রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার খেঁজুরতলা এলাকা থেকে আজ বুধবার একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৬০ বছর। পুলিশ তাঁর নাম–পরিচয় এখনো শনাক্ত করতে পারেনি। আজ সকালে খেঁজুরতলা এলাকার সাফিনা পার্কের পাশে তাঁর মরদেহ পড়েছিল।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ ভোরে স্থানীয় লোকজন ওই ব্যক্তির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাঁরা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। ওই ব্যক্তিকে এলাকায় দুই দিন আগে থেকে দেখা যাচ্ছে।

গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, মরদেহ পড়ে আছে, এই খবর পেয়ে তাঁরা গিয়ে তা উদ্ধার করেছেন। তাঁর নাম–পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।

ওসি মুহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে শুনেছেন যে ওই ব্যক্তি দুই আগে থেকে এই এলাকায় থাকছেন। লোকজন যা দিতেন, তাই খেতেন। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। তাঁর মরদেহ স্বজনদের কাছে দেওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকবেন তাঁরা। যদি না পাওয়া যায়, তবে আইন অনুযায়ী তা আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামকে দাফনের জন্য দেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

কুমেক হাসপাতালের ৫ তলা থেকে পড়ে রোগীর মৃত্যু

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (কুমেক) সার্জারি বিভাগের পঞ্চম তলার বারান্দার বেড থেকে নিচে পড়ে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ওই রোগীর নাম গনি মিয়া (৫০)। তিনি জেলার আদর্শ সদর উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা। 

শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

গনি মিয়ার স্ত্রী কোহিনুর বেগম জানান, হাতের সমস্যায় এক সপ্তাহ আগে স্বামী নিয়ে হাসপাতালে  আসি। অপারেশন করার পর অনেক চেষ্টা করার পরও বেড না পেয়ে সার্জারি বিভাগের কর্মচারি (জমাদার) বিল্লাল হোসেনকে ৫০০ টাকার দিলে বারান্দায় দেয়ালের পাশে সিট দেওয়া হয়। যেখানে কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থা ছিল না। রাতে পাশে হেলান দিতে গিয়ে নিচে পড়ে তিনি (স্বামী) মারা যান। নিচতলায় থাকা হাসপাতালের কর্মচারিরা বলেন, রাতে হঠাৎ তারা একটি বিকট শব্দ শোনার পর  সেখানে ওই ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় যায়। জরুরি বিভাগে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এদিকে এ ঘটনার পর হাসপাতালের লোকজন রোগীর বেডটি সরিয়ে নেন। বিল্লাল হোসেনও সটকে পড়েন।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনা শুনেছি, তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। 

হাসপাতালের উপ-পরিচালক পরিচালক ডা. মোহাম্মদ শাহজাহান আজ শনিবার সমকালকে বলেন,  প্রতিদিন ৫০০ শয্যার এ হাসপাতালে দ্বিগুণ রোগী ভর্তি থাকেন। এতে বারান্দা ও ফ্লোরেও এক্সটা বেড দিতে হয়। কিন্ত বারান্দায় রোগীর স্বজনদের সামনে তার নিচে পড়ে গিয়ে মারা যাওয়ার বিষয়টি দু:খজনক। এ বিষয়ে ভবিষ্যতে আমরা আরও সতর্ক থাকবো এবং বারান্দা সুরক্ষিত করা হবে। জমাদার বিল্লাল কর্তৃক রোগীর স্বজনদের নিকট থেকে টাকা নিয়ে বেড দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুমেক হাসপাতালের ৫ তলা থেকে পড়ে রোগীর মৃত্যু