Prothomalo:
2025-02-05@12:50:19 GMT

হালদায় ভেসে উঠল মৃত ডলফিন

Published: 5th, February 2025 GMT

চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননকেন্দ্র হালদা নদীতে ভাসমান অবস্থায় একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার বিনাজুরী গ্রাম এলাকা থেকে ডলফিনটি উদ্ধার করেন উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ের কর্মী ও নদীর স্বেচ্ছাসেবকেরা।

উদ্ধারকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডলফিনটির ওজন প্রায় ১৩ কেজি। দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে চার ফুট। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিসার্চ অ্যান্ড ল্যাবরেটরি সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, এটি নদীটিতে ২০২৫ সালে মারা যাওয়া প্রথম ডলফিন।

নদী–গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান মনজুরুল কিবরিয়া প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক দিন আগে মারা যাওয়ায় ডলফিনটির শরীরে পচন ধরেছে। তাই প্রাথমিক সুরতহাল করেই মৃত ডলফিনটি মাটিচাপা দেওয়া হয়। এর ময়নাতদন্ত করা হয়নি। রাউজান উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক সুরতহালে দেখা গেছে, ডলফিনটির শরীরে ধারালো এবং শক্ত কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

রাউজান উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এর আগে সর্বশেষ ২০২৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর নদীর আজিমেরঘাট এলাকায় ১৩ কেজি ওজনের আরেকটি মৃত ডলফিন উদ্ধার হয়েছিল। এ নিয়ে গত ছয় বছরে হালদা থেকে ৪৭টি মৃত ডলফিন উদ্ধার হলো। এর মধ্যে দু-একটি ছাড়া প্রায় সব ডলফিনেরই শরীরে আঘাতের চিহ্ন শনাক্ত হয়।

হালদা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) লাল তালিকাভুক্ত (অতি বিপন্ন প্রজাতি) জলজ স্তন্যপায়ী প্রাণী হলো ডলফিন। বিশ্বের বিভিন্ন নদীতে বিপন্ন প্রজাতির ডলফিন আছে মাত্র ১ হাজার ১০০টি। এর মধ্যে শুধু হালদাতেই ছিল ১৭০টি। গত সাড়ে পাঁচ বছরে হালদায় ৪৭টি ডলফিন মারা যাওয়ার ঘটনাটি খুবই উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন নদী ও প্রাণী বিশেষজ্ঞরা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল মৎস য

এছাড়াও পড়ুন:

ভোরের আলোয় বাটলারের বিকল্প দল

ভোরের আলো তখনো ফোটেনি। বায়তুল মোকাররম মসজিদের পাশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ফটকটা পুরোই খোলা। সেটির পথ ধরে একটু ভেতরে এগোতেই স্টেডিয়াম চত্বর অচেনা লাগে।

দিনের তুমুল ব্যস্ত এলাকায় সুনসান নীরবতা। দোকানপাট সব বন্ধ। ছিন্নমূল মানুষেরা ঘুমিয়ে এখানে-সেখানে। বাতি জ্বলছে কোথাও কোথাও। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা রাস্তা ঝাড়ু দেওয়ার কাজে নেমে পড়েছেন। নতুন একটা দিন শুরুর আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে।

ভোরের আলো ফোটার আগেই স্টেডিয়ামে চলে আসেন নারী ফুটবলাররা

সম্পর্কিত নিবন্ধ