কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ২ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ বুধবার ভোরে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জেলেপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

বিজিবি জানায়, ভোরে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জেলেপাড়া সীমান্তের নাফ নদী দিয়ে মিয়ানমার থেকে মাদকের বড় একটি চালান আসছে, এমন খবর ছিল বিজিবির কাছে। এই খবরের ভিত্তিতে এলাকাটিতে অবস্থান নেয় বিজিবির একটি দল। একপর্যায়ে বিজিবির দলটি নাফ নদী সাঁতরে মিয়ানমার থেকে তিন ব্যক্তিকে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকতে দেখে। তবে ওই ব্যক্তিরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে তাঁদের সঙ্গে থাকা তিনটি প্লাস্টিকের বস্তা নদীতে ফেলে রেখে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যান। ভাসমান অবস্থায় ওই তিনটি বস্তা উদ্ধার করে বিজিবি। পরে বস্তার ভেতর থেকে ২ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা ও একটি বিদেশি মদের বোতল উদ্ধার হয়।

টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.

আশিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, উদ্ধার হওয়া মাদক বিজিবির ব্যাটালিয়ন দপ্তরে জমা রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

খালেদা জিয়ার নাইকো মামলায় সাক্ষ্য শেষ, আত্মপক্ষ শুনানি ১৩ ফেব্রুয়ারি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আট জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলমের আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সাবেক উপ-পরিচালক সাহেদুর রহমান জবানবন্দি শেষ করেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। পরে আদালত ১৩ ফেব্রুয়ারি আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানির তারিখ ঠিক করেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নাইকো দুর্নীতি মামলায় ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত বছরের ১৯ মার্চ  একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।

অপর আসামিরা হলেন—প্রধানমন্ত্রীর তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী,বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিন জন পলাতক আছেন।

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ