বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়নের (মিল্ক ভিটা) সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি শ্রমিকরা চাকরি স্থায়ীর দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অনশন কর্মসূচি পালন করছেন।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে মিল্ক ভিটার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন তারা। এর আগে, গতকাল মিল্ক ভিটার দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কাজ করা শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে অনশন শুরু করেন।

শ্রমিকরা জানান, দুই যুগের বেশি সময় ধরে দিনমজুর হিসেবে কাজ করলেও চাকরি স্থায়ী হয়নি তাদের। উল্টো বাইরে থেকে লোক এনে কিছুদিন পরেই তাদের স্থায়ী করা হয়েছে। এমনকি বাবা-মা মারা গেলেও মেলে না ছুটি, না আসলে কাটা যায় সেদিনের মজুরি।

আন্দোলনরত শ্রমিকদের প্রধান সমন্বয়ক ওয়াছিউল বারী বলেন, ‘‘গত বছরের আগস্ট মাসে চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য কর্তৃপক্ষ ৯ দিন সময় নিলেও তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। পাশাপাশি ঈদে বা অসুস্থ হলেও ছুটি দেওয়া হয় না। না আসলে কাটা হয় মজুরি। দাবি আদায় না হলে আগামীতে মিল্ক ভিটা শাটডাউন করে দেওয়া হবে।’’

বাঘাবাড়ি মিল্ক ভিটার অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক ড.

সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘‘শ্রমিকদের দাবির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অতিদ্রুত এ বিষয়ে সমাধানের চেষ্টা চলছে।’’

ঢাকা/রাসেল/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরায় শিশু ধর্ষণে জড়িতদের মৃত্যুদণ্ডসহ ৩ দাবিতে শিক্ষার্থীর অনশন

মাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের তিন দিনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরসহ তিন দাবিতে চোখে ও হাতে কালো কাপড় বেঁধে আমরণ অনশনে বসেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। আজ রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে তিনি অনশন শুরু করেন।

ওই শিক্ষার্থীর নাম ফাতিন আলমাস। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। তাঁর বাকি দুই দফা দাবি হলো ধর্ষণের ঘটনায় একমাত্র শাস্তি হতে হবে মৃত্যুদণ্ড এবং বিচার বিভাগে পৃথক ট্রাইব্যুনাল বা ধর্ষণ নিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে; এই বন্দোবস্তের আওতায় এক সপ্তাহের মধ্যে ধর্ষকদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

জানতে চাইলে ফাতিন আলমাস বলেন, ‘সরকার ধর্ষণের সব ঘটনা সম্পর্কে অবগত আছে। কিন্তু তারা উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ফলে ধর্ষণের ঘটনা সমাজে নিত্য ঘটনা হয়ে গেছে। আমি এসব ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি ১৮ কোটি মানুষের একটা পরিবার হয়, মাগুরার সেই শিশুটি সে পরিবারেরই একজন সদস্য। একটা পরিবারের কোনো সদস্য অসুস্থ হলে যেমন অন্য সদস্যের বসে থাকা সম্ভব নয়, একইভাবে ওই শিশুর বিষয়টি আমি চিন্তা করে প্রতিবাদ জানাতে এসেছি। এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিচার হওয়ার আগপর্যন্ত রাষ্ট্রযন্ত্রের বিরুদ্ধে আমার লড়াই চলবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাগুরায় শিশু ধর্ষণে জড়িতদের মৃত্যুদণ্ডসহ ৩ দাবিতে শিক্ষার্থীর অনশন