সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন, তাদের অনেককে আমরা ধরেছি। বিদেশে যারা পালিয়ে আছে তাদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর গুলশানের নৌ পুলিশ সদর দপ্তর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আসামি ১০৫ জন। সেখানে গ্রেফতার মাত্র ৩৫ জন। আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন তাদের অনেককে আমরা ধরেছি। আসল জন (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশে নেই। আমরা তাকে কোথা থেকে ধরব? যারা দেশে নেই তাদের তো পুলিশ গিয়ে ধরে আনতে পারে না। এক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করছি। পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে একটি চুক্তি আছে, সেভাবে তাদের আনার কাজ চলছে।

এম জি

.

উৎস: SunBD 24

এছাড়াও পড়ুন:

‘যা সত্যি, সেটাই আমরা চিঠিতে লিখেছি’

বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের কাছে পাঠানো চিঠি ইংরেজিতে লেখা। গত বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের সামনে কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলা মেয়েদের তিন পৃষ্ঠার বিবৃতি লেখা বাংলায়। দুই ভাষায় লেখার কারণেই বিদ্রোহী খেলোয়াড়দের চিঠি নিয়ে সন্দেহ বাফুফের বিশেষ কমিটির। চিঠির মূল লেখকের নাম জানতে প্রত্যেক খেলোয়াড়কে আলাদাভাবে প্রশ্ন করেছেন বিশেষ কমিটির সদস্যরা। 

জাপানে বেড়ে ওঠা মাতসুশিমা সুমাইয়া ইংরেজিতে চিঠি লিখেছেন বলে কমিটির সামনে উত্তর দিয়েছেন সবাই। এমনকি সুমাইয়াও বলেছেন সতীর্থদের হয়ে তিনিই চিঠি লিখেছেন। কিন্তু ইংরেজি লেখা চিঠি নিয়ে মেয়েদের এ দাবি বিশ্বাস হচ্ছে না বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কর্তাদের। তাদের কথা সভাপতি তাবিথ তো বাংলা বোঝেন, তাহলে তার কাছে যে চিঠি গেছে, সেটা ইংরেজিতে কেন? ঘটনাগুলো যেহেতু বাফুফের অভ্যন্তরীণ, অন্য কোনো দেশে ঘটেনি, সে হিসেবে ইংরেজিতে লেখার প্রশ্নই ওঠে না বলে মেয়েদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় উপস্থিত থাকা একটি সূত্র সমকালকে জানিয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে গতকাল সাফজয়ী দলের অন্যতম খেলোয়াড় জাপানি বংশোদ্ভূত মাতসুশিমা সুমাইয়া জানালেন ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা! বেশ কিছু দিন ধরেই ধর্ষণ আর মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাকে। যার কথা ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে তিনি তুলে ধরেছেন।

সমকালকে সুমাইয়া জানান, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আমি এই হুমকিগুলো পাচ্ছি। আমার যে পেজ আছে, সেখানে অনবরত বাজে কমেন্টস করা হচ্ছে। আমার এই স্ট্যাটাসের পর অনেক কমেন্টস ডিলিট করে দিয়েছে। যখন থেকে এই বিষয়গুলো (মেয়েদের আন্দোলন) সামনে এসেছে, তখন থেকেই হুমকি পাচ্ছি।

সুমাইয়ার মতে, হুমকি পাওয়ার কারণ কোচের বিপক্ষে চিঠি দেওয়া নিয়ে। এটি নিয়ে বাজে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়ার কোথাও জানান সুমাইয়া। সমকালকে তিনি বলেন, যা সত্যি, সেটাই আমরা চিঠিতে লিখেছি। আমরা তো বাড়তি কিছু লিখিনি কিংবা বানোয়াট কিছু লিখিনি। তদন্ত কমিটির কাছে বলেছি, চিঠিটি আমি লিখেছি। আমরা ১৮ জন মিলে যে ফাইট করছি, আমি ওদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত থাকতে চাই। আমাদের একটিই চাওয়া– কোচ (বাটলার) পরিবর্তন করা হোক। মানসিক যন্ত্রণা আমরা আর নিতে পারছি না। ফুটবলে শুধু ট্রেনিং, ট্যাকটিকস এগুলোই নয়; একটা প্লেয়ারের ভালো পারফরম্যান্সের জন্য মানসিক শান্তিটা প্রয়োজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ