তদন্তের মধ্যেই বাটলার বললেন, ' হয় ওরা, নয় আমি থাকব'
Published: 5th, February 2025 GMT
নারী ফুটবল দলের সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। ১৮ জন নারী ফুটবলার ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলারের অধীনে অনুশীলন না করার যে ঘোষণা করেছেন, এর বিপরীতে বাটলারও কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। নির্দিষ্ট কয়েকজন ফুটবলার ক্যাম্পে থাকলে এই দলের কোচিং করাবেন না তিনি, আজ বিকেলে বাফুফে ভবনে সাংবাদিকদের কাছে এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বাটলার।
গত রাতে বাফুফের বিশেষ কমিটির সামনে মুখোমুখি হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে কোচ বলেন, `কমিটি আমার কাছে যা জানতে চেয়েছে, আমি তার ব্যাখ্যা দিয়েছি। আমি স্পষ্টভাবে বলেছি, যারা বাফুফে ভবনে থেকে ও বাফুফের খাবার খেয়ে বাফুফেতেই দাঁড়িয়ে ভিত্তিহীন কথা বলে, আমি তাদের কোচিং করাব না।'
১৮ জন নারী ফুটবলার কোচের বিপক্ষে নানা অভিযোগ এনেছেন। এর মধ্যে ১৬ জন সাফজয়ী দলের সদস্য। তাঁদের অভিযোগ বিশেষ কমিটির কাছে গুরুত্ব পাবে না, এমন আশা করে বাটলার বলেন, `আমার বিশ্বাস তারা (বিশেষ কমিটি ) সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। আমার স্পষ্ট কথা, হয় ওরা থাকবে নয়তো আমি, সমঝোতার কোন সুযোগ নেই।' এরপর যোগ করেন, `বিদ্রোহী ফুটবলাররা সহানুভূতি কার্ড খেলছে, যার কোনো ভিত্তি নেই।'
বিদ্রোহীদের মধ্যে কয়েকজন ফুটবলারকে বাটলার বাদ দিতে চান বলে শোনা যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, `আমি কয়েকজনের নাম দিয়েছি, সেই কয়েকজন থাকলে আমি কোচিং করাব না। নির্দিষ্ট কয়েকজন ফুটবলার অনুশীলনে যাচ্ছে না এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে। এটা ননসেন্স, এটা বন্ধ হওয়া দরকার।'
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ টবল র
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল ইস্যুতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জরুরি বৈঠক
ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের পণ্য তৃতীয় দেশে যাওয়ার ব্যবস্থা মঙ্গলবার বাতিল করেছে ভারত। এ নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আজ বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় বৈঠকে বসছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৈঠক চলছে। এতে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সভাপতিত্ব করছেন।
ঢাকার কারওয়ান বাজারের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়েছে। এতে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরাও উপস্থিত রয়েছেন। আর অনলাইনে যুক্ত রয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার।
ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের পণ্য তৃতীয় দেশে যাওয়ার জন্য ২০২০ সালের ২৯ জুন একটি আদেশ জারি করেছিল ভারত। ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি) গতকাল মঙ্গলবার সেই আদেশ বাতিল করেছে।
২০২০ সালের ২৯ জুনের পর থেকে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় কোনো দেশে পণ্য রপ্তানিতে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ভারতের একটি শুল্ক স্টেশন ব্যবহার করে অন্য কোনো বন্দর বা বিমানবন্দর ব্যবহার করার সুযোগ ছিল। গতকাল ভারত বলেছে, যেসব পণ্যবোঝাই যানবাহন ইতিমধ্যে ভারতের ভূখণ্ডে আছে, সেগুলোকে দ্রুত ভারতের ভূখণ্ড ত্যাগ করতে হবে।