসপিটাল’ বানিয়ে ম্যারাডোনার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ম্যারাডোনার দুই কন্যা দালমা ও জিয়ানিন্নার পক্ষের আইনজীবী ফের্নান্দো বার্লান্দো এর আগে শুনানিতে দাবি করেন, সেই বাসা কোনো রোগীর থাকার জন্য উপযোগী ছিল না, ‘বাসাটা ছিল শূকরের খোঁয়াড়ের মতো, এতটা নোংরা খুব কমই দেখা যায়।’

১৯৮৬ বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে ডিয়েগো ম্যারাডোনা

সম্পর্কিত নিবন্ধ