পাবনার ঈশ্বরদীর মেধাবী ছাত্রী শাপলা খাতুনের মেডিকেল কলেজে ভর্তি ও পড়াশোনার স্বপ্ন পূরণে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ঢাকার ক্যামব্রিয়ান কলেজের চেয়ারম্যান লায়ন এম. কে বাশার এবং লন্ডন প্রবাসী আব্দুল কাদের মাখন।

গত সোমবার দৈনিক সমকালে ‘মায়ের মৃত্যুতে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন, বাধা অর্থ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের পর তাদের সহযোগিতা আসে। মঙ্গলবার তারা দু'জনই আর্থিক সহায়তা পাঠান, যেখানে লন্ডন থেকে আব্দুল কাদের মাখন পাঠান ২০ হাজার টাকা এবং লায়ন এম.

কে বাশার দেন ২৫ হাজার টাকা। এর আগে, ঈশ্বরদীর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবীর কুমার দাশ শাপলার মেডিকেল ভর্তি ফি বাবদ ২৫ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করেন।

শাপলার বাবা, অটোরিকশা চালক শফিকুল ইসলাম বলেন, মেয়ে মেডিকেলে চান্স পাওয়ার পরও টাকার অভাবে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। সমকালে সংবাদ প্রকাশের পর অনেকেই এগিয়ে এলেন। এখন মনে হচ্ছে, আমার মা-হারা মেয়েটির চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন আর বাধাগ্রস্ত হবে না। আমি সমকাল এবং সহায়তাকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

শাপলা খাতুন বলেন,আমি আরও ভালোভাবে পড়াশোনা করে সকলের এই সহায়তার মর্যাদা রক্ষা করব।
অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা কাটিয়ে শাপলার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে আসায় দাতাদের প্রশংসা করছেন স্থানীয়রা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প বন সমক ল

এছাড়াও পড়ুন:

দলকে জিতিয়েও সোহানের ৩ রানের আক্ষেপ

২৮১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দারুণ ব্যাটিং করলেন কাজী নুরুল হাসান সোহান। সেঞ্চুরিতে রাঙানোর সুযোগ ছিল তার ইনিংস। সেদিকেই এগিয়ে যেতে থাকলেন। কিন্তু ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের অধিনায়ক আটকে গেলেন ৯৭ রানে। তার ৩ রানের আক্ষেপের দিনে অবশ্য দল জয় হাতছাড়া করেনি। রূপগঞ্জ টাইগার্সের করা ২৮০ রান তারা পেরিয়ে যায় ৪৭.১ ওভারে ৫ উইকেট হাতে রেখে।

চায়নাম্যান নুহায়েল সানজিদের শর্ট বল পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন সোহান। ৯৫ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান এই ব্যাটসম্যান। সেঞ্চুরি মিস হলেও ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এছাড়া ধানমন্ডির হয়ে রান পেয়েছেন ইয়াসির আলী চৌধুরী। ৪০ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৫ রান করেন তিনি। এছাড়া চল্লিশের ঘরে আটকে যান ফজলে মাহমুদ (৪৭), আজমির আহমেদ (৪০)। ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহানের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান।

আরো পড়ুন:

অদ্ভুতুড়ে আউট ঢাকা লিগে বিতর্ক

পারিশ্রমিক না পেলে ম্যাচ বয়কটের হুমকি পারটেক্সের

রূপগঞ্জ টাইগার্সের হয়ে বল হাতে ৬৫ রানে ৩ উইকেট নেন নুহায়েল। এর আগে ব্যাটিংয়ে তাদের সেরা ছিলেন নাসির হোসেন ও আসাদুল্লাহ গালিব। নাসির ৮৪ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৭ রান করেন। আসাদুল্লাহ ৮০ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৬৫ রান। শেষ দিকে আরিফুল হক ২৮ বলে ৬ ছক্কায় ৪৮ রান করেন। তাকে সঙ্গ দিয়ে নুহায়েল ২৬ বলে ৩৪ রান করলে তিনশর কাছাকাছি পুঁজি পায় রূপগঞ্জ। কিন্তু সোহানের দৃঢ়তায় ওই রান অনায়েসে টপকে যায় ধানমন্ডি। ধানমন্ডির হয়ে বল হাতে ৫৯ রানে ৩ উইকেট নেন ফজলে মাহমুদ।

১০ ম্যাচে এটি ধানমন্ডির চতুর্থ জয়। শেষ রাউন্ডের ম্যাচ জিতলেও তাদের সুপার লিগে উঠা হচ্ছে না। রূপগঞ্জ টাইগার্সের এটি সমান ম্যাচে সপ্তম হার।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ