সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

বিদায়ী ২০২৪ সালে প্রাক-কভিড স্তরের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বৈশ্বিক পর্যটন খাত। এ সময় প্রধান পর্যটন গন্তব্যগুলো আগের বছরের তুলনায় বেশি দর্শনার্থী পেয়েছে। এর সুফল পেয়েছে এশিয়া ও ইউরোপের সংযোগস্থল তুরস্ক। দেশটি এ সময় পর্যটন থেকে ৬ হাজার ১১০ ডলার আয় করেছে। খবর আনাদোলু।

এ বিষয়ে তুরস্কের সরকারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দেশটিতে আতিথেয়তা নিয়েছে ৫ কোটি ২৬ লাখ আন্তর্জাতিক পর্যটক, যা আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ বেশি।

আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য বরাবরই শীর্ষ গন্তব্য থাকে তুরস্কের সবচেয়ে জনবহুল শহর ইস্তানবুল। ২০২৪ সালেও তাই হয়েছে। এ শহর পেয়েছে ১ কোটি ৮৬ লাখ দর্শনার্থী।

উপকূলীয় রিসোর্ট শহর অ্যান্টালিয়া ছিল দ্বিতীয় স্থানে। শহরটি ২০২৪ সালে ১ কোটি ৫৯ লাখ বিদেশী দর্শনার্থীকে স্বাগত জানিয়েছে।

পর্যটন আকর্ষণে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বুলগেরিয়া ও গ্রিসের সঙ্গে সীমান্তবর্তী উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ এডিরন। এখানে এসেছে ৪৮ লাখ দর্শনার্থী। এজিয়ান সাগরতীরবর্তী মুগলায় ভ্রমণ করেছে ৩৭ লাখ বিদেশী।

২০২৪ সালে তুরস্কের বিদেশী দর্শনার্থীদের মধ্যে এগিয়ে ছিল রাশিয়া থেকে আগতরা, যা মোট পর্যটকের ১২ দশমিক ৮ শতাংশ। আগের বছরের তুলনায় ৬ শতাংশ বেড়ে এ সময় তুরস্কে ভ্রমণ করেছে ৬৭ লাখ রুশ। জার্মান পর্যটক ৬ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৬৬ লাখ। এরপর রয়েছে ব্রিটিশরা ৪৪ লাখ (১৬ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি), ইরানি ৩২ লাখ (৩০ দশমিক ৯ শতাংশ) ও বুলগেরিয়ান ২৯ লাখ (দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি)।

তুর্কি পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউট (টার্কস্ট্যাট) প্রকাশিত আলাদা পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৪ সালে তুরস্কের পর্যটন আয় ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৬ হাজার ১১০ কোটি ডলার।

এনজে

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: ২০২৪ স ল দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের পণ্য রপ্তানি ইতিবাচক ধারায়, মার্চে প্রবৃদ্ধি ১১.৪৪%: ইপিবির তথ্য

প্রবাসী আয়ের মতো দেশের পণ্য রপ্তানি খাতও গত মাসে ভালো করেছে। মার্চ মাসে দেশ থেকে মোট ৪২৫ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় ১১ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেশি।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) গতকাল সোমবার রপ্তানি আয়ের এই হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাস জুলাই-মার্চে মোট ৩ হাজার ৭১৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১০ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি।

একাধিক রপ্তানিকারক প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণত পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির আগে বেশি পণ্য রপ্তানি হয়। কারণ, ঈদে ৭-১০ দিনের লম্বা ছুটি থাকে। ফলে বাড়তি কাজ করে ছুটির আগেই অনেক ক্রয়াদেশের পণ্য জাহাজীকরণ হয়ে থাকে।

দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান দুই খাত হচ্ছে প্রবাসী আয় ও পণ্য রপ্তানি। গত মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ৩২৯ কোটি ডলার, যা এক মাসের হিসাবে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। কয়েক মাস ধরেই প্রবাসী আয় বাড়ছে। পাশাপাশি পণ্য রপ্তানিও ইতিবাচক ধারায় থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৫৬২ কোটি ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম মান ৬ অনুযায়ী রিজার্ভ হচ্ছে ২ হাজার ৪৬ কোটি ডলার।

ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত মাসে তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, চামড়াবিহীন জুতা, প্লাস্টিক, প্রকৌশল পণ্য এবং পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। অন্যদিকে কৃষিপণ্যের রপ্তানি কমেছে।

পণ্য রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় থাকলেও খাতটি ঘিরে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের পণ্য আমদানিতে পাল্টা শুল্ক বসিয়েছেন। বাংলাদেশি পণ্যে আরোপ করেছেন ৩৭ শতাংশ শুল্ক।

পণ্য রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বড় বাজার। সর্বশেষ ২০২৩–২৪ অর্থবছরে দেশ থেকে ৪ হাজার ৪৪৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। তার মধ্যে ৭৫৯ কোটি ডলারের পণ্যের গন্তব্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই বাজারে যাঁরা তৈরি পোশাক, ক্যাপ, জুতা ও চামড়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত খাদ্য ইত্যাদি পণ্য রপ্তানি করেন, তাঁরা এখন উদ্বেগের মধ্যে আছেন। কারণ, পাল্টা শুল্কের কারণে ইতিমধ্যে মার্কিন ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের চলমান ক্রয়াদেশ স্থগিত করতে শুরু করেছে। বাড়তি শুল্কের ক্ষতি পোষাতে মূল্যছাড় দাবি করছে কেউ কেউ।

ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই–মার্চ) দেশ থেকে ৩ হাজার ২৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেশি। মার্চে ৩৪৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে, এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি হয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। জুলাই–মার্চ ৯ মাসে এই পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৮৫ কোটি ডলারের, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেশি। শুধু মার্চে ৯ কোটি ৪৫ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এতে প্রবৃদ্ধি হয় ২২ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

এ ছাড়া তৃতীয় সর্বোচ্চ ৮১ কোটি ডলারের কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ বেশি। তবে মার্চ মাসে কৃষিপণ্যের রপ্তানি কমেছে ২৫ দশমিক ৭২ শতাংশ।

আলোচ্য ৯ মাসে ৬৮ কোটি ডলারের হোম টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেশি। গত মার্চে হোম টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৯ কোটি ৯৬ কোটি ডলারের। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয় ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ।

এদিকে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি এখনো ঘুরে দাঁড়ায়নি। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ৬৩ কোটি ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেশি।

এ ছাড়া আলোচ্য সময়ে ৪১ কোটি ডলারের চামড়াবিহীন জুতা, ৪০ কোটি ডলারের প্রকৌশল পণ্য, ৩৪ কোটি ডলারের হিমায়িত খাদ্য, ২৩ কোটি ডলারের প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংশোধিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, পদ ৪৬টি
  • প্রবৃদ্ধি হবে ৩.৯%, ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের প্রভাব: এডিবি
  • শুধু যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কি শুল্ক কমাতে পারবে বাংলাদেশ
  • সিলভা ফার্মার আর্থিক সক্ষমতা খতিয়ে দেখবে বিএসইসি
  • ২০২৪ সালে ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর: অ্যামনেস্টি
  • মার্চে কিছুটা বেড়েছে মূল্যস্ফীতি, উঠেছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ
  • দেশের পণ্য রপ্তানি ইতিবাচক ধারায়, মার্চে প্রবৃদ্ধি ১১.৪৪%: ইপিবির তথ্য
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি: আজ থেকে বিষয় পছন্দক্রমে দেওয়া যাবে আরবি
  • চুয়েটে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু ৯ এপ্রিল 
  • রেকর্ড রেমিট্যান্স দিলেন প্রবাসীরা, রাষ্ট্র তাঁদের কী দেবে