জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিদ্যমান পদবি পরিবর্তন করার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। এ ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের নাম ‘জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা কমিশনার’ এবং ইউএনওর নাম পরিবর্তন করে ‘উপজেলা কমিশনার’ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন তুলে দেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী। একই দিন বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনও তুলে ধরা হয়।

পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে দুই কমিশনের কিছু কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং উপ প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। এরপর প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপও সাংবাদিকদের দেওয়া হয়।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) পদবি পরিবর্তন করে ‘অতিরিক্ত জেলা কমিশনার (ভূমি ব্যবস্থাপনা) করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

মামলার ক্ষমতা

জেলা কমিশনারকে মামলা গ্রহণের ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিষয়ে বলা হয়, জেলা কমিশনারকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সিআর (কোর্ট রেজিস্ট্রার) মামলা প্রকৃতির অভিযোগগুলো গ্রহণের ক্ষমতা দেওয়ার সুপারিশ করা হলো। তিনি অভিযোগগুলো তদন্তের জন্য উপজেলার কোনো কর্মকর্তাকে বা সমাজের স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মাধ্যমে সালিশি বা তদন্ত করার নির্দেশ দিতে পারবেন। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হলে থানাকে মামলা গ্রহণের নির্দেশ দিতে পারবেন। পরে মামলাটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় আদালতে চলে যাবে।

কমিশন বলছে, এর ফলে সাধারণ নাগরিকেরা সহজে মামলা করার সুযোগ পাবেন। অন্যদিকে সমাজের ছোটখাটো বিরোধ আদালতের বাইরে নিষ্পত্তি হয়ে গেলে আদালতের ওপর অযৌক্তিক মামলার চাপ কমবে। তবে এ ক্ষেত্রে অভিযোগকারী একই বিষয়ে পুনরায় আদালতে যেতে পারবেন না। এ সুপারিশের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ গ্রহণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।

উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট স্থাপন

কমিশনর উপজেলা পর্যায়ে দেওয়ানি ও ফৌজদারি ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট পুনঃস্থাপনের সুপারিশ করেছে। এ বিষয়ে কমিশন বলেছে এটি করা হলে সাধারণ নাগরিকেরা অনেক বেশি উপকৃত হবে। এ বিষয়েও সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছে কমিশন।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ‘উপজেলা জননিরাপত্তা কর্মকর্তা’ পদের সুপারিশ করেছে। কমিশন বলেছে থানার ‘অফিসার ইনচার্জ’ এর কাজ ও সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার তদারকির জন্য উপজেলা পর্যায়ে একজন সহকারী পুলিশ সুপারকে ‘উপজেলা জননিরাপত্তা কর্মকর্তা’ হিসেবে পদায়ন করা যেতে পারে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র স প র শ কর র ক ষমত গ রহণ র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

নিজেদের দোষে নারীরা কুপ্রস্তাব পান: মমতা শঙ্কর

পশ্চিমবঙ্গের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মমতা শঙ্কর। সাম্প্রতিক সময়ে তার এক মন্তব্যকে ঘিরে স্যোশাল মিডিয়ায় তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। নারী দিবসের আগে দেওেয়া অভিনেত্রীর এ বক্তব্য নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনা করছেন নেটিজেনরা। এর আগে নায়িকাদের শাড়ি পরার ধরন নিয়ে মন্তব্য করে সমালোচনা মুখ পড়েছিলেন তিনি। এছাড়া প্রকাশ্যে চুম্বন নিয়ে মন্তব্য করেও পড়েছিলেন বিতর্কে। এবার নতুন এক বিতর্কে নাম জুড়ালেন মমতা।

 কুপ্রস্তাব পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীদেরকেই দায়ী করে দেওয়া মমতার বক্তব্যে সমালোচনা তৈরি হয়েছে। নারী দিবসের আগে তার এমন বক্তব্য নিয়ে বিরুপ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন অনুরাগীরাও। 

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, সম্প্রতি মমতা দাবি করেন যে নারীরা কুপ্রস্তাব পাওয়ার জন্য নিজেরাই দায়ী। অভিনেত্রীর মতে, নারীরা যদি নিজেদের ব্যক্তিত্ব দৃঢ়ভাবে প্রকাশ করতে পারেন, তবে এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে হবে না। মমতা শঙ্কর বলেন, ‘আত্মসম্মান, আত্ম মর্যাদা নিজেকে ধরে রাখতে হবে। অনেকে আমায় অনেক মানুষের সঙ্গে কথা বলতে দেখার পর এসে বলেছেন উনি তোমার সঙ্গে কথা বলছিলেন, খারাপ লোক কিন্তু উনি, সাংঘাতিক। সাবধানে থেকো। আমি পাল্টা জবাবে বলেছি যে আমার তো তাঁকে ভালোই, সজ্জন বলে মনে হল।

রাত জেগে, গভীর রাত পর্যন্ত কত শ্যুটিং করেছি, কত মানুষের সঙ্গে বসে আড্ডা দিয়েছি। গান গেয়েছি। কেউ কখনও খারাপ প্রস্তাব দেওয়ার কথা ভাবতে পারেননি।’

এদিকে অভিনেত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্যের পর অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী সামাজিক মাধ্যমে একটি ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট দেন। তিনি নাম উল্লেখ না করেই লেখেন, উনি শঙ্কর প্রজাতির শিল্পী, সঙ্গে জুড়ে দেন একটি ভাবুক ইমোজি। নেটিজেনদের বুঝতে দেরি হয়নি যে অভিনেতা কাকে ইঙ্গিত করেছেন। অনেক ভক্ত-অনুরাগীকেই তার মন্তব্যের সঙ্গে একমত প্রকাশ করে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানাতে দেখা গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ