ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালিত
Published: 5th, February 2025 GMT
‘সমৃদ্ধ হোক গ্রন্থাগার, এই আমাদের অঙ্গীকার’ প্রতিপাদ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালন করা হয়েছে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিবসটি উপলক্ষে বেলা সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে খাদেমুল হারামাইন বাদশাহ ফাহদ বিন আব্দুল আজিজ কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.
সভায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, “লাইব্রেরি একটি প্রাচীন প্রতিষ্ঠান। মুসলিম ইতিহাসের প্রতিটি সময়ে লাইব্রেরির গুরুত্ব ছিল অনন্য। এ উপমহাদেশে মুঘল শাসনামলে অনেক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। লাইব্রেরির কোন বিকল্প নেই। মানুষ লাইব্রেরি থেকেই নিজ জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে। পৃথিবীর সমৃদ্ধ বইগুলো লাইব্রেরিতেই সংরক্ষিত থাকে; এটি জ্ঞান ভান্ডার।”
তিনি বলেন, “বর্তমানে প্রযক্তির কারণে প্রতিষ্ঠানিক লাইব্রেরির গুরুত্ব কিছুটা কমেছে। আজ র্যালিতে তেমন শিক্ষার্থী নেই। এটা আমাদের প্রশাসনিক ব্যার্থতা। আগামী বছর থেকে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে লাইব্রেরি দিবস পালন করা হবে। আমাদের লাইব্রেরিতে কিছু সমস্যা রয়েছে। তবে এসব সমস্যা কিভাবে কাটিয়ে ওঠা যায়, সে বিষয়ে কাজ চলছে।”
২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে ৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে দেশে দিবসটি প্রথম পালিত হয়।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কক্সবাজারে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ইউএনডিপির সঙ্গে কাজ করবে জাপান
কক্সবাজারে টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি’র (ইউএনডিপি) সঙ্গে কাজ করবে জাপান সরকার।
ঢাকায় অবস্থিত জাপান দূতাবাসে সোমবার (মার্চ ১০) এই উদ্দ্যেশ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করে দুই পক্ষ।
“সাস্টেনেবল সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট” নামে এই প্রকল্পটি কক্সবাজারে বসবাসরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের মাঝে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অবস্থার উন্নতি সাধন করে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করবে এবং এর পাশাপাশি অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করবে।
স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী ১ লাখ ৬০ হাজার রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষ ও ৬০ হাজার স্থানীয় মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশকে ১.৫ মিলিয়ন আর্থিক সহায়তা করবে জাপান সরকার। তাকাহাশিনাওকি, জাপানের ভারপ্রাপ্ত চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলারের উপস্থিতিতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও শরণার্থী শিবিরের কাছে অবস্থিত স্থানীয় মানুষের জীবনমান উন্নয়নে এই প্রকল্প ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করেন তাকাহাশি নাওকি।
তাকাহাশি আশা ব্যক্ত করেন, “রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে এই প্রকল্পটি সাজানো হয়েছে। আমি আশা করি, এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে এই অঞ্চলের মানুষের মাঝে বর্জ্য বিষয়ক জনসচেতনতার পাশাপাশি, জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি হবে এবং তাদের অর্থ উপার্জনের পথও তৈরি হবে। দিনশেষে এটি একটি স্বাস্থ্যকর, লিঙ্গ ও জলবায়ু উপযোগী সামাজিক বাস্তুসংস্থান তৈরিতে সাহায্য করবে। জাপান এই ধরনের টেকসই উদ্যোগে জড়িত থাকতে সবসময় আগ্রহী। তাই নিজেরা সহায়তা করার পাশাপাশি ইউএনডিপি’র মতো আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে এসব বিষয়ে সহযোগিতা করে যাবে।”
জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার অংশীদারমূলক কাজের প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শুধু মানুষের জন্য না, পরিবেশের জন্যও খুব গুরুত্বপূর্ণ। জাপান-ইউএনডিপি’র অংশীদারমূলক কাজ শুধুমাত্র বর্তমান সময়ে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণের জন্য না, বরং ভবিষ্যতেও মানুষ কিভাবে পরিবেশের ক্ষতি না করে বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সেইটা নিয়ে কাজ করবে। কক্সবাজারে পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ প্রতিষ্ঠায় স্থানীয় জনগণের পরামর্শ অনুযায়ী নতুন নতুন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে আমরা কাজ করব।”
২০১৭ সালের আগস্ট মাসে শুরু হওয়া রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকেই জাপান বাংলাদেশকে সহায়তা করে আসছে। নতুন এই আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি দেশটি বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ সরকার, ইউএনডিপি ও জাতিংসঘের অন্যান্য সংস্থার ও নানা জাতীয় সংস্থাকে ২৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে সহায়তা করেছে।
ঢাকা/হাসান/মাসুদ