রাবিতে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় সমন্বয়ক-শিবির নেতা আটক শিরোনামে প্রথম আলোর নামে ভুয়া ফটোকার্ড
Published: 5th, February 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাতটি আবাসিক হল ও কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে গত ১২ জানুয়ারি পোড়া কোরআন শরিফ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনাটি নিয়ে প্রথম আলোর নামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। ভুয়া ফটোকার্ডে দাবি করা হয়, এ ঘটনায় ফরিদ নামের এক সমন্বয়ক ও ছাত্রশিবির নেতাকে আটক করা হয়েছে। তিনি হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা সৃষ্টির জন্য এই কাজ করেছেন।
বাংলাদেশের তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে। এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন আজ বুধবার রিউমর স্ক্যানারের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় এক শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার’ শীর্ষক প্রথম আলোর প্রতিবেদন স্ক্রিনশট.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
নোয়াখালী-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী, তার স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস, মেয়ে সুমাইয়া আলী ঈশিতা এবং দুই ছেলে আশিক আলী ও মাহতাব আলীর বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থাকায় তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সিফাত উদ্দিন তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, মোহাম্মদ আলী এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জন, খাস জমি দখল করে ৫ তলা বাণিজ্যিক হোটেল নির্মাণ এবং সন্দেহজনক লেনদেন বা মানিলন্ডারিংসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে।
অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ-সংশ্লিষ্টরা সপরিবারে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।
মোহাম্মদ আলী ছাত্রজীবনে বামপন্থি রাজনীতি করতেন। পরে যোগ দেন যুবদলে। এর পর জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। তিনি ১৯৮৬ সালে তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সমর্থন নিয়ে নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেলেও ঋণখেলাপি হওয়ায় মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে হেরে যান। আয়েশা ফেরদাউস ২০১৪ ও ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন। পরবর্তীতে সরকার পতন হলে তিনি পদ হারান।
ঢাকা/মামুন/রফিক