বিপিএল ২০২৪ আসরের আর মাত্র দুটি ম্যাচ বাকি। ইতোমধ্যেই টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জয়ের স্বপ্ন নিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছে ফরচুন বরিশাল। তবে এই সফলতার মাঝেই বিপিএল ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক মিজানুর রহমান। এবারের আসরে ঘটে যাওয়া অনিয়ম ও ফিক্সিং অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন তিনি।

বিপিএলের চলতি আসরে পারিশ্রমিক বকেয়া রাখা থেকে শুরু করে স্পট ফিক্সিংয়ের সন্দেহসহ বেশ কিছু বিতর্কিত ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে দুর্বার রাজশাহীর নাম উঠে এসেছে একাধিক অনিয়মে। এছাড়া টুর্নামেন্টজুড়ে দশজন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। যদিও বিসিবি বা এর দুর্নীতি দমন ইউনিট (আকসু) এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তালিকা প্রকাশ করেনি। এই পরিস্থিতিতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান মিজানুর রহমান।  

তিনি বলেন, ‘এভাবে চলতে পারে না। আমরা চাই, তদন্ত হোক এবং দোষীরা শাস্তি পাক। যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে দেশের ক্রিকেট ধ্বংস হয়ে যাবে। আপনি যেই হোন না কেন, যত বড় তারকাই হোন, শাস্তি পেতেই হবে। যদি এই বিচার না হয়, তাহলে আমাদের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি থাকবে না। কারণ আমরা দল চালাই নিজেদের বিনিয়োগ দিয়ে, আর অন্যরা চালায় ফিক্সিং করে!’  

এবারের বিপিএলে অনিয়মের মাত্রা এতটাই বেড়েছে যে বিদেশি খেলোয়াড়রাও আগেভাগে পারিশ্রমিক দাবি করছেন, যা আগে দেখা যায়নি। মিজানুর আরও বলেন, ‘দল গঠনের সময় যাচাই করা উচিত ছিল কার আর্থিক সামর্থ্য আছে, আর কার নেই। এসব নিয়ে কথা বলতেও লজ্জা লাগছে। এরই মধ্যে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আগে বরিশালের সঙ্গে যারা খেলতেন, তারা আগাম টাকা চাইতেন না, এবার চেয়েছেন। বুঝতেই পারছেন, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’  

বিপিএল থেকে সরে যাওয়ার কথা বললেও বরিশাল মালিকের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় টুর্নামেন্টে থাকার ইচ্ছাও রয়েছে। ইতোমধ্যে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং আশ্বাস পেয়েছেন কিছু পরিবর্তনের। তিনি বলেন, ‘সবকিছু নির্ভর করছে নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের ওপর। তবে এই আসরে আমরা যথাযথ সম্মান পেয়েছি। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল আমাদের সঙ্গে কথা বলেছে, সময় দিয়েছে। আমরা আশ্বাসও পেয়েছি। কাজ করতে গেলে কিছু ভুল হতেই পারে, তবে সেটার সংশোধন জরুরি।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

‘যা সত্যি, সেটাই আমরা চিঠিতে লিখেছি’

বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের কাছে পাঠানো চিঠি ইংরেজিতে লেখা। গত বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের সামনে কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলা মেয়েদের তিন পৃষ্ঠার বিবৃতি লেখা বাংলায়। দুই ভাষায় লেখার কারণেই বিদ্রোহী খেলোয়াড়দের চিঠি নিয়ে সন্দেহ বাফুফের বিশেষ কমিটির। চিঠির মূল লেখকের নাম জানতে প্রত্যেক খেলোয়াড়কে আলাদাভাবে প্রশ্ন করেছেন বিশেষ কমিটির সদস্যরা। 

জাপানে বেড়ে ওঠা মাতসুশিমা সুমাইয়া ইংরেজিতে চিঠি লিখেছেন বলে কমিটির সামনে উত্তর দিয়েছেন সবাই। এমনকি সুমাইয়াও বলেছেন সতীর্থদের হয়ে তিনিই চিঠি লিখেছেন। কিন্তু ইংরেজি লেখা চিঠি নিয়ে মেয়েদের এ দাবি বিশ্বাস হচ্ছে না বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কর্তাদের। তাদের কথা সভাপতি তাবিথ তো বাংলা বোঝেন, তাহলে তার কাছে যে চিঠি গেছে, সেটা ইংরেজিতে কেন? ঘটনাগুলো যেহেতু বাফুফের অভ্যন্তরীণ, অন্য কোনো দেশে ঘটেনি, সে হিসেবে ইংরেজিতে লেখার প্রশ্নই ওঠে না বলে মেয়েদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় উপস্থিত থাকা একটি সূত্র সমকালকে জানিয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে গতকাল সাফজয়ী দলের অন্যতম খেলোয়াড় জাপানি বংশোদ্ভূত মাতসুশিমা সুমাইয়া জানালেন ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা! বেশ কিছু দিন ধরেই ধর্ষণ আর মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাকে। যার কথা ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে তিনি তুলে ধরেছেন।

সমকালকে সুমাইয়া জানান, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আমি এই হুমকিগুলো পাচ্ছি। আমার যে পেজ আছে, সেখানে অনবরত বাজে কমেন্টস করা হচ্ছে। আমার এই স্ট্যাটাসের পর অনেক কমেন্টস ডিলিট করে দিয়েছে। যখন থেকে এই বিষয়গুলো (মেয়েদের আন্দোলন) সামনে এসেছে, তখন থেকেই হুমকি পাচ্ছি।

সুমাইয়ার মতে, হুমকি পাওয়ার কারণ কোচের বিপক্ষে চিঠি দেওয়া নিয়ে। এটি নিয়ে বাজে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়ার কোথাও জানান সুমাইয়া। সমকালকে তিনি বলেন, যা সত্যি, সেটাই আমরা চিঠিতে লিখেছি। আমরা তো বাড়তি কিছু লিখিনি কিংবা বানোয়াট কিছু লিখিনি। তদন্ত কমিটির কাছে বলেছি, চিঠিটি আমি লিখেছি। আমরা ১৮ জন মিলে যে ফাইট করছি, আমি ওদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত থাকতে চাই। আমাদের একটিই চাওয়া– কোচ (বাটলার) পরিবর্তন করা হোক। মানসিক যন্ত্রণা আমরা আর নিতে পারছি না। ফুটবলে শুধু ট্রেনিং, ট্যাকটিকস এগুলোই নয়; একটা প্লেয়ারের ভালো পারফরম্যান্সের জন্য মানসিক শান্তিটা প্রয়োজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ