সমকালের সংবাদে শাপলার পাশে দাঁড়ালেন লায়ন বাশার ও লন্ডন প্রবাসী
Published: 5th, February 2025 GMT
পাবনার ঈশ্বরদীর মেধাবী ছাত্রী শাপলা খাতুনের মেডিকেল কলেজে ভর্তি ও পড়াশোনার স্বপ্ন পূরণে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ঢাকার ক্যামব্রিয়ান কলেজের চেয়ারম্যান লায়ন এম. কে বাশার এবং লন্ডন প্রবাসী আব্দুল কাদের মাখন।
গত সোমবার দৈনিক সমকালে ‘মায়ের মৃত্যুতে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন, বাধা অর্থ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের পর তাদের সহযোগিতা আসে। মঙ্গলবার তারা দু'জনই আর্থিক সহায়তা পাঠান, যেখানে লন্ডন থেকে আব্দুল কাদের মাখন পাঠান ২০ হাজার টাকা এবং লায়ন এম.
শাপলার বাবা, অটোরিকশা চালক শফিকুল ইসলাম বলেন, মেয়ে মেডিকেলে চান্স পাওয়ার পরও টাকার অভাবে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। সমকালে সংবাদ প্রকাশের পর অনেকেই এগিয়ে এলেন। এখন মনে হচ্ছে, আমার মা-হারা মেয়েটির চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন আর বাধাগ্রস্ত হবে না। আমি সমকাল এবং সহায়তাকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
শাপলা খাতুন বলেন,আমি আরও ভালোভাবে পড়াশোনা করে সকলের এই সহায়তার মর্যাদা রক্ষা করব।
অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা কাটিয়ে শাপলার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে আসায় দাতাদের প্রশংসা করছেন স্থানীয়রা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ছবিমুক্ত এনআইডির দাবিতে পর্দানশীন নারীদের সমাবেশ
ছবি তুলে নয়, শুধু ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে ছবিমুক্ত জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি দেওয়ার দাবিতে রাজশাহীতে সমাবেশ করেছেন পর্দানশীন নারীরা। মহিলা আনজুমানের রাজশাহী জেলা ও মহানগর মজলিসের ব্যানারে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন নারীরা।
এর আগে সমাবেশে পর্দানশীন নারীরা বলেন, ‘‘শুধু পরিপূর্ণ পর্দা করার কারণে পর্দানশীন নারীরা বৈষম্যের শিকার। গত ১৬ বছর অসংখ্য পর্দানশীন নারীর নাগরিকত্ব আটকে রাখা হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রেও করা হচ্ছে বঞ্চিত। পরিচয় যাচাইয়ে জোর করে বেগানা পুরুষের সামনে চেহারা খুলতে বাধ্য করা হচ্ছে। পর্দানশীন নারীরা এসব হেনস্তার অবসান চান।’’ চেহারার বদলে তারা ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে পরিচয় যাচাইয়ের দাবি তোলেন।
তারা বলেন, ‘‘রাষ্ট্রে মৌলিক অধিকার আটকে রেখে পর্দানশীন নারীদের গুনাহ করতে বাধ্য করা হচ্ছে, যা তার ধর্মীয় বা দ্বীনি অধিকার লঙ্ঘন। আবার একজন পর্দানশীন নারী তার চেহারা কাউকে দেখাতে চান না, এটা তার গোপনীয়তার অধিকার। ফলে জোর করে চেহারা দেখাতে বাধ্য করা তার গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন।’’ তারা এর অবসান চান।
পর্দানশীন নারীরা আরও বলেন, ‘‘মানুষের মুখের ছবি পরিবর্তনশীল। সময়ের ও অবস্থার সঙ্গে মানুষের চেহারার দৃশ্য পরিবর্তন হয়। এ থেকে প্রমাণিত হয়, মুখচ্ছবি পরিচয় যাচাইয়ের নির্ভরযোগ্য মাধ্যম নয়। ছবি ও চেহারা মিলিয়ে সনাক্তকরণ একটি দুর্নীতিবান্ধব পদ্ধতি, অপরদিকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে সনাক্তকরণ দুর্নীতিরোধক পদ্ধতি। আধুনিক বিশ্ব চেহারা ও ছবি মিলিয়ে পরিচয় যাচাইয়ে সেকেলে পদ্ধতি বর্জন করে ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশেও তা চালু করতে হবে।’’
সমাবেশে পর্দানশীন নারীরা তিনটি দাবি পেশ করেন। সেগুলো হলো, বিগত ১৬ বছর যে সমস্ত সাবেক ইসি কর্মকর্তা পর্দানশীন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখে মানবাধিকার বঞ্চিত করেছেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা; পর্দানশীন নারীদের ধর্মীয় ও গোপনীয়তার অধিকার অক্ষুন্ন রেখে অবিলম্বে এনআইডি ও শিক্ষা অধিকার প্রদান করা; সকল ক্ষেত্রে পরিচয় সনাক্তে চেহারা ও ছবি মেলানোর পদ্ধতি বাতিল করে আধুনিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করা এবং পর্দানশীন নারীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার সময় কোনো পুরুষ নয়, নারী সহকারী বাধ্যতামূলকভাবে রাখার ব্যবস্থা করা।
সমাবেশ শেষে পর্দানশীন নারীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং জেলা ও বিভাগীয় শিক্ষা কর্মকর্তাকে স্মারকলিপি দেন। কর্মসূচিতে কয়েকশত পর্দানশীন নারী উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/কেয়া/বকুল