ইন্দোনেশিয়ায় ৬.২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামির আশঙ্কা নেই
Published: 5th, February 2025 GMT
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় ৬ দশমিক ২ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। বুধবার দেশটির উত্তর মালুকু উপকূলে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি এবং সুনামির আশঙ্কাও নেই বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কভিত্তিক বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
ইন্দোনেশিয়ার ভূ-পদার্থবিদ্যা সংস্থা এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে জানায়, ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ৮১ কিলোমিটার (৫০ মাইল)। ভূমিকম্পের পর তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
প্রশান্ত মহাসাগরের তথাকথিত ‘রিং অব ফায়ারে’ অবস্থিত হওয়ায় ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির সক্রিয়তা দেখা যায়। টেকটোনিক প্লেটগুলোর সংঘর্ষের ফলে দেশটিতে ঘন ঘন ভূমিকম্প হয়ে থাকে।
২০০৯ সালে ইন্দোনেশিয়ার পাদাংয়ে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১ হাজার ১০০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে এবং বহু মানুষ আহত হয়। এছাড়া অসংখ্য ঘরবাড়ি ও স্থাপনা ধ্বংস হয়ে যায়।
তারও আগে, ২০০৪ সালে সুমাত্রার উপকূলে ৯ দশমিক ১ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর সুনামি আঘাত হানে। এতে ইন্দোনেশিয়ায় ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
শুধু ইন্দোনেশিয়াই নয়, ভূতাত্ত্বিক অবস্থানের কারণে জাপানসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোও ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব অঞ্চলে ভূমিকম্পের প্রভাব কমাতে আগাম সতর্কতা ও দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি আরও জোরদার করা প্রয়োজন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ভ ম কম প ইন দ ন শ য় ভ ম কম প র
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্যাসিস্টরা ইতিহাস পড়ে কিন্তু শিক্ষা নেয় না: জামায়াত আমির
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুনবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, অতীতে যারা ফ্যাসিস্ট শাসক ছিল, তাদের নাম ধর্মগ্রন্থেও উঠে এসেছে। একই পরিণতি সবাইকে ভোগ করতে হয়। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, ফ্যাসিস্টরা ইতিহাস পড়ে কিন্তু তা থেকে শিক্ষা নেয় না।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত জুলাই ২০২৪ বিপ্লবের শহীদ স্মারক মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
জামায়াত আমির বলেন, দেশ আমাদের সকলের কিন্তু দিনশেষে দেশের পাহারাদারিত্ব করা কিন্তু সকল নাগরিকের কর্ম নয়। এই কাজ কিছু লোক করে। আবার কিছুলোক নাগরিকদের শান্তি কেড়ে নেওয়ার মতো অপকর্মে লিপ্ত হয়। আর অপকর্মটি যারা করে, তারা এটিকে তাদের পেশা মনে করেই করে। একটা সময় তা নিজের অধিকার বলেই মনে করে, আর জনগণকে নিজের প্রজা মনে করে এবং নিজেরা রাজা হয়ে বসে। কিন্তু গাছের ডালে যখন ঝাঁকুনি দেওয়া হয়, ডালের রাজারা তখন উড়ে গিয়ে পড়ে যায়।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের দেশের ইতিহাস বিস্তৃতির ইতিহাস, বিকৃতির ইতিহাস। দেশের ইতিহাস অনেকে যার যার মতো রচনা করেছেন।
তিনি বলেন, কিছু ইতিহাস মানুষের জন্য হয় আনন্দের, কিছু হয় বিষাদের, আর কিছু হয় গৌরবের। বিশেষত যারা দেশের জন্য জীবন দেন, অতীতেও দিয়েছেন, ’৪৭ সালে, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন ও একাত্তরে এবং সর্বশেষ চব্বিশের জুলাইয়ে; তাদের ইতিহাসটা গৌরবের।
জামায়াত আমির বলেন, চব্বিশের আন্দোলনে আমরাও শহীদ ছিলাম। আন্দোলনের মাধ্যমে পুরো জাতি যেমন মুক্তি পেয়েছে, সবচেয়ে নির্যাতিত রাজনৈতিক দলটিও একইভাবে মুক্তি পেয়েছে। সুতরাং এই প্রজন্মের প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায় করা প্রয়োজন। আমরা শহীদ পরিবারগুলোর কাছে গিয়েছি, তাদের প্রতি সম্মান দিতে ও তাদের কাছ থেকে দোয়া নিতে। কারণ তারা সৌভাগ্যবান, তাদের পরিবার দেশের জন্য জীবন দিয়েছে।
ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, আজ যে গণমাধ্যমগুলো এখানে এসেছে তারাও কিন্তু ফ্যাসিবাদের থাবা থেকে মুক্ত ছিলেন না। সেসময় তাদেরকেও জীবন দিতে হয়েছে, রিমান্ডের নামে নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। বিদেশে বসে যারা বাক এবং কলমযুদ্ধ চালিয়েছিলেন, দেশের মাটিতে তাদের পরিবারকে হেনস্তা করা হয়েছে, জেলে পুরে দেওয়া হয়েছে। এমনকি নারীদেরকেও ছাড় দেওয়া হয়নি। যারা নিজেদের জীবনটা বিলিয়ে দিয়ে আমাদের আজকের এই পরিবেশটি উপহার দিল, তাদের প্রতি আমি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
বিএইচ