ফিক্সিং ইস্যুতে বিচার না হলে বিপিএল ছাড়ার হুমকি বরিশাল মালিকের
Published: 5th, February 2025 GMT
বিপিএল ২০২৪ আসরের আর মাত্র দুটি ম্যাচ বাকি। ইতোমধ্যেই টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জয়ের স্বপ্ন নিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছে ফরচুন বরিশাল। তবে এই সফলতার মাঝেই বিপিএল ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক মিজানুর রহমান। এবারের আসরে ঘটে যাওয়া অনিয়ম ও ফিক্সিং অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন তিনি।
বিপিএলের চলতি আসরে পারিশ্রমিক বকেয়া রাখা থেকে শুরু করে স্পট ফিক্সিংয়ের সন্দেহসহ বেশ কিছু বিতর্কিত ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে দুর্বার রাজশাহীর নাম উঠে এসেছে একাধিক অনিয়মে। এছাড়া টুর্নামেন্টজুড়ে দশজন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। যদিও বিসিবি বা এর দুর্নীতি দমন ইউনিট (আকসু) এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তালিকা প্রকাশ করেনি। এই পরিস্থিতিতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘এভাবে চলতে পারে না। আমরা চাই, তদন্ত হোক এবং দোষীরা শাস্তি পাক। যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে দেশের ক্রিকেট ধ্বংস হয়ে যাবে। আপনি যেই হোন না কেন, যত বড় তারকাই হোন, শাস্তি পেতেই হবে। যদি এই বিচার না হয়, তাহলে আমাদের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি থাকবে না। কারণ আমরা দল চালাই নিজেদের বিনিয়োগ দিয়ে, আর অন্যরা চালায় ফিক্সিং করে!’
এবারের বিপিএলে অনিয়মের মাত্রা এতটাই বেড়েছে যে বিদেশি খেলোয়াড়রাও আগেভাগে পারিশ্রমিক দাবি করছেন, যা আগে দেখা যায়নি। মিজানুর আরও বলেন, ‘দল গঠনের সময় যাচাই করা উচিত ছিল কার আর্থিক সামর্থ্য আছে, আর কার নেই। এসব নিয়ে কথা বলতেও লজ্জা লাগছে। এরই মধ্যে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আগে বরিশালের সঙ্গে যারা খেলতেন, তারা আগাম টাকা চাইতেন না, এবার চেয়েছেন। বুঝতেই পারছেন, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
বিপিএল থেকে সরে যাওয়ার কথা বললেও বরিশাল মালিকের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় টুর্নামেন্টে থাকার ইচ্ছাও রয়েছে। ইতোমধ্যে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং আশ্বাস পেয়েছেন কিছু পরিবর্তনের। তিনি বলেন, ‘সবকিছু নির্ভর করছে নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের ওপর। তবে এই আসরে আমরা যথাযথ সম্মান পেয়েছি। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল আমাদের সঙ্গে কথা বলেছে, সময় দিয়েছে। আমরা আশ্বাসও পেয়েছি। কাজ করতে গেলে কিছু ভুল হতেই পারে, তবে সেটার সংশোধন জরুরি।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যেমন ছিল মহানবীর (সা.) ইফতার
মহানবীর (সা.) ইফতার ছিল খুব সাদামাটা। তবে তিনি আগ্রহ নিয়ে ইফতার করতেন। রোজা ভাঙার সময় হলে দ্রুত ইফতার করে নিতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রোজা পালনকালে রাসুল (সা.) মাগরিব ও ইফতার দ্রুত করতেন।’ (মুসলিম, হাদিস: ১০৯৯)
তিনি ইফতার করতেন ভেজা বা শুকনা খেজুর, অথবা শুধু পানি দিয়ে। তাঁর দীর্ঘ দিনের সেবক আনাস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) নামাজ আদায়ের পূর্বে কয়েকটি ভেজা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন, যদি ভেজা খেজুর না থাকত, তবে সাধারণ শুকনা খেজুর গ্রহণ করতেন। তা-ও না থাকলে কয়েক ঢোক পানিই হতো তাঁর ইফতার। (তিরমিজি, হাদিস: ৬৯৬)
আবদুল্লাহ বিন আবি আউফা বর্ণিত হাদিস থেকে জানা যায়, কখনো তার ইফতার ছিল কেবল ছাতু ও পানি মিশ্রিত ইফতার খাবার। তিনি বলেন, ‘একবার, রমজান মাসে আমরা রাসুলের (সা.) সঙ্গে সফরে ছিলাম। সূর্য অস্তমিত হলে তিনি বললেন, হে অমুক, নেমে এসে আমাদের জন্য ছাতু ও পানি মিশ্রিত ইফতার পরিবেশন করো। (বুখারি, হাদিস: ১৯৪১; তিরমিজি, হাদিস: ৬৯৬)
আরও পড়ুনমহানবী (সা.)-কে ভালোবাসার ৭টি নিদর্শন০৬ মার্চ ২০২৫হাদিসে পানিমিশ্রিত দুধ (ঘোল ও মাঠা) দিয়ে ইফতার করার কথাও রয়েছে। তবে কখনো তিনি ইফতার ত্যাগ করেননি। আনাস (রা.) বলেন, আমরা রাসুল (সা.)-কে, এমনকি এক ঢোক পানি দিয়ে হলেও, ইফতার করা ব্যতীত মাগরিবের নামাজ আদায় করতে দেখিনি। (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস: ৩,৫০৪)
ইফতারে রাসুলের (সা.) আচরণ থেকে প্রমাণিত হয়, ইফতারের কিছুক্ষণ আগেই ইফতারি সামনে নিয়ে অপেক্ষা করা এবং যথাসময়ে ইফতার করা সুন্নত। খেজুর দিয়ে ইফতার করা মুস্তাহাব। তারপর কোনো মিষ্টি জিনিস খাওয়া যেতে পারে। তারপর পানি। খেজুর না থাকলে যেকোনো ফল দিয়ে ইফতার করা ভালো। তাও সম্ভব না হলে যেকোনো হালাল খাবার, এমনকি শুধু পানি দিয়েও ইফতার করা যায়। যদি পানিও না থাকে, তাহলে ইফতারের নিয়ত করবে এবং ইফতারের নিয়তই হবে তার জন্য ইফতার। (আবু দাউদ, হাদিস: ২,৩৫৫)
সালমান ইবনে আমির (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ রোজা রাখলে খেজুর দিয়ে যেন ইফতার করে, খেজুর না হলে পানি দিয়ে; নিশ্চয় পানি পবিত্র। (তিরমিজি, আলফিয়্যাতুল হাদিস: ৫৬২)
বর্তমান সময়ে ইফতার ও সাহরিকে কেন্দ্র আমরা যে জাঁকজমক ও আচার-অনুষ্ঠান দেখতে পাই, নবীজি (সা.) কখনো তেমন করেননি।
আরও পড়ুনইফতারের দোয়া আরবি ও বাংলা উচ্চারণ, অর্থসহ০৩ মার্চ ২০২৫