বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর
Published: 5th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
চার সংস্কার কমিশনের পর এবার বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিচারবিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।
দুই সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে কী রয়েছে, তা নিয়ে বিস্তারিত জানা না গেলেও জনপ্রশাসন সংস্কার নিয়ে শতাধিক সুপারিশ থাকতে পারে বলে জানা গেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির প্রেক্ষাপটে গত ৮ আগস্ট ক্ষমতা গ্রহণের পর রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতের সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠন করে ড.
এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেছিলেন, আমাদের রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল গত মাসে। কিন্তু আমরা আমাদের কাজের কারণে পারিনি। কারণ, আমরা মাঠে গিয়েছি, লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় গিয়ে আমরা কথা বলেছি, অনলাইনে আমরা মতামত নিয়েছি। প্রতিবেদনে ১০০টিরও বেশি সুপারিশ থাকছে। এখন এর বাইরে আমি কিছু জানাতে পারব না।
গত ৩ অক্টোবর ৮ সদস্যের জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করে সরকার। পরে কমিশনের সদস্য সংখ্যা আরও তিনজন বাড়ানো হয়। ৩ মাসের মধ্যে প্রস্তুত করা প্রতিবেদন হস্তান্তর করতে বলা হয়। এরপর তিন দফা বাড়িয়ে কমিশনের মেয়াদ ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় বেঁধে দেওয়া বর্ধিত সময়ের ১০ দিন আগেই প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হলো।
অন্যদিকে বিচার বিভাগকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব দেওয়ার লক্ষ্যে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গঠন করা হয় ৩ অক্টোবর।
বিএইচ
উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতা বাবুকে নিয়ে ষড়যন্ত্র, ক্ষোভ
আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে একাধিক মামলার আসামি ও কারা নির্যাতিত হয়েও সিদ্ধিরগঞ্জের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য জহিরুল ইসলাম বাবুকে আওয়ামীলীগের লোক প্রচার করায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
গত ১৪-১৫ বছর ধরে সরাসরি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার কারণে বেশ কয়েকটি মামলার আসামি করা হয় জহিরুল ইসলাম বাবুকে। আওয়ামীলীগের আমলে অধিকাংশ সময় বাড়িতে থাকতে পারেনি সে। গায়েবী মামলায় পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে দিনে পর দিন অন্যত্র থাকতে হয়েছে তাকে।
সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১২ সেপেম্বর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। দীর্ঘ ৫৮ দিন কারাবন্দি থাকার পর জামিনে বেরি আসে জহিরুল ইসলাম। সিদ্ধিরগঞ্জ ছাড়াও ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির সকল কর্মসূচিতে তার সক্রীয় অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের কর্মী হওয়ার কারণে প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপ জহিরুল ইসলাম বাবুকে আওয়ামীলীগের লোক প্রচার করতেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
আইলপাড়া এলাকার মুহাম্মদ আমিরুল ইসলামের ছেলে জহিরুল ইসলাম বাবুকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের হওয়া কয়েকটি মামলায় আসামী করা হয়। এরমধ্যে তিনটি মামলার তারিখ হলো-২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর (জ¦ালাও পোড়াও), ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর (নাশকতা) ও ২০২৩ সালের ৩ নভেম্বর (জ¦ালাও পোড়াও)।
৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি উকিল উদ্দিন ভুইয়া বলেন, জহিরুল ইসলাম বাবু আমাদের দলের একনিষ্ঠকর্মী। কমিটির সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে সে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। আওয়ামীলীগের আমলে কয়েকটি মিথ্যা মামলায় আসামি হয়ে জেল খেটেছে। তাকে নিয়ে মিথ্যা প্রচারণার নিন্দা জানাই।
৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বলেন, দলের দু:সময়ের কান্ডারী হচ্ছে জহিরুল ইসলাম বাবু। দলীয় সকল কর্মসূচিতে কর্মী-সমর্থক নিয়ে তার সক্রীয় অংশগ্রহণ ছিল। ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে একাধিক গায়েবী মামলার আসামী করা হয় জহিরুল ইসলামকে।
পুলিশের তৎপরতার কারণে বাসায় থাকতে পারেনি দিনের পর দিন। ৫ আগস্টের পর একটি চক্র অবৈধ সুবিধা নেয়ার জন্য জহিরুল ইসলাম বাবুর বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। কারণ বাবু তাদের অবৈধ সুবিধার জন্য বাধা। দলের একজন পরিক্ষিতকর্মী হচ্ছে জহিরুল ইসলাম বাবু। তাকে নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র আমরা বরদাস্থ করবো না।
এদিকে ৬নং ওয়ার্ডের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, জহিরুল ইসলাম বাবু কারা নির্যাতিত ও ত্যাগি নেতা। তার সম্পর্কে দলের সিনিয়র নেতারা অনেক ভালো জানেন।
দলের কর্মী-সমর্থকদের সাথে জহিরুল ইসলাম বাবুর অনেক ভালো সম্পর্ক। দলের জন্য মামলার আসামি হয়ে জেল খাটার পরও আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের সাথে সে আপোষ করে নাই।