মানুষের অর্জন উদ্‌যাপনের। তবে বিপদের সময় সেই আনন্দস্মৃতিই যেন বোঝা হয়ে যায়। এখন এমনই এক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন কাঠমিস্ত্রি নারায়ণ চন্দ্র হালদার।

ঝালকাঠি শহরে মানুষকে বই পড়ানোর জন্য নারায়ণ পরিচিতি পেয়েছেন। সুবচন শুনেছেন অনেকের। তাঁকে নিয়ে গণমাধ্যম প্রতিবেদনও করেছে।

তিল তিল করে গ্রন্থাগার গড়ে নারায়ণ সত্যি এক বড় অর্জনের অধিকারী হয়েছেন। ২০টি থেকে এখন তাঁর গ্রন্থাগারে প্রায় ৯ হাজার বই আছে। তিনি তৈরি করেছেন অগুনতি পাঠক।

এসবই নারায়ণ করেছেন গত প্রায় দুই যুগের চেষ্টায়। তবে এখন তাঁর গ্রন্থাগারটি সরিয়ে নিতে হচ্ছে। এ অবস্থায় বইয়ের বোঝার সঙ্গে যোগ হচ্ছে গত দুই যুগের শ্রম, ত্যাগ, স্বপ্ন ও স্মৃতির ওজন। আর সেসব বহন করতে হচ্ছে একা নারায়ণকেই।

নারায়ণ চন্দ্র হালদারের গড়া গ্রন্থাগারে নানা শ্রেণির পাঠকেরা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

লিফলেট বিতরণ না করতে অনুরোধ, আ.লীগের হাতুড়িপেটায় আহত স্বেচ্ছাসেবক দলের ৫

নড়াইলের লোহাগড়ায় লিফলেট বিতরণ করছিলেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। লিফলেট বিতরণ না করতে অনুরোধ করায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের হাতুড়ি, লোহার রড দিয়ে পিটিয়েছেন তারা। এ ঘটনায় পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক এসকে মিন্টুসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

গতকাল মঙ্গলবার রাতে পৌর সভার চোরখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আজ বুধবার মিন্টুর চাচা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এজাহারভুক্ত দুজনকে আটক করেছে।

আহত এসকে মিন্টু বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জানতে পারি চোরখালী এলাকায় আনিস মোল্যার চায়ের দোকানে আওয়ামী লীগের কর্মীরা লিফলেট বিতরণ করছেন। বিষয়টি জানার পর বিএনপির কর্মীদের নিয়ে আনিসের দোকানে গিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীদেরকে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করি। এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি না করার আহবান জানাই। এ সময় আওয়ামী লীগের কর্মীরা আমাদের সঙ্গে তর্ক শুরু করেন। একপর্যায়ে চোরখালী গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী মনিরুজ্জামান মনির নেতৃত্বে আক্কাস ফকির, ইদ্রিস সরদার, রবিউল মল্লিক, ইব্রাহিম মোল্যা, আনিস মোল্যা, ঝন্টু ফকিরসহ ২৫-৩০ জন হাতুড়ি, লোহার রড, রামদা, লাঠি নিয়ে হামলা চালান। এতে আমিসহ পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ঝন্টু মিয়া, বিএনপি কর্মী হাফিজুর রহমান, বাবলু শেখ, দোলেনা বেগমকে পিটিয়ে গুরুতর আহত হয়েছি।’
 
লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী সুলতানুজ্জামান সেলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন,  হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাই। 

লোহাগড়া থানার ওসি আশিকুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় চোরখালী গ্রামের আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে ২৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয়ে কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামি আক্কাস ফকির ও ঝন্টু ফকিরকে আটক করেছে। অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ