পাবনায় পুলিশের গাড়ি থামিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া সেই আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
Published: 5th, February 2025 GMT
পাবনার সুজানগর উপজেলায় পুলিশের গাড়ি থামিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল ওহাবকে আবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের মথুরাপুর গাজনার বিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গত রোববার বিকেলে উপজেলা সদরের মথুরাপুর স্কুল গেট এলাকা থেকে আবদুল ওহাবকে গ্রেপ্তারের পর একদল ব্যক্তি পুলিশের গাড়ি থামিয়ে তাঁকে ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। এ ঘটনায় করা মামলায় এখন পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আবদুল ওহাব সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলার আসামি।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, আবদুল ওহাব গাজনার বিল এলাকার একটি বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল সাতটার দিকে অভিযান চালিয়ে তাঁকেসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে পুলিশের গাড়ি থামিয়ে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় আরও ১১ জন গ্রেপ্তার আছেন।
আরও পড়ুনপাবনায় পুলিশের গাড়ি থামিয়ে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনতাই০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আবদুল ওহাবের বাড়ি উপজেলা সদরের মথুরাপুর স্কুল গেট এলাকায়। গত রোববার বিকিলে আসরের নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। মুহূর্তেই তাঁর গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে কয়েক শ লোক জড়ো হয়ে পুলিশের গাড়ি থামিয়ে আবদুল ওহাবকে ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনায় সুজানগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজাহার আলী বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় ৬৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০০–৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর স জ নগর আওয় ম উপজ ল ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
কুবিতে বিপ্লব পরবর্তী শিক্ষাঙ্গন ও গণমাধ্যম নিয়ে আলোচনা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নবম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘জুলাই বিপ্লব পরবর্তী শিক্ষাঙ্গন ও গণমাধ্যম’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টায় কুবির ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দিনসহ বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এরপর মুক্তমঞ্চে দশম বর্ষে পদার্পন উপলক্ষে কেক কাটা হয়।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে ও বিভাগের প্রভাষক মো. মশিউর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুতাসিম বিল্লাহ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী এম. আনিছুল ইসলাম, নৃবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. শামীমা নাসরিন প্রমুখ।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুতাসিম বিল্লাহ বলেন, “জুলাই বিপ্লবের ওই সময়ে যারা আন্দোলন করেছে, তাদের বাইরে অনেকেই চেয়েছিল আন্দোলনে আসতে। কিন্তু আসেনি কেন? কারণ একটা ভয় ছিল। যদি তারা আসে, তাহলে তারা হয়তো তাদের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান সবকিছু থেকে বঞ্চিত হবে। এ ভয়ের পিছনেও একটা কারণ আছে, সেটা হলো আত্মসম্মানবোধ কম থাকা। আর এটা কমে যাওয়ার পিছনের কারণটা হচ্ছে অলসতা।”
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী এম. আনিছুল ইসলাম বলেন, “গণমাধ্যমে ফ্যাসিজম তৈরি হয়, যখন আপনি মেনে নেন। জুলাইয়ে চুপ না থেকে এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার পরই ফ্যাসিস্ট পালাতে বাধ্য হয়েছে। গণমাধ্যমের ফ্যাসিজম দূর করতে পারে আপনার আমার আওয়াজ। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার ফ্যাসিজম আঁকড়ে বসেছে, শিক্ষার্থীদের মতামতকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা আবার জেগে উঠলে এখান থেকেও ফ্যাসিবাদ বিলুপ্ত করা সম্ভব।”
তিনি বলেন, “এই অন্তর্বতীকালীন সরকার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থ হয়েছে। সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এখন অনিশ্চয়তায় সময় পার করছে। এখন এ সরকারের আচরণেও ফ্যাসিজম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাই সরকারকে উচিৎ একটি গণতান্ত্রিক ধারা তৈরি করে ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়া।”
২০১৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮তম বিভাগ হিসেবে যাত্রা শুরু করে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ।
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী