অভিনয়ে ধীরগতি, যুক্তরাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন এই নায়িকা
Published: 5th, February 2025 GMT
সর্বশেষ তার অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘মুজিব’। এরপর আর নতুন ছবিতে দেখা যায়নি এই নায়িকাকে। তবে সম্প্রতি জাজ মাল্টিমিডিয়ার ‘জিন’ নামের একটি ছবির সিক্যুয়েলে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার খবর আসে। সেটার রেশ কাটতে না কাটতেই এলো নতুন খবর খবর। অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া লন্ডনে পাড়ি জমাচ্ছেন। নাহ, কোনো শুটিংয়ের উদ্দেশ্যে নয়। পড়াশোনা করতেই তার এই যাত্রা।
ঢাকাই সিনেমায় জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া অভিনয়ের পাশাপাশি লেখাপড়াও জারি রেখেছেন সমানতালে। ক্যারিয়ারের ব্যস্ত সময়েই অভিনয় থেকে বিরতি নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে ‘ব্যাচেলরস অব ল’তে চার বছরের শিক্ষাজীবন শেষ করেছিলেন নুসরাত। সেখানে সেকেন্ড ক্লাস পান।
এবার ব্যারিস্টারি পড়তে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন নুসরাত ফারিয়া। সবকিছু ঠিক থাকলে এ বছর সেপ্টেম্বরে দেশটিতে যাবেন বলে দেশের এক সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন এ নায়িকা।
নুসরাত ফারিয়া বলেন, ‘অভিনয়ের পাশাপাশি ডিগ্রিটাও সম্পন্ন করতে চাই। এবার ‘বার অ্যাট ল’ পড়তে লন্ডনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।এটা আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। এবার সেই স্বপ্নটি পূরণ করতে চাই।’
অভিনয় ছেড়ে আইনি পেশায় যোগ দেবেন কি না, প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আগে ডিগ্রি অর্জন করি। বাকি সব প্রশ্নের উত্তর সময়ই দেবে।’
২০১৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল নুসরাত ফারিয়ার প্রথম সিনেমা ‘আশিকী’। যৌথ প্রযোজনার সিনেমাটিতে নুসরাত ফারিয়া জুটি হয়েছিলেন কলকাতার অঙ্কুশের সঙ্গে। এরপর বেশকিছু সিনেমায় কাজ করে তিনি দুই বাংলাতেই পেয়েছেন জনপ্রিয়তা। উপস্থাপনার মধ্যদিয়ে শোবিজে তার পথচলা। এরপর ধীরে ধীরে জায়গা করে নেন সিনেমায়। বর্তমানে চিত্রনায়িকা থিতু হয়েছেন চলচ্চিত্র অঙ্গনে। দেখতে দেখতে ক্যারিয়ারে ১০ বছর পূর্ণও করে ফেলেছেন তিনি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
হঠাৎ কেন ঘোড়ার পিঠে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এ মডেল
টগবগ করে ছুটছে ঘোড়া। রাজধানীর একশ ফিটের এলাকায় ঘোড়ার পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারকা মডেল সায়রা আক্তার জাহান। কোনো শুটিংয়ের আয়োজন নেই। নেই চিরচেনা লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনেরও হাঁকডাক। কাছে আসতেই অনেকে চিনে ফেলেছেন সায়রাকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কেউ এই দৃশ্যও দেখছেন। তাহলে কি তিনি কোনো সিনেমা কিংবা ওয়েব সিরিজে শুটিংয়ের জন্য ঘোড়ায় চড়া শিখছেন। বিষয়টি পরিষ্কার করলেন সায়রা নিজেই।
সমকালকে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমি ঘোড়াপাগল ছিলাম। ইচ্ছা ছিল হর্স রাইডিং শিখব। এ জন্য মূলত শেখা। মরুভূমিতে ঘোড়ায় চড়ার বিষয়টি কল্পনা করতাম আমি। ঘোড়া সহজাতভাবে মহৎ। এ কারণে প্রাণীটির প্রতি আমার মায়া অনেক। আমাদের সবার এমন কিছু আছে, যা আমরা কল্পনা ও অনুভব করি। আমার জন্য এটি ছিল সর্বদা ঘোড়া। অবশেষে, আমার দিবাস্বপ্ন সত্য হয়েছে। ঘোড়ার পিঠে চড়ার প্রথম স্বাধীন অভিজ্ঞতা আমার পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়নি। তবে আমার জন্য এটি সহজ করায় বন্ধু ইমরান ওসমানকে ধন্যবাদ জানাই। সে ঘোড়াপ্রেমীদের জন্য ‘বুরাক’ নামে ঘোড়ার রাইডিং স্কুল খোলার উদ্যোগ নিয়েছে। সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট সময় আমি সেখানে ক্লাস করছি।’
শুধু প্যাশন ছিল বলেই ঘোড়া চালনা শিখছেন নাকি অন্য কোনো বিষয় মাথায় রেখেছেন? ‘হ্যাঁ, অন্য একটি কারণও আছে। ঘোড়া নিয়ে পুরোপুরি অ্যাকশনধর্মী সিনেমা এদেশে এখনও কেউ বানায়নি। আমি চাই আগামীতে কেউ এ ধরনের গল্প নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করুক। তখন চাইলেই আমি কাজ করতে পারব।’
হর্স রাইডিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ঘোড়া চালনা খুব উপভোগ করছি। যারা ঘোড়াপ্রেমী তাদের এটি অবশ্যই অনেক ভালো লাগবে। প্রথমে একটু ভয় কাজ করছিল। পরে ঠিক হয়ে গেছে। ঘোড়ার পিঠে ওঠা আমার জন্য অনেক সহজ। এখন ঘোড়া নিয়ে দৌড়ানো শিখছি। আশা করছি, কিছুদিনের মধ্যে তা আয়ত্ত হবে। নতুন বছরের শুরুতে শেখা শুরু করেছি। শরীরে যতদিন শক্তি থাকবে, ততদিনই শিখব। কারণ এটি আমার প্যাশন। যে কেউ কনফিডেন্ট হলেই ঘোড়া চালনা শিখতে পারবে। তবে এ কাজে অবশ্যই লেগে থাকতে হবে।’
বিজ্ঞাপন ও মিউজিক ভিডিও দিয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু সায়রার, এরপর বড় পর্দায় অভিষেক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকরি শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে হঠাৎই কাজ থেকে বিরতি নেন।
গত ভালোবাসা দিবসে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত ক্লোজআপ কাছে আসার গল্প ‘লেগুনা’। আবুল খায়ের চাঁদের পরিচালনায় এ গল্পে তাঁকে দেখা গেছে মফস্বলের এক মেয়ের চরিত্রে। এরপর আরও কিছু কাজ করেছেন। এবারও ভালোবাসা দিবসে ভিন্ন আয়োজনে তাঁকে পাওয়ার যাবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন সায়রা।