সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ভর্তিতে আর্থিক সহায়তা পেতে শিক্ষার্থীদের আবেদন শুরু হবে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) শুরু হয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তিচ্ছুরা ভর্তি সহায়তার আবেদন করতে পারবেন। উপজেলা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদেরকে এ সংক্রান্ত চিঠি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ভর্তিতে অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের এই আর্থিক সহায়তা দেবে প্রধান উপদেষ্টার শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ভর্তি সহায়তা পেতে শিক্ষার্থীকে নির্ধারিত লিংকে প্রবেশ করে (http://www.

eservice.pmeat.gov.bd/admission/) অনলাইনে আবেদন করতে হবে। ই-ভর্তি সহায়তার ব্যবহার নির্দেশিকা অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করে শিক্ষার্থীকে ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবেদন করার জন্য বলা হয়েছে। অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণ ভর্তি সহায়তা প্রদান নির্দেশিকা-২০২০ অনুসারে ২০২৩-২৪ অর্থবছর ভর্তি সহায়তা দেওয়া হবে।

প্রধান উপদেষ্টার শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ওয়েবসাইটের ভর্তি সহায়তা সেবা বক্সে আপলোড করা ফরম ডউনলোড ও প্রিন্ট করে শিক্ষার্থী যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হচ্ছে সে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা বিভাগীয় প্রধানের কাছ থেকে সুপারিশ নিয়ে আবেদন করতে হবে।

জানা গেছে, জাতীয় বেতন স্কেলে ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের সব কর্মচারীর সন্তানকে আবেদন পত্রের সঙ্গে অভিভাবকের অফিস প্রধানের দেওয়া বেতন গ্রেডের প্রত্যয়ন সংযুক্ত করতে হবে। অন্যান্য শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা বিভাগীয় প্রধানের দেয়া শিক্ষার্থীর বাবা-মা অভিভাবকের বাৎসরিক আয় দুই লাখ টাকার কম বলে প্রত্যয়ন সংযুক্ত করতে হবে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী, এতিম শিক্ষার্থী, ভূমিহীন পরিবারের সন্তান ও নদী ভাঙন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সন্তান, অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা সন্তানের সন্তানদের ভর্তি সহায়তা পেতে অগ্রাধিকার পাওয়ার জন্য প্রমাণপত্র সংযুক্ত করে আবেদন করতে হবে। ভর্তি সহায়তার আবেদনের সঙ্গে সব শিক্ষার্থীকে সর্বশেষ শ্রেণির পরীক্ষার সত্যায়িত নম্বরপত্র সংযুক্ত করতে হবে।

বিএইচ

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: স য ক ত কর

এছাড়াও পড়ুন:

অবিশ্বাস্য নাটকীয়তার পর আতলেতিকোকে হারিয়ে শেষ আটে রিয়াল

আতলেতিকো মাদ্রিদ ১ : ০ রিয়াল মাদ্রিদ

(দুই লেগ মিলিয়ে ২-২ ব্যবধানে সমতা থাকার পর টাইব্রেকারে রিয়ালের জয় ৪-২ গোলে)

অবিশ্বাস্য! অবিশ্বাস্য এক ম্যাচই বটে। প্রথম মিনিটে গোল, ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের পেনাল্টি মিস এরপর টাইব্রেকারের মহানাটকে গোল করেও পেলেন না হুলিয়ান আলভারেজ। ফলাফল চ্যাম্পিয়নস লিগের ধ্রুপদি এক লড়াইয়ে আতলেতিকোকে ৪-২ গোলে হারিয়ে শেষ আটে গেছে রিয়াল। এর আগে নির্ধারিত সময়ের খেলায় রিয়ালকে আতলেতিকো ১-০ গোলে হারালেও দুই লেগ মিলিয়ে ম্যাচ সমতায় ছিল ২-২ গোলে।

টাইব্রেকারে কিলিয়ান এমবাপ্পে, জুড বেলিংহাম, ফেদেরিকো ভালভের্দে এবং আন্তোনিও রুদিগার লক্ষ্যভেদ করলেও মিস করেছেন লুকাস ভাসকেজ। অন্য দিকে আতলেতিকোর হয়ে আলেক্সান্দার সোরলথ, আনহেল কোরয়ো গোল করলেও মিস করেছেন আলভারজে ও মার্কোস লরেন্তে। এর মধ্যে আলভারেজের গোল বাতির হয়েছে অদ্ভু কারণে। ডান পায়ে শট নেওয়ার আগ মুহূর্তে খানিকটা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আর্জেন্টাইন তারকার বাঁ পাটাও বলে লেগে যায়। ফলে বল জালে জড়ালেও বাতিল হয় সেই গোল। আর এটিই শেষ পর্যন্ত ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।  

আর রিয়ালের এই জয় ভিনিসিয়ুসকে বাঁচিয়ে দিয়েছে ট্র্যাজিক হিরো হওয়া থেকে। চ্যাম্পিয়নস লিগে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র বরাবরই বড় ম্যাচের তারকা। সেমিফাইনাল-ফাইনালে বরবারই এগিয়ে এসে দলের দায়িত্ব নিতে দেখা গেছে তাঁকে। আজকের ম্যাচটা শেষ ষোলোর হলেও গুরুত্ব এর চেয়ে কম ছিল না। তবে এবারের চিত্রনাট্যটা লেখা হয়েছে ভিন্নভাবে। যেখানে লেখা ছিল না ভিনির নায়ক হওয়ার কথা। এমনকি পেনাল্টি মিস করার কারণে হতে পারতেন ভিলেনও। কিন্তু সতীর্থরা তাঁকে এবার বাঁচিয়ে দিয়েছেন।

আতলেতিকোর মাঠে প্রথম লেগের লিড হারাতে এক মিনিটও লাগেনি রিয়ালের। ম্যাচ শুরু হতে না হতেই দারুণ এক আক্রমণ থেকে গোল করেন কনর গ্যালাগার। চ্যাম্পিয়নস লিগে এটি আতলেতিকোর সবচেয়ে দ্রুততম গোল। আর রিয়ালের জন্য এটি ২০১০ সালের পর চ্যাম্পিয়নস লিগে তাদের হজম করা দ্রুততম গোল। এই গোলের পর রিয়াল রীতিমতো ঝাঁপিয়ে পড়ে আতলেতিকোর ওপর। আতলেতিকোও অবশ্য ছেড়ে কথা বলেনি।

দারুণ প্রেসিংয়ে পাল্টা জবাব দেয় তারাও। দুই দলের এমন আক্রমণাত্মক মনোভাবের কারণেই রোমাঞ্চকর হয়ে ওঠে দ্বৈরথ।

তবে রিয়ালের আক্রমণগুলো আতলেতিকোর বক্সে এসে বারবার খেই হারাচ্ছিল। অন্য দিকে পাল্টা আক্রমণে আতলেতিকোও চেষ্টা করছিল সুযোগ তৈরির। ২৫ মিনিটে দুর্দান্ত গোলকিপিংয়ে রিয়ালকে বাঁচান থিবো কোর্তোয়া। ৩৫ মিনিটে আরও একবার গোলের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল আতলেতিকো। তবে এবারও অল্পের জন্য হতাশ হতে হয় স্বাগতিকদের। একটু পর ফের আলভারেজকে হতাশ করেন কোর্তোয়া।

বিরতির পরও রিয়ালকে চেপে ধরে আতলেতিকো। শুরুর দিকেই একাধিক সুযোগ তৈরি করে তারা। যদিও গোল পাওয়া হয়নি। সুযোগ পেয়েছে রিয়ালও। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে তারাও। তবে … মিনিটে ম্যাচের দৃশ্যপট বদলে দেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। প্রতি-আক্রমণ থেকে আতলেতিকোর দুই ডিফেন্ডারকে নাকাল করে ঢুকে পড়েন আতলেতিকো বক্সে। উপায় না দেখে ফাউল করেই তাঁকে থামাতে হয় লেংলেকে। তবে নাটক তখনো আরও বাকি। পেনাল্টিটা মিস করে বসেন ভিনি। শট নিয়ে বল পাঠান অনেক বাইরে দিয়ে।  

রিয়াল সুযোগ মিস করায় সমতাতেই এগিয়ে চলে ম্যাচ। দুই দলই এ সময় সুযোগ পেয়েছিল এগিয়ে যাওয়ার। কিন্তু এরপর নির্ধারিত সময় এবং অতিরিক্ত সময়েও কোনো দল আর গোল পায়নি। যে কারণে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে, যেখানে বাজিমাত করে রিয়াল।

লিল ১ : ২ ডর্টমুন্ড

(দুই লেগ মিলিয়ে ডর্টমুন্ড ৩-২ গোলে জয়ী)

প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করে এমনিতেই চাপে ছিল বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। লিলের মাঠে সেই চাপ আরও বাড়ে ৫ মিনিটে জোনাথন ডেভিডের গোলে পিছিয়ে যাওয়ার পর। এই গোলের পর ‍দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে ডর্টমুন্ড। প্রথমার্ধে চেষ্টা করেও সমতা ফেরাতে পারেনি সিগন্যাল ইদুনা পার্কের ক্লাবটি। পিছিয়ে থেকেই যেতে হয় বিরতিতে।

বিরতির পর অবশ্য অন্য রূপেই দেখা যায় ডর্টমুন্ডকে। ৫৪ মিনিটে এমরে চানের পেনাল্টি গোলে ম্যাচে ও দুই লেগ মিলিয়ে সমতায় ফেরে ডর্টমুন্ড। এরপর ম্যাচের ৬৫ মিনিটে ম্যাক্সিমিলিয়ান বেইয়েরের গোলে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় ডর্টমুন্ড। এরপর আর কোনো গোল না হলেও দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলে জিতে পরের শেষ আটে চলে গেছে ডর্টমুন্ড। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ বার্সেলোনা।

আর্সেনাল ২ : ২ পিএসভি

(দুই লেগ মিলিয়ে আর্সেনাল ৯-৩ গোলে জয়ী)

এই ম্যাচটা অবশ্য প্রথম লেগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। পিএসভির মাঠে আর্সেনাল ৭-১ গোলে জেতার পর কার্যত কোনো আশাই ছিল না ডাচ ক্লাবটির। আজ আর্সেনালের মাঠে শুধু আনুষ্ঠানিকতাটুকুই সম্পন্ন হলো। আর দুই লেগ মিলিয়ে পিএসভির হারল ৯-৩ ব্যবধানে। আজকের ম্যাচটি ড্র হয়েছে ২-২ গোলে।  

অ্যাস্টন ভিলা ৩ : ০ ক্লাব ব্রুগা

(দুই লেগ মিলিয়ে অ্যাস্টন ভিলা ৬-১ গোলে জয়ী)

প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ৩-১ গোলে হারের পরই কোয়ার্টার ফাইনালের আশা শেষ হয়ে গিয়েছিল ক্লাব ব্রুগার। অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগেও অবশ্য কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারেনি তারা। এবার হেরেছে ৩-০ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে ব্রুগার হার ৬-১ গোলে। আজ শেষ আটে যাওয়ার পথে ভিলার হয়ে জোড়া গোল করেছেন মার্কো অ্যাসেনসিও। আর অন্য গোলটি ইয়ান মাতসেনের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ