পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সাংবাদিক ও যুবদল নেতা জহিরুল ইসলামকে (মিরন) কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কুয়াকাটা পৌরসভার তুলাতলী এলাকার নিজ বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

জহিরুল ইসলাম বেসরকারি টিভি চ্যানেল বাংলাভিশনের কলাপাড়া প্রতিনিধি। তিনি কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়া তিনি বিএনপির স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বর্তমানে তিনি কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সদস্যসচিব। এ ছাড়া জহিরুল ইসলাম কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক।

আহত জহিরুলের বাবা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘মিরন (জহিরুল) গতকাল রাতে ঢাকা থেকে এসেছে। মাইক্রোবাস থেকে নেমে সে বাড়িতে প্রবেশ করছিল। তখন রাত সাড়ে ১২টা। আমাকে ডেকে মিরন যখন বাড়িতে প্রবেশ করতে থাকে, ঠিক ওই সময় বাড়ির পাশে লুকিয়ে থাকা দুর্বৃত্তরা দৌড়ে এসে মিরনের ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। চারজন হামলাকারী মিরনকে কোপাতে থাকে। তাদের হাতে রামদা ও বটি ছিল। আমার মনে হয়েছে, হামলাকারীরা দলে আরও বেশি ছিল।’

পরে আহত জহিরুলকে উদ্ধার করে প্রথমে কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে গতকাল রাতেই জহিরুলকে বরিশালের শের–ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে হাবিবুর রহমান বলেন, জহিরুলের হাতের কনুইয়ের ওপরের অংশ কেটে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ ছাড়া ডান হাতের কবজি বরাবর ক্ষত হয়েছে। রামদার কোপে মাথা, পেটসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ জখম হয়েছে।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, হামলার ঘটনা শোনার পর গতকাল রাত থেকেই পুলিশ জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে মাঠে নেমেছে। ওই এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল ইসল ম গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

এবার মার্কিন পণ্যে ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ চীনের

মার্কিন পণ্যের উপর ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে চীন। বৃহস্পতিবার থেকে এ শুল্ক কার্যকর হবে। 

এর আগে চীন মার্কিন পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল।

বুধবার থেকে চীনা আমদানির উপর ১০৪ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন পণ্যের ওপরেও শুল্ক হার বাড়ালো চীন। পাল্টাপাল্টি এই শুল্ক বৃদ্ধি বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে চলমান বাণিজ্য সংঘাতকে আরো তীব্র করে তুলেছে।

সোমবার ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে আমেরিকান পণ্যের উপর ৩৪ শতাংশ প্রতিশোধমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় আরো কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বেইজিংকে। তবে বেইজিং ট্রাম্পের এই হুমকিকে উপেক্ষা করেছে। এর পরেই  চীনের ওয়াশিংটন চীনা আমদানির উপর নজিরবিহীনভাবে ১০৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধি বিপরীতমুখী। এর মাধ্যমে বোঝা গেছে, বেইজিংয়ের ‘প্রয়োজনীয় পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ এবং শেষ পর্যন্ত লড়াই করার দৃঢ় ইচ্ছা ও প্রচুর উপায় রয়েছে।’

মন্ত্রণালয় বলেছে, “ইতিহাস ও তথ্য প্রমাণ রয়েছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধি তার নিজস্ব সমস্যার সমাধান করবে না। এর পরিবর্তে, এটি আর্থিক বাজারে অস্থিরতা তৈরি করবে, মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির চাপ বাড়িয়ে দেবে, মার্কিন শিল্প ভিত্তিকে দুর্বল করবে এবং মার্কিন অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি বাড়াবে, যা শেষ পর্যন্ত কেবল নিজের উপরই আঘাত হানবে।”
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ