ফেব্রুয়ারি আমাদের ভাষার মাস, বইমেলার মাস। ফেব্রুয়ারিজুড়ে চলে আমাদের প্রাণের বইমেলার কর্মযজ্ঞ। আবার এ মাসেই আমাদের জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস। ১৯৫৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির দ্বার উন্মোচিত হয়। এ দিনটিকেই জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস হিসেবে নির্ধারণ করা হয়।

জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজ গঠনের প্রত্যয়ে সাধারণ মানুষের কাছে গ্রন্থাগারকে জনপ্রিয় করা, গ্রন্থ ও গ্রন্থাগারের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে ২০১৭ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ঘোষণা করেন। ২০১৮ সাল থেকে প্রতিবছর ৫ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালিত হয়ে আসছে। এ বছর জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সমৃদ্ধ হোক গ্রন্থাগার, এই আমাদের অঙ্গীকার’।

জ্ঞানের আধার হলো বই, আর বইয়ের আবাসস্থল হলো গ্রন্থাগার বা লাইব্রেরি। একটি জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজ গঠনে গ্রন্থাগার বা লাইব্রেরির ভূমিকা অপরিসীম।

প্রাচীনকাল থেকেই পুঁথি সংরক্ষণের প্রথা ছিল। এসব পুঁথি লেখা হতো তালপাতায়, গাছের বাকলে, পশুর চামড়ায়, আবার কখনো পাথরে ও টেরাকোটা পদ্ধতিতে। সাধারণত এই পুঁথিগুলো সংরক্ষণ করা হতো বিভিন্ন ধর্মগৃহে বা বিহারে অথবা উপাসনালয়ে। তবে বিশ্বের প্রথম লাইব্রেরির ধারণা শুরু করা হয়েছিল প্রাচীন মিসরে। তখন উপাসনার পাশাপাশি তাত্ত্বিক আলোচনা বা জ্ঞান প্রসারের জন্য পুরোহিতদের নিজেদের প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস বা তথ্য সংরক্ষণের প্রয়োজন হয়ে পড়ে।

সেই থেকে মিসরের এক মন্দিরে শুরু এই লাইব্রেরির। সভ্যতার ক্রমশ অগ্রসর হওয়ার পথে মানুষ তার সৃষ্টিশৈলীকে সংরক্ষণ করা শুরু করল। মিসরের আলেকজান্দ্রিয়া, ইরাকের বাগদাদ, দামেস্ক, প্রাচীন গ্রিস ও রোমে সমৃদ্ধ গ্রন্থাগারের নিদর্শন পাওয়া যায়।

এ ছাড়া উপমহাদেশের তক্ষশীলা ও নালন্দায় সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার গড়ে উঠেছিল। আব্বাসীয় ও উমাইয়া শাসনামলে ‘দারুল হিকমা’ নামক গ্রন্থাগার ইউরোপকে জ্ঞানবিজ্ঞানে সমৃদ্ধ করেছে। সমকালীন মিসরের ‘বাইতুল হিকমা’ও অনুরূপ ভূমিকা পালন করেছে। যুগে যুগে গ্রন্থাগারগুলো গড়ে উঠেছিল রাজদরবার ও ধর্মীয় উপাসনালয়কে কেন্দ্র করে।

পৃথিবীর বিখ্যাত গ্রন্থাগারগুলোর মধ্যে প্রথমেই আসে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গ্রন্থাগার ‘লাইব্রেরি অব কংগ্রেসে’র নাম। আমেরিকার ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত এই লাইব্রেরিতে রয়েছে ৩ কোটি ২০ লাখ বইয়ের এক বিশাল সমাহার। লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ামও পৃথিবীর বিখ্যাত লাইব্রেরির মধ্যে অন্যতম। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বডলিন লাইব্রেরি’তে রয়েছে ১ কোটিরও বেশি গ্রন্থ।

এ ছাড়া পৃথিবীর প্রাচীনতম লাইব্রেরির মধ্যে রয়েছে ভ্যাটিকান লাইব্রেরি। এ ছাড়া ফ্রান্সের বিবলিওথিক লাইব্রেরি, মস্কোর লেনিন লাইব্রেরি ও কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরি উল্লেখযোগ্য। মিসরের আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরিও পৃথিবীর প্রাচীন লাইব্রেরির মধ্যে অন্যতম। যেটি একসময় পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের মধ্যেও ছিল।

লাইব্রেরির বিভিন্ন প্রকারভেদের মধ্যে জাতীয় গ্রন্থাগার অন্যতম। জাতীয় গ্রন্থাগার সাধারণত দেশের সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকে। অন্যান্য গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠার পেছনে যেসব কারণ বিদ্যমান, এ ক্ষেত্রেও তার সবগুলো কারণ বিদ্যমান। তবে প্রয়োগের ক্ষেত্রে কিছুটা পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। আর এটি হয় এ জন্য যে, জাতীয় পর্যায়ের গ্রন্থাগার অন্য আর দশটি অনুরূপ প্রতিষ্ঠান থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।‌ জাতীয় গ্রন্থাগার এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যার সংগ্রহের পরিধি জাতীয়ভিত্তিক, গুরুত্ব আন্তর্জাতিক এবং দেশ ও জাতি সম্পর্কে দেশি-বিদেশি সব প্রকাশনা সংগ্রহ করে জাতীয় ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করাই এর প্রধান বৈশিষ্ট্য।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৯৭২ সালের ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ জাতীয় গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে ৫ লাখেরও অধিক বইয়ের সংগ্রহশালা রয়েছে। এ ছাড়া ১৯৫১ সাল থেকে জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক, আঞ্চলিকসহ বিভিন্ন সংবাদপত্র ও দেশের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রহশালা রয়েছে এ গ্রন্থাগারে।

২০১৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।‌ এরপর ২০১৮ সাল থেকে প্রতিবছর দেশব্যাপী জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালিত হয়ে আসছে। কিন্তু জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালনের তাৎপর্য দেশের মানুষকে, বর্তমান প্রজন্মকে বই পড়ায়, জ্ঞানচর্চায়, মুক্তচিন্তার চর্চায় কতটুকু উদ্বুদ্ধ করতে পারছে; সার্বিকভাবে এ দিবস কতটুকু ফলপ্রসূ—সে প্রশ্ন না উঠে পারে না। দেশের বেশির ভাগ মানুষই এ দিবস সম্পর্কে অবগত নন। এ দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য কী সে সম্পর্কে দেশের মানুষ এখনো জানে না।

দেশের বর্তমান প্রজন্মের মাঝে দিন দিন বইবিমুখতা বেড়েই চলছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও নেই বই পড়ার চর্চা, মুক্তবুদ্ধির চর্চা। নেই বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য কার্যকর কোনো উদ্যোগ বা পদক্ষেপ। শুধু গাইড মুখস্থ–নির্ভর আর সরকারি আমলা হওয়ার প্রতিযোগিতায় বিভোর হয়ে আছে প্রজন্ম।

জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজ গঠন ব্যতীত আমাদের পরিপূর্ণ মুক্তি বা সমৃদ্ধি সম্ভব নয়। বইবিমুখ সৃজনশীলতা–বিবর্জিত একটা প্রজন্ম গড়ে উঠছে। এমন প্রজন্ম পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সবার জন্যই অকল্যাণকর। যা অবশেষে সবার জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। বই ছেড়ে আমাদের তরুণ প্রজন্ম এখন নানা অকাজ–কুকাজে লিপ্ত।‌ অথচ বিপুলসংখ্যক এ প্রজন্ম নিয়ে যেন ভাবার কেউ নেই! তরুণ প্রজন্মই দেশ ও জাতির গুরুত্বপূর্ণ মানবসম্পদ। তরুণ প্রজন্মের সঠিক পরিচর্যা ও তাদের বেড়ে ওঠার ওপর নির্ভর করে দেশের ভবিষ্যৎ কেমন হবে।

গ্রন্থাগার আমাদের আলোর পথের নীরব পথপ্রদর্শক। সমৃদ্ধ জাতি গঠনে গ্রন্থাগার বা লাইব্রেরির বিকল্প নেই। শূন্যতায় হাহাকার করা গ্রন্থাগারগুলোর দিকে তাকালেই বোঝা যায় আমাদের জ্ঞানচর্চার, মুক্তচিন্তার দৈন্যদশা। জ্ঞানবিজ্ঞানে সমৃদ্ধ আলোকিত প্রজন্ম গড়ে তোলার জন্য গ্রন্থাগারগুলোর দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।‌ পুরোনো আমলাতান্ত্রিক জটিলতা পরিহার করে গ্রন্থাগারগুলোকে যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন করতে হবে।

প্রজন্মকে বই পড়ায় জ্ঞানচর্চায় মুক্তচিন্তায় উৎসাহিত করতে হবে এবং এর জন্য উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।‌ প্রতিটি জেলায় একটি মডেল লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশে অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন হয়েছে, আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নও ঘটেছে; কিন্তু আমাদের সংস্কৃতি ও মননশীলতার কি সে ধরনের কোনো উন্নয়ন হয়েছে? ওভাবে হয়ে ওঠেনি বলেই আমাদের আজ এই করুণ দশা। অথচ সাংস্কৃতিক জাগরণ ও মননশীলতার উন্নয়ন ব্যতীত জাতির সমৃদ্ধি ও পরিপূর্ণ মুক্তি সম্ভব নয়।

স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫৪ বছরে দেশে অনেক মডেল মসজিদ-মন্দির স্থাপিত হয়েছে। কিন্তু একটিও কি মডেল লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে? অথচ এই লাইব্রেরি আমাদের বাতিঘর। আমরা আমাদের বাতিঘরকে হারাতে বসেছি বিধায় আমাদের আজ এই করুণ দশা। আমাদের সমৃদ্ধির পথে এগোতে হলে, একটি সৃজনশীল প্রজন্ম ও মননশীল জাতি গড়ে তুলতে হলে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পাশাপাশি এর কার্যকারিতায় আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে।

ইমরান ইমন সাংবাদিক
ই–মেইল: [email protected]

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রজন ম র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

‘বরবাদ’ দিয়ে বিশ্ববাজারে সিনেমা পরিবেশনায় শাকিবের এসকে ফিল্মস

আন্তর্জাতিক পরিসরে সিনেমা পরিবেশনা শুরু করল দেশ সেরা চিত্রনায়ক শাকিব খানের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসকে ফিল্মস বা শাকিব খান ফিল্মস।

বাংলাদেশের স্বনামধন্য এই প্রযোজনা হাউজটি সিনেমা নির্মাণের পাশাপাশি এখন থেকে নিয়মিত নর্থ আমেরিকা (এসকে ফিল্মস ইউএসএ) এবং গলফে (এসকে ফিল্মস ইউএই) সিনেমা পরিবেশনা করবে।

৯ এপ্রিল (নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময়) সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের একটি রেস্তোরাঁয় এসকে ফিল্মস ইউএসএ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন এসকে ফিল্মস ইউএসএ-এর সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক বদরুদ্দোজা সাগর, ফারজানা আক্তারসহ অনেকে।

আরো পড়ুন:

তামান্নার নতুন আইটেম গানের শুটিংয়ের ভিডিও ফাঁস

শাবনূরের ঝটিকা সফরের কারণ কী?

এসকে ফিল্মস ইউএসএ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আগামী ১৮ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র ও ১৯ এপ্রিল কানাডায় ‘বরবাদ’ মুক্তির মাধ্যমে এসকে ফিল্মস ইউএসএ আন্তার্জাতিকভাবে ফিল্ম ডিসট্রিবিউশন শুরু করবে।

মধ্যপ্রাচ্যেও কাজ শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ‘হিরো দ্য সুপারস্টার’, ‘পাসওয়ার্ড’, ‘বীর’ সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসকে ফিল্মস জানায়, অচিরেই মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়াতে এসকে ফিল্মস ফিল্ম ডিসট্রিবিউশন শুরু করবে। ইতোমধ্যে প্রাথমিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

বদরুদ্দোজা সাগর বলেন, “বড় পরিসরে বাংলা সিনেমাকে বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিবে এসকে ফিল্মস ইন্টারন্যাশনাল। সেই ধারাবাহিকতায় এসকে ফিল্মস ইন্টারন্যাশনালি ফিল্ম ডিসট্রিবিউশনের উদ্যোগ নিয়েছে। আশা করি, এই উদ্যোগ বাংলা সিনেমার জন্য সুফল বয়ে আনবে এবং বিশ্বময় বাংলা সিনেমার জয়যাত্রা অব্যাহত রাখবে।”  

ঈদুল ফিতরে বাংলাদেশের ১২০টি সিনেমা হলে মুক্তির পর সারাদেশে ব্যাপক আলোচনার তৈরি করেছে ‘বরবাদ’। মুক্তির ১০দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো দর্শকদের আগ্রহ কমেনি। সিনেপ্লেক্স, মাল্টিপ্লেক্স থেকে সিঙ্গেল স্ক্রিন; সবখানে দৈনিক হাউজফুল যাচ্ছে। বাংলাদেশের দর্শকদের উল্লাস আগ্রহী করেছে  যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা প্রবাসী বাঙালিদের। শাকিব খানের ‘প্রিয়তমা’, ‘রাজকুমার’, ‘তুফান’ দেখে মুগ্ধ হওয়া প্রবাসী দর্শকরা এখন ‘বরবাদ’ সিনেমার জন্য অপেক্ষা করছেন।  

বদরুদ্দোজা সাগর বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা প্রবাসীরা ‘বরবাদ’ দেখার জন্য অনেক আগ্রহী। এসকে ফিল্মস ইউএসএ এসব দর্শকদের আগ্রহকে সম্মান জানিয়ে ১৮ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র ও ১৯ এপ্রিল কানাডায় ‘বরবাদ’ আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক পরিসরে মুক্তি দিচ্ছে।”

যেসব স্টেটে বাঙালি কমিউনিটি রয়েছে, সেসব স্থানের থিয়েটারে প্রদর্শিত হবে ‘বরবাদ’। প্রথম সপ্তাহে ৩৫-৪০টি থিয়েটারে সিনেমাটি মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছেন বদরুদ্দোজা সাগর।

১৮ এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে ‘বরবাদ’ সিনেমা প্রদর্শিত হবে। এগুলো হলো— নিউ ইর্য়ক, বোস্টন, ভার্জিনিয়া, ওয়াশিংটন ডিসি, আটলান্টা, মিশিগান, সানফ্রান্সিসকো, লস অ্যাঞ্জেলেস, ম্যারিল্যান্ড, বাফেলো, ফিলাডেলফিয়া। ১৯ এপ্রিল কানাডার বাঙালি জনবসতিপূর্ণ মন্ট্রিয়াল, অটোয়া এবং টরন্টো শহরে দেখা যাবে ‘বরবাদ’।

মেহেদি হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘বরবাদ’ সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন ইধিকা পাল। তা ছাড়াও অভিনয় করেছন মিশা সওদাগর, ফজলুর রহমান বাবু, শহীদুজ্জামান সেলিম, যীশু সেনগুপ্ত, শ্যাম ভট্টাচার্য, মানব সাচদেভ প্রমুখ। এছাড়া আইটেম গানে পারফর্ম করেছেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ