গার্দিওলার বিচ্ছেদই সিটির বাজে অবস্থার বড় কারণ, মনে করেন সাবেক সতীর্থ
Published: 5th, February 2025 GMT
কয়েক মাস আগেও সবচেয়ে ধারাবাহিক ও দাপুটে ক্লাবগুলোর একটি ছিল ম্যানচেস্টার সিটি। সেই সিটি মাঝে যেন জিততেই ভুলে গিয়েছিল। অক্টোবরের শেষ দিন থেকে ডিসেম্বরে বক্সিং ডে পর্যন্ত সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৩ ম্যাচ খেলে মাত্র একটিতে জিততে পেরেছিল পেপ গার্দিওলার দল।
ভয়াবহ সেই সময় থেকে বেরিয়ে এলেই আগের মতো ধারাবাহিকতা দেখাতে পারছে না সিটি। এক ম্যাচ জিতছে তো পরের ম্যাচেই হারছে কিংবা পয়েন্ট হারাচ্ছে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগেই সর্বশেষ ম্যাচে আর্সেনালের কাছে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে টানা চারবারের চ্যাম্পিয়নরা।
মাঠে সিটির এমন দুরবস্থার কারণ হিসেবে অনেকেই ব্যালন ডি’অর জয়ী রদ্রি, দুই সেন্টারব্যাক জন স্টোনস ও রুবেন দিয়াজ এবং নিয়মিত একাদশের আরও কয়েকজনের মৌসুমের বিভিন্ন সময়ে চোটে পড়ার বিষয়টি সামনে এনেছেন।
কিন্তু থিয়েরি অঁরি মনে করেন, এই মৌসুমে সিটির বাজে অবস্থার বড় কারণ স্ত্রী ক্রিস্তিনা সেরার সঙ্গে গার্দিওলার বিচ্ছেদ। নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া একই ধরনের ঘটনাকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে সম্প্রতি এ কথা বলেছেন ফরাসি কিংবদন্তি অঁরি।
স্কাই স্পোর্টসকে অঁরি বলেছেন, ‘ম্যানচেস্টার সিটি ও পেপের (গার্দিওলার) সঙ্গে যা ঘটছে, এর জন্য কি আমি দুঃখিত? হ্যাঁ, একটা দিক থেকে অবশ্যই। ফুটবলের বাইরে পেপকে যা কিছু সামলাতে হয়েছে, তা সামলানো সহজ নয়। যখন আমি বার্সেলোনায় যোগ দিই, তখন আমাকেও এটার (বিচ্ছেদ) মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। যখন আপনি মানসিকভাবে ভালো থাকবেন না, তখন এ ধরনের বিষয় মোকাবিলা করা সহজ নয়।’
পেপ গার্দিওলা ও ক্রিস্টিনা সেরা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ধোনির ব্যাটিং ঝড়েও থামেনি চেন্নাইয়ের হারের ধারাবাহিকতা
আইপিএলে হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না চেন্নাই সুপার কিংস। এবার পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ১৮ রানে হেরে হারের হালি পূর্ণ করল তারা। ২১৯ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেও দলকে জয়ের বন্দরে নিতে পারেননি মহেন্দ্র সিং ধোনি।
এই হারে ৫ ম্যাচ শেষে চেন্নাই রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের ৯ নম্বরে। কেবল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ রয়েছে তাদের নিচে। অন্যদিকে, ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পাঞ্জাব উঠে এসেছে তালিকার চতুর্থ স্থানে। শীর্ষে আছে দিল্লি ক্যাপিটালস, যাদের সংগ্রহ ৩ ম্যাচে সমান ৬ পয়েন্ট।
ওপেনিংয়ে নেমে পাঞ্জাবকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন প্রিয়ানশ আরিয়া। ৪২ বলে ৯টি ছক্কা ও ৭টি চারে দৃষ্টিনন্দন সেঞ্চুরি করেন এই তরুণ ব্যাটার। তার ব্যাট থেকে আসে ১০৩ রান। শেষ দিকে শশাঙ্ক সিং যোগ করেন আরও ৩৬ বলে ৫২ রান। এই দুই ইনিংসে ভর করে পাঞ্জাব স্কোরবোর্ডে তোলে ৬ উইকেটে ২১৯ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পায় চেন্নাই। ওপেনার রাচিন রবিন্দ্র ২৩ বলে ৩৬ রান করেন। তার সঙ্গে ৬১ রানের জুটি গড়েন ডেভন কনওয়ে। পরে কনওয়ে ৪৯ বলে ৬৯ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন। শিভম দুবে ২৭ বলে ৪২ রান করে ম্যাচে উত্তেজনা ফিরিয়ে আনেন।
তবে শেষ দিকে দলের সবচেয়ে বড় আশা হয়ে ওঠেন ধোনি। মাত্র ১২ বলেই তিনটি ছক্কা ও একটি চারে ২৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন সাবেক এই অধিনায়ক। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। রানরেটের চাপ আর লক্ষ্য বড় হওয়ায় শেষ পর্যন্ত চেন্নাই থামে ৫ উইকেটে ২০১ রানে। পরের ম্যাচগুলোতে ঘুরে দাঁড়াতে হবে ধোনিদের, না হলে প্লে-অফে জায়গা পাওয়া হয়ে যাবে কঠিন চ্যালেঞ্জ।