রূপগঞ্জে সরকারী আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের মানববন্ধন
Published: 5th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর হোসেন মিয়াসহ তার লোকজনকে টাকা না দিলেই সরকারী আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে তালা দিয়ে বিতাড়িত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী বাসিন্দারা।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারী ) সকালে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় বক্তব্য প্রদান করেন ভুক্তভোগী বিতাড়িত বাসিন্দা আব্দুল বাকি, রিমন মিয়া, শাহেরা, ইয়াছমিন বেগমসহ অর্ধশত নারী পুরুষ। বক্তারা বলেন,সাবেক কাউন্সিলর হোসেন মিয়ার পছন্দের লোক না হলেই মোটা অংকের টাকা দাবী করে। ওই টাকা না দিলেই আশ্রয়ণ প্রকল্পে বরাদ্দ পাওয়া ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ কাজে স্থানীয় কেন্দুয়া ভুমি অফিসের দালাল হাছান মিয়ার মাধ্যমে প্রকৃত হতদরিদ্রদের বঞ্চিত করে হয়রানি করে আসছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে বিচারের দাবী করেছেন মানববন্ধনে অংশ নেয়া ভুক্তভোগীরা। পরে ইউএনও সাইফুল ইসলামের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তারা৷ পরে ইউএনওর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আশ্বাসে ভুক্তভোগীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাবেক কাউন্সিলর হোসেন মিয়া।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
পর্দানশীল নারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের দাবিতে শহরে মানববন্ধন
ধর্মীয় ও ব্যক্তিগত অধিকার অক্ষুন্ন রেখে পর্দানশীল নারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন জেলা পর্দানশীল নারী সমাজ।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্ত্বরে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন হাতে নিয়ে এই কর্মসূচী পালন করেন অর্ধ শতাধিক পর্দানশীল নারী।
মানববন্ধন ও সমাবেশ শেষে অধিকার প্রতিষ্ঠার ৩ দফা দাবিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে জেলা নির্বাচন অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
পর্দানশীল নারী সমাজের পক্ষে জেলা সদরের ফতুল্লা থানার সিয়াচর তক্কার মাঠ এলাকার মিসেস আব্দুল লতিফ, আহম্মেদ মুক্তা, রিতা আক্তার, মুহম্মদ ফজলুল করিম এই স্মারকলিপি প্রদান করেন।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও ধর্মীয় বিধিবিধান মেনে চলতে পর্দা করা ও ছবি তুলতে অসম্মতির কারণে পর্দানশীল নারীরা গত ১৬ বছর ধরে জাতীয় পরিচয়পত্র পাচ্ছেন না।
ফলে ব্যাংক লেনদেন, নমিনি, পেনশন, সরকারী ত্রান সহায়তা ও জমি-ক্রয়-বিক্রয় সহ সব ধরণের নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। পাশাপাশি ভোটের অধিকার প্রয়োগ থেকেও ১৬ বছর ধরে বঞ্চিত হয়ে আসছেন তারা।
পর্দানশীল নারীদের অভিযোগ, শিক্ষিত হয়েও তাদের মানবাধিকার হরণ সহ সমাজে নানাভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। তাই পর্দানশীল নারীরা যারা ছবি তুলতে রাজি নন তাদের আঙ্গুলের ছাপের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করে রাষ্ট্রীয় নিবন্ধনভুক্ত করার দাবি জানান বক্তারা।
এসময় পর্দানশীল নারী সমাজ তাদের ন্যায়সঙ্গত দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন ।