বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, “হেলিকপ্টার থেকে গুলি, মৃত মানুষকে পুড়িয়ে মারাসহ নানা অত্যাচারে-নির্যাতনে আল্লাহর আরশ কেঁপেছে, মানুষের মন কেঁদেছে কিন্তু শেখ হাসিনার হৃদয় কাঁপেনি। বরং কোটা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্রদের রাজাকার বলে শেখ হাসিনা দাম্ভিকতা দেখিয়েছেন। হাসিনার সেই দাম্ভিকতাই তার পতনের কারণ হলো।”

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত জুলাই ২০২৪ বিপ্লবের শহীদ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

জামায়তের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আরো বলেন, “জুলাই আন্দোলনের শহীদরা কোন দলের নয়, তারা জাতীয় সম্পদ, জাতীয় বীর।” 

‘দ্বিতীয় স্বাধীনতার শহীদ যারা’ গ্রন্থ সম্পর্কে তিনি বলেন, “২৩টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে জামায়াতের টিম সকল শহীদ পরিবারের বাড়িতে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে ৭১৭ জনের তথ্য সম্বলিত আড়াই হাজার পৃষ্ঠার এই ১০ খণ্ডের বই প্রকাশ করেছে। এখনো তথ্য সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। আরও ৯৩ জনের তথ্য নিয়ে বই সংকলনের কাজ চলছে। যতক্ষণ তথ্য আসবে শহীদদের সংকলন ততক্ষণ চলতে থাকবে।”

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে এবং খুলনা মহানগর সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলালের সঞ্চালনায় আরো বক্তৃতা করেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, বাগেরহাট জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা রেজাউল করিম, খুলনা জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা ইমরান হোসাইন, খুলনার পাইকগাছার শহীদ রকিবুল হাসানের পিতা গাজী রফিকুল ইসলাম, শহীদ আলিফ আহমেদের পিতা বুলবুল কবির, নর্দান ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ড.

মো. শাহ আলম, খুলনা আলিয়া কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. মুফতি মাওলানা আব্দুর রহীম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাগেরহাট জেলা আহ্বায়ক এস এম সাদ্দাম হোসেন, সাতক্ষীরা জেলা যুগ্ম সম্পাদক নাজমুল হাসান রনি, খুলনা মহানগর ছাত্রশিবির সভাপতি আরাবাত হোসেন মিলন, কুয়েটার ছাত্র প্রতিনিধি ওমর ফারুক ও খুবির ছাত্র প্রতিনিধি তাসনিহ আহমেদ।

ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

রোনালদোর আল নাসর কেন নেই ক্লাব বিশ্বকাপে

২০০৮ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে চারবার ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। একটি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে, তিনটি রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে।

সেই সময় ৬ থেকে ৮ দল নিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন করত ফিফা। সাধারণত স্বাগতিক দেশের ক্লাব ও মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে বসত এই বৈশ্বিক আসর। রোনালদোর দল প্রতিবারই উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতে ইউরোপ মহাদেশের সেরা হয়ে ক্লাব বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে।

এ বছর থেকে বৃহৎ পরিসরে ক্লাব বিশ্বকাপ হতে চলেছে। আগামী ১৪ জুন থেকে ১৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ১১ শহরের ১২ ভেন্যুতে হবে এই টুর্নামেন্ট। খেলবে ৬ মহাদেশের ৩২টি ক্লাব।

আরও পড়ুনবডি ক্যাম নিয়ে নামবেন রেফারিরা, ক্লাব বিশ্বকাপে ফিফার চমক১৫ এপ্রিল ২০২৫

পরিধি বাড়ায় প্রায় সব মহাদেশ থেকে আরও বেশি দল এখন থেকে ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। লিওনেল মেসির দল ইন্টার মায়ামিও স্বাগতিক দেশের ক্লাব হিসেবে বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাচ্ছে।

কিন্তু রোনালদো এবার হতভাগাদের তালিকায়। তাঁর দল আল নাসর যে ২০২৫ ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি!

সৌদি আরব থেকে শুধু আল হিলাল ২০২৫ ক্লাব বিশ্বকাপে জায়গা পেয়েছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ