দনিয়া কলেজের শিক্ষার্থী খুন: ৬ জন রিমান্ডে
Published: 5th, February 2025 GMT
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে দনিয়া কলেজের ছাত্র মিনহাজ হত্যা মামলায় ছয় জনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ মামলার এক আসামি শিশু হওয়ায় তার রিমান্ড শুনানি শিশু আদালতে হবে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন—মাহফুজ সরকার, জাহিদুল ভূঁইয়া শাওন, সাব্বির সরকার, আশিক, কাওছার মিয়া, শাহ আলম এবং সোহান মিয়া। তাদের মধ্যে মাহফুজ সরকারের ৫ দিন এবং পাঁচ জনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
সোহান শিশু হওয়ায় তার রিমান্ড শুনানি শিশু আদালতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক মো.
এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শাওনকে শিশু দাবি করে আদালতে ডকুমেন্ট জমা দেন তার আইনজীবী।
বাদীপক্ষে সবুজ খান রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত ৩১ জানুয়ারি পটুয়াখালী সদর থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে জেলা পুলিশের সহযোগিতায় শাহ আলম ছাড়া বাকি ছয় জনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওয়ারী বিভাগের দল। পরদিন ছয় জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মিনহাজুল যাত্রাবাড়ী থানাধীন শনিরআখড়ার দনিয়া কলেজের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ২৬ জানুয়ারি দনিয়া কলেজে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মিনহাজের সঙ্গে মাহফুজ ওরফে কিং মাহফুজসহ অন্য আসামিদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে ২৮ জানুয়ারি বিকেলে মিনহাজ ও তার বন্ধু আহাদ দনিয়া কলেজের সামনে গেলে সেখানে মাহফুজসহ অন্য আসামিরা পরিকল্পিতভাবে সুইচ গিয়ার চাকু, চাপাতি, রাম দাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মিনহাজকে এলোপাথারি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। মিনহাজকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মিনহাজের বড় ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে মাহফুজসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জনকে আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঢাকা/মামুন/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ র কর কল জ র
এছাড়াও পড়ুন:
রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুনসাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত ৩ এর বিচারক দেবী রানী রায়ের আদালতে হাজির করা হয়। সরকার পক্ষ আর রিমান্ড এর আবেদন না করায় বিচারক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সেই সঙ্গে আসামির পক্ষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করা হয়।
এর আগে বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে কঠোর পুলিশী নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। আসামিকে নতুন করে আর রিমান্ডে নেবার জন্য মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা কোন আবেদন করেনি। তবে আসামি পক্ষে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। আদালত শুনানী শেষে আসামির জামিনের আবেদন না মজ্ঞুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী সাইদ কামাল ইবনে খতিব জানান, আমার মক্কেল সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ খুব অসুস্থ। আদালতে তার জামিন আবেদন করলে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরনের আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোড এলাকায় অবস্থিত আসামির এক ভাগ্নের বাসা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট এস এম মুন্না হত্যা মামলার এজাহার নামীয় এক নম্বর আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের দিন শুক্রবার সকালে আসামি আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা এস আই মোস্তাফিজ। আদালত ৫ রিমান্ড মজ্ঞুর করেন। আজ মঙ্গলবার ৫ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
বিএইচ