নোয়াখালীতে থানায় সালিশ বৈঠকে মারামারি-ভাঙচুর, আটক ৬
Published: 5th, February 2025 GMT
নোয়াখালীর সেনবাগ থানার গোলঘরে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধে সালিস বৈঠকে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ৬ জনকে আটক করেছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে সেনবাগ থানা চত্ত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. আবু তালেবের সাথে তার চাচাতো ভাইদের পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ মীমাংসার জন্য মঙ্গলবার সেনবাগ থানা গোলঘরে সালিসি বৈঠকে বসেন দায়িত্বপ্রাপ্ত থানার একজন কর্মকর্তা। বৈঠকে উভয়পক্ষের সালিসদারেরাও উপস্থিত ছিলেন। সালিস বৈঠক চলাকালে বিবাদমান দুইপক্ষ বাগবিতণ্ডায় লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে একপক্ষ অপরপক্ষের সাথে হাতাহাতি ও মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় তারা থানার গোলাঘরের কাঁচ ভাঙচুর করেন।
পুলিশ সুপার আবদুল্লা আল ফারুক বলেন, “বাড়ির রাস্তা নিয়ে বিরোধ মীমাংসার জন্য দুই পক্ষকে নিয়ে থানার গোলঘরে সালিশ বৈঠকে বসা হয়েছিল। বৈঠকে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এক পক্ষ অপর পক্ষকে ধাক্কা দেয়। এতে গোলঘরের কাঁচ ভেঙে যায়।”
এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
সেনবাগ থানার ওসি এসএম মিজানুর রহমান বলেন, “এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আটক ৬ জনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হবে।”
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ট ব য ক চ কর র স য গ গ লঘর এ ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
রণক্ষেত্র রণভূমি, ১৮ গুলিবিদ্ধসহ আহত ৩০
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে জমি নিয়ে বিরোধে দু'পক্ষের সংঘর্ষে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৮ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। রোববার সকালে দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের রণভূমি গ্রাম রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল।
স্থানীয়রা জানায়, সকাল ১০টা থেকে রামদা, টেঁটা, চাইনিজ কুড়ালসহ নানা জাতের দেশীয় অস্ত্রসহ মুখোমুখি অবস্থান নেয় গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান চৌধুরী ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস সালামের লোকজন। সেই সঙ্গে ছিল একই গ্রামের প্রভাবশালী আশিক মিয়া ও শফিক চৌধুরীর লোকজন।
কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। কিছুক্ষণ সংঘর্ষ চলার পর শোনা যায় গুলির আওয়াজ। পাইপগান হাতেও দেখা যায় কয়েকজনকে। এসময় গুলিবিদ্ধ হন আশিক মিয়ার পক্ষের অন্তত ১৮ জন। এছাড়াও ইটপাটকেল ও লাঠিসোটার আঘাতে উভয়পক্ষের আরও ১০-১২ জন আহত হন।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- মাদ্রাসা ছাত্র মুন্না ও বিজয় ইসলাম, আমিরুল, মোজ্জাকির, তুফায়েল মিয়া, মরম মিয়া, ছাতির মিয়া, মাসুম আহমেদ, জাহিদ আলম, জয় ইসলাম, শাকিবুল, পাবেল মিয়া, শাহরুখ খান, মো. মোজাহিদ, শাহ আলম মিয়া, বারেক চৌধুরী রুবেল, টিপু মিয়া ও আব্দুস সাত্তার। এদের মধ্যে গুরুতর আহতদের দিরাই হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
দিরাই হাসপাতালের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার পিন্টু দাস জানান, আহতদের শরীরে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। এক্সরে করার পর এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
দিরাই থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ ছিল। থানায় মামলাও আছে দুই পক্ষের লোকজনের। দুইদিন আগে সরকারি খাস জায়গার পাশে ব্যক্তিগত জায়গা বিক্রয় নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। এর জেরে রোববার সংঘর্ষে জড়ান তারা। সংঘর্ষের পর পুরো গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে গেছে। পুলিশ অপরাধীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।