সিলেটে হত্যা মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও সাবের এ মন্ত্রীকে আরো ৩ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাকে সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তুলে পুলিশ গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করে। 

সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অ্যাসিস্টান্ট পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আলী হায়দার ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

এর আগে, গত বছরের ২০ অক্টোবর রাজধানীর বনানী থেকে পল্টন থানার একটি মামলায় ইমরান আহমদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আদালত সূত্র জানায়, শেখ হাসিনা পতনের আন্দোলনে সিলেট মহানগরের কিনব্রিজ এলাকায় ছাত্র জনতার ওপর হামলা করা হয়। এতে পঙ্কজ নামের এক ছাত্র মারা যান। ৫ আগস্টের পর এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ৭ নম্বর আসামি করা হয় সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদকে। 

বুধবার সকালে তাকে আদালতে তুলে সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। পাশাপাশি আদালতে তার পক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদনও করেন। তবে বিজ্ঞ বিচারক সেটি নামঞ্জুর করেন। এছাড়া গোয়াইনঘাটের আরো দুইটি মামলায় আজ পৃথক দুটি আদালতে সাবেক এই মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে একটি ট্রিপল হত্যা মামলা রয়েছে। 

আইনজীবীরা জানান, দুটি গুরুতর হত্যা মামলার জামিন না মঞ্জুর হওয়ায় ইমরান আহমদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, সিলেট-৪ আসনের পাঁচবার সংসদ সদস্য ছিলেন ইমরান আহমদ। ২০১৮ সালে তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। পরের বছর তাকে এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করেছিলেন শেখ হাসিনা। গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর গঠিত শেখ হাসিনার সরকারেও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী হয়েছিলেন ইমরান আহমদ।

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ট ব য ক চ কর র স য গ মন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

আদালতে নিজ আইনজীবীর ওপরে ক্ষোভ ঝাড়লেন হাজী সেলিম 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত তাকে শুনানি শেষে গ্রেপ্তার দেখান। শুনানির সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি আইনজীবীর ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন। ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতেও অস্বীকৃতি জানান তিনি। পরে আইনজীবী তাকে বুঝিয়ে স্বাক্ষর করান।

এ বিষয়ে তার আইনজীবী প্রাণ নাথ বলেন, ‘আমার মক্কেল কথা বলতে পারেন না। কারাগারে খাবার খেতে পারেন না। কাউকে কোনো কিছু বোঝাতে পারেন না। এই অভিমানে আমার ওপর রেগে গিয়েছিলেন। এজন্য তিনি ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতে চাচ্ছিলেন না। বোঝানোর পর তিনি স্বাক্ষর করেন।’ 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ২১ জুলাই দুপুর আড়াইটায় যাত্রাবাড়ী থানাধীন ফুটওভার ব্রিজ নিচে ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন সাজেদুর রহমান ওমর। বিকেলে আসামিদের আক্রমণে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ আগস্ট মারা যান ওমর। এ ঘটনায় গত ৩ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেটে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
  • সেনাবাহিনীর জন্য আলোচনার দরজা কখনো বন্ধ হয়নি: ইমরান খান
  • এবারের শোভাযাত্রা সর্ববৃহৎ ও জাঁকজমকপূর্ণ হবে: চারুকলা
  • ঢাবিতে অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত
  • আদালতে নিজ আইনজীবীর ওপরে ক্ষোভ ঝাড়লেন হাজী সেলিম 
  • শহীদ অধ্যাপক ডা. শামসুদ্দিন আহমদ: আমাদের ঐতিহ্যে
  • আগামী শনিবার ঢাকার সড়কে ‘মার্চ ফর গাজা’
  • প্রথমবারের মতো স্প্রিং স্কুলের আয়োজন করেছে ঢাবি
  • ভাঙচুর-লুটপাটে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা লক্ষণীয়: সালাহ উদ্দিন
  • বিপন্ন কাছিম রক্ষায় বন্ধ্যা করা হচ্ছে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের ৩ হাজার কুকুরকে