ফরচুন বরিশালের বাকি ক্রিকেটাররা তখনো গা গরমই শুরু করেননি। তওহিদ হৃদয় এক থ্রোয়ারকে নিয়ে চলে যান একাডেমি মাঠের কোনায়। বরিশালের ঐচ্ছিক অনুশীলনে ওখানেই কাটে তাঁর পুরোটা সময়। বেশ মন দিয়ে অনুশীলন করা তওহিদ হৃদয়ের ভাবনায় হয়তো একটা শব্দ খেলে যাচ্ছিল তখন—ফাইনাল।

বিপিএলের ফাইনাল হৃদয়ের জন্য এখন পর্যন্ত এক ‘অপয়া’ ব্যাপার হয়ে আছে। এ নিয়ে টানা চতুর্থ ফাইনাল খেলতে যাচ্ছেন হৃদয়, কিন্তু কখনোই তাঁর পাওয়া হয়নি শিরোপার স্বাদ।

দুর্ভাগ্যের শুরুটা হয়েছিল ২০২২ সালে ফরচুন বরিশালের হয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের কাছে হেরে। পরের বছর হৃদয় যান সিলেট স্ট্রাইকার্সে। দুর্দান্ত খেলে দলকে ফাইনালেও তোলেন। কিন্তু সেবার তাঁর দল আবার হারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের কাছে। ২০২৪ সালে ওই কুমিল্লার হয়েই ফাইনালে খেলে হৃদয় হারেন বরিশালের কাছে।

চক্রপূরণের মতো এবার আবার হৃদয় বরিশালের হয়ে বিপিএলের ফাইনালে। আজ সন্ধ্যায় খুলনা টাইগার্স ও চিটাগং কিংসের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচের পর জানা যাবে তাঁদের প্রতিপক্ষ। এবার কি হাসতে পারবেন হৃদয়? প্রশ্নের উত্তরটা অবশ্য শুক্রবারের আগে পাওয়া যাবে না।

তবে হৃদয়ের মলিন হয়ে যাওয়া ব্যাট ফাইনালের আগেই হেসেছে। লিগ পর্বের ১২ ম্যাচে মাত্র ১৯৮ রান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। তবে কোয়ালিফায়ারে ৫৬ বলে ৮২ রান করে দলকে জিতিয়েছেন তিনি। আগের ওই বাজে সময়টাতে সমর্থন জোগানোয় বরিশালের অধিনায়ক তামিম ও বাকিদের ফেসবুক পোস্টে ধন্যবাদ জানিয়েছেন হৃদয়।

আজ দুপুরে অনুশীলন শেষে হৃদয়কে ওই সময়ে সমর্থন দেওয়ার কথা বলেছেন বরিশালের প্রধান কোচ মিজানুর রহমান বাবুলও, ‘তওহিদ হৃদয়ের প্রতি সব সময় আমাদের বিশ্বাস ছিল। আমরা যখন তাকে নিয়েছি, সে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। আমরা ওভাবেই তাকে বেছে নিয়েছি।’

বাবুল আরও বলেন, ‘শুরু থেকেই তার রানের ক্ষুধা ছিল, সে রান করতে চায় সব সময়। আমরা তাকে সব সময় ব্যাক করার চেষ্টা করেছি। এ ছাড়া সে যেন ডিমোরালাইজ বা এ রকম কিছু না হয়, সেটা আমরা আমাদের তরফ থেকে চেষ্টা করেছি। হৃদয় নিজের উদ্যোগে কীভাবে কোন প্রক্রিয়ায় রান করা যাবে, বের করেছে। আমরা তাকে অনুশীলনে, মানসিকভাবে সমর্থনগুলো দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিনিয়োগ সম্মেলনে স্টারলিংকের ইন্টারনেট–সেবা, গতি ১০০–১২০ এমবিপিএস

বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে ইন্টারনেট–সেবা চালু করেছে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট–সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক।

রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনের তৃতীয় দিনে আজ বুধবার স্টারলিংকের ইন্টারনেট সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। আগামীকালও সবার জন্য এটি উন্মুক্ত থাকবে; অর্থাৎ রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে দুদিন স্টারলিংক বিনা পয়সা বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের ইন্টারনেট–সেবা দিচ্ছে।

মূলত বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) সেখানে স্টারলিংকের ইন্টারনেট–সেবা প্রদর্শন করছে। এর মাধ্যমে সম্মেলনে আসা অতিথি ও দর্শনার্থীরা সরাসরি স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট প্রযুক্তির অভিজ্ঞতা নিতে পারছেন। বিএসসিএলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৭ এপ্রিল থেকেই তাঁরা স্টারলিংকের ইন্টারনেট চালুর জন্য কাজ করছিলেন৷ আজ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এটি চালু হয়েছে। তবে দেশে পূর্ণাঙ্গভাবে চালুর বিষয়ে সরকার বা স্টারলিংকের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।

গত ২৯ মার্চ বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) স্টারলিংককে বিনিয়োগ নিবন্ধনের অনুমোদন দেয়। যেখানে প্রতিষ্ঠানটিকে কার্যক্রম শুরু করার জন্য ৯০ কর্মদিবস সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তবে বাণিজ্যিকভাবে ইন্টারনেট–সেবা দিতে হলে স্টারলিংককে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে এনজিএসও (নন-জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট অর্বিট) নিবন্ধন নিতে হবে। এই নিবন্ধনের জন্য চলতি সপ্তাহে বিটিআরসিতে আবেদন করেছে কোম্পানিটি।

বিনিয়োগ সম্মেলনস্থলে সরেজমিনে দেখা যায়, সম্মেলনের মূল প্রবেশপথের একটি স্থানে বুথ বসিয়ে সবাইকে স্টারলিংকের ইন্টারনেটে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে বিএসসিএল। এ কারণে বুথটির সামনে দুপুরের পর থেকেই উৎসুক মানুষের ভিড় দেখা গেছে।

বিনিয়োগ সম্মেলনে স্টারর্লিংক ব্যবহার করছেন একজন দর্শনার্থী

সম্পর্কিত নিবন্ধ