রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ফ্যাসিবাদীদের বিচারসহ তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে রাবি গণঅভ্যুত্থান মঞ্চ।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী তামিম বলেন, “অতীতে শিক্ষার্থীদের হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত ফ্যাসিস্টদের কোন কার্যক্রম চলতে দেওয়া হবে না। ছাত্র-সমাজ দমে যায়নি, তারা ফ্যাসিবাদ প্রতিহত করবে।”

শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান জিয়া বলেন, “সরকার ফ্যাসিস্ট শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে, দোসরদের প্রমোশন দিচ্ছে, কিন্তু ন্যায়বিচার নেই। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাসিস্টদের নামে ভবন-হল পরিবর্তনের উদ্যোগ হলেও রাবিতে তা বাস্তবায়িত হয়নি।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন। তাদের দাবিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসর শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিচার নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্টদের প্রমোশন অনতিবিলম্বে স্থগিত করা; ফ্যাসিস্ট ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবন ও আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন করে সেবার মান বৃদ্ধি করা।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সালমান এফ রহমানের বিদেশের সম্পদ জব্দ, কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসামরিক, শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের নামে লন্ডনে থাকা স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে বিদেশি দুই ব্যাংক হিসাব ও কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করা হয়েছে। 

সোমবার (১০ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। 

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন এ আবেদন করেছিলেন।

আবেদনে বলা হয়, সালমান এফ রহমান ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে প্লেসমেন্ট শেয়ার কারসাজি ও প্রতারণার মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট, অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে দেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণপূর্বক আত্মসাতসহ হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানকালে সালমান এফ রহমান, তার পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ অন্যান্যদের নামে ব্যাংক হিসাবসমূহের তথ্য পাওয়া যায়। 

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তারা এসব ব্যাংক হিসাবসমূহ হস্তান্তর/স্থানান্তর/রূপান্তর করার চেষ্টা করছেন। এতে সফল হলে, অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা দায়ের, আদালতে চার্জশিট দাখিল, আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় হতে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সকল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। 

এজন্য সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে সালমান এফ রহমানের স্থাবর সম্পদ জব্দ ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সালমান এফ রহমান, তার পরিবারের সদস্য ও তার সহযোগীদের নামে থাকা ৩৭২টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত। এসব হিসাবে সর্বমোট ৫৫ কোটি ৬ লাখ ৪৭ হাজার ১১৭ টাকা রয়েছে। 

গত বছরের ১৩ আগস্ট রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে নৌপথে পালানোর সময় সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

ঢাকা/মামুন/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ