জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা
Published: 5th, February 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত আরও দুটি সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এই দুটি কমিশন হলো জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন।
আজ বুধবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এই প্রতিবেদন জমা দেন জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধানেরা।
প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগে গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে শেষবারের মতো সভা করেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্যরা।
এ সময় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর কাছে সাংবাদিকেরা সুপারিশ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বিস্তারিত বলতে রাজি হননি। শুধু বলেন, ১০০ টির বেশি সুপারিশ আছে।
অন্যদিকে সংস্কার কমিশনের সদস্যসচিব ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো.
এ দিকে এ বিষয়ে আজ বেলা দুইটায় সংবাদ ব্রিফিং ডেকেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
গত অক্টোবরে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনসহ ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এর মধ্যে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন গত ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া হয়। আজ দেওয়া হলো আরও দুটি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন।
সরকারের পক্ষ থেকে গতকাল জানানো হয়েছে,৬টি কমিশন তাদের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করবে। এরপর তাদের সুপারিশগুলো নিয়ে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে সব রাজনৈতিক দল এবং গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্র নির্মাণে বড় পরিবর্তন
সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্র নির্মাণ নীতিমালায় বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা ২০২৫’ এবং ‘স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা ২০২৫’ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তাতে এসব পরিবর্তনের বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, লেখক ও চিত্রনাট্যকারদের সম্মানি বেড়েছে। গল্প লেখককে ২ লাখ এবং চিত্রনাট্যকারকে ৩ লাখ টাকা উৎসাহ পুরস্কার দেওয়া হবে। আগে গল্প লেখক ও চিত্রনাট্যকারকে দেওয়া হতো ৫০ হাজার টাকা করে।
এ ছাড়া পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য— দুই বিভাগেই নির্মাতা/ পরিচালকের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবকারী পরিচালককে পূর্বনির্মিত কমপক্ষে একটি চলচ্চিত্র অথবা নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক বা একাধিক চলচ্চিত্রে তার ভূমিকা থাকতে হবে।
আরো পড়ুন:
আমাকে নিয়ে বলিউডে ষড়যন্ত্র হয়েছে: গোবিন্দ
রুনা খানের বাবা মারা গেছেন
অন্যদিকে, আগের নীতিমালায় পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে সময় বেঁধে দেওয়া হতো ৯ মাস। কিন্তু চলচ্চিত্র নির্মাতারা বহুবার অভিযোগ করেছেন যে, সেই নির্ধারিত সময় পর্যাপ্ত নয়, যার ফলে নির্মাণে দেরি হয়।
এখন অনুদানের প্রথম চেক পাওয়ার পর পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে এই সময় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ মাস। সময় বেড়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রেও। স্বল্পদৈর্ঘ্য নির্মাণে ১২ মাস এবং প্রামাণ্যচিত্রের জন্য ২৪ মাস সময় পাবেন নির্মাতারা। তবে যৌক্তিক বিবেচনায় পূর্ণদৈর্ঘ্যের ক্ষেত্রে ছয় মাস ও স্বল্পদৈর্ঘ্যের ক্ষেত্রে তিন মাস করে সর্বোচ্চ দুবার সময় বাড়ানো যাবে।
নতুন নীতিমালায় অর্থ প্রদানের নিয়মেও পরিবর্তন এসেছে। এখন প্রথম কিস্তি হিসেবে দেওয়া হবে অনুদানের ২০ শতাংশ। এই অর্থ প্রাপ্তির দুই মাসের মধ্যে শুটিং শিডিউল, প্রোডাকশন প্ল্যান, লোকেশন ব্যবহারের অনুমতি, শিল্পীদের সঙ্গে চুক্তিপত্র সম্পাদনাসহ প্রয়োজনীয় দলিলাদি জমা দিতে হবে। চলচ্চিত্র বাছাই ও তত্ত্বাবধান কমিটি সন্তুষ্ট হলে অনুদানের ৫০ শতাংশ অর্থ দেওয়া হবে। অনুদানের সিনেমার পারিশ্রমিক নিয়ে অনেক শিল্পী অভিযোগ করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে চিত্রায়িত অংশের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ রাফকাট, শিল্পীদের সম্মানি প্রাপ্তির প্রমাণপত্র দেখানোর পর মিলবে আরো ২০ শতাংশ অর্থ। সিনেমা মুক্তির পর মিলবে বাকি ১০ শতাংশ অর্থ।
এরই মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য চলচ্চিত্রে অনুদানের জন্য চিত্রনাট্য আহ্বান করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। অনুদান পেতে আগ্রহীদের চলচ্চিত্রের গল্প, চিত্রনাট্য, অভিনয়শিল্পীদের নামসহ পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ আগামী ৭ এপ্রিল বিকেল ৪টার মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে।
এদিকে, প্রতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ ১২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগের নীতিমালায় এই সংখ্যা ছিল ১০। এ ছাড়া স্বল্পদৈর্ঘ্যের ক্ষেত্রে এখন থেকে প্রতিবছর ১০টির পরিবর্তে অনুদানের জন্য বিবেচিত হবে ২০টি চলচ্চিত্র।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত