কয়েক মাস আগেও সবচেয়ে ধারাবাহিক ও দাপুটে ক্লাবগুলোর একটি ছিল ম্যানচেস্টার সিটি। সেই সিটি মাঝে যেন জিততেই ভুলে গিয়েছিল। অক্টোবরের শেষ দিন থেকে ডিসেম্বরে বক্সিং ডে পর্যন্ত সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৩ ম্যাচ খেলে মাত্র একটিতে জিততে পেরেছিল পেপ গার্দিওলার দল।

ভয়াবহ সেই সময় থেকে বেরিয়ে এলেই আগের মতো ধারাবাহিকতা দেখাতে পারছে না সিটি। এক ম্যাচ জিতছে তো পরের ম্যাচেই হারছে কিংবা পয়েন্ট হারাচ্ছে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগেই সর্বশেষ ম্যাচে আর্সেনালের কাছে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে টানা চারবারের চ্যাম্পিয়নরা।

মাঠে সিটির এমন দুরবস্থার কারণ হিসেবে অনেকেই ব্যালন ডি’অর জয়ী রদ্রি, দুই সেন্টারব্যাক জন স্টোনস ও রুবেন দিয়াজ এবং নিয়মিত একাদশের আরও কয়েকজনের মৌসুমের বিভিন্ন সময়ে চোটে পড়ার বিষয়টি সামনে এনেছেন।
কিন্তু থিয়েরি অঁরি মনে করেন, এই মৌসুমে সিটির বাজে অবস্থার বড় কারণ স্ত্রী ক্রিস্তিনা সেরার সঙ্গে গার্দিওলার বিচ্ছেদ। নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া একই ধরনের ঘটনাকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে সম্প্রতি এ কথা বলেছেন ফরাসি কিংবদন্তি অঁরি।

ফুটবলের বাইরে পেপকে যা কিছু সামলাতে হয়েছে, তা সামলানো সহজ নয়। যখন আমি বার্সেলোনায় যোগ দিই, তখন আমাকেও এটার (বিচ্ছেদ) মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। যখন আপনি মানসিকভাবে ভালো থাকবেন না, তখন এ ধরনের বিষয় মোকাবিলা করা সহজ নয়।থিয়েরি অঁরি, সাবেক ফুটবলার

স্কাই স্পোর্টসকে অঁরি বলেছেন, ‘ম্যানচেস্টার সিটি ও পেপের (গার্দিওলার) সঙ্গে যা ঘটছে, এর জন্য কি আমি দুঃখিত? হ্যাঁ, একটা দিক থেকে অবশ্যই। ফুটবলের বাইরে পেপকে যা কিছু সামলাতে হয়েছে, তা সামলানো সহজ নয়। যখন আমি বার্সেলোনায় যোগ দিই, তখন আমাকেও এটার (বিচ্ছেদ) মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। যখন আপনি মানসিকভাবে ভালো থাকবেন না, তখন এ ধরনের বিষয় মোকাবিলা করা সহজ নয়।’  

পেপ গার্দিওলা ও ক্রিস্টিনা সেরা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কানাডার নতুন প্রধামন্ত্রী মার্ক কার্নি

কানাডার নতুন প্রধামন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন মার্ক কার্নি। তিনি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হলেন। স্থানীয় সময় রোববার প্রধামন্ত্রী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করেন লিবারেল পার্টির প্রেসিডেন্ট সচিত মেহরা।

মার্ক কার্নি ব্যাংক অব কানাডার গভর্নর ছিলেন। তিনি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডেরও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

রোববার সদস্যদের ভোটে লিবারেল পার্টির নতুন নেতা বাছাই হয়। এতে মার্ক কার্নি ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিনা ফ্রিল্যান্ড পেয়েছেন ১১ হাজার ১৩৪ ভোট।

টানা ৯ বছর ক্ষমতায় থাকার পর গত জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ট্রুডো। এরপর তাঁর উত্তরাধিকার বাছাইয়ের জন্য ৯ মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছিল।

আরও পড়ুনকানাডায় কে হচ্ছেন জাস্টিন ট্রুডোর উত্তরসূরি০৭ জানুয়ারি ২০২৫

কানাডার রাজনৈতিক ব্যবস্থায় হাউস অব কমন্সের সবচেয়ে বড় দল হিসেবে যিনি লিবারেল পার্টির প্রধান হবেন, দেশটির প্রধানমন্ত্রীও হন তিনি। এ হিসেবে মার্ক কার্নি নির্বাচনের আগপর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ