আইএলওর মানদণ্ডে উন্নীত করতে শ্রম আইনের সংস্কার হচ্ছে: ড. ইউনূস
Published: 5th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
দেশের বিদ্যমান শ্রম আইনকে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মানদণ্ডে উন্নীত করতে এর সংস্কার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশের কল কারখানায় শ্রমিক নিরাপত্তার উন্নয়নে কাজ করা সংগঠন ‘নিরাপন’ এর নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা নিরাপন কর্মকর্তাদের বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশের শ্রম আইনকে আইএলওর মানদণ্ডে নিয়ে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ শ্রম সংস্কার বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, আমরা এরইমধ্যে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি, খুব শিগগিরই তার ফলাফল পাওয়া যাবে।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফী সিদ্দিকী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে শ্রমিক সংগঠন ও নির্মাতাদের সাথে একটি ১৮ দফা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা এ খাতে স্থিতিশীলতা এনেছে এবং পোশাক রপ্তানি বাড়াতে সাহায্য করেছে।
গার্মেন্টস শিল্পে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান নিরাপনের চেয়ারম্যান সাইমন সুলতানা। তিনি ছাড়াও প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন নিরাপনের স্বতন্ত্র পরিচালক তপন চৌধুরী। শীর্ষ পশ্চিমা ব্র্যান্ড এবং খুচরা বিক্রেতাদের প্রতিনিধিরাও সভায় যোগ দেন। অনুষ্ঠানে এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব প্রধান লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনও উপস্থিত ছিলেন।
এম জি
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
রাষ্ট্র কাঠামোর নানা পরতে বিদ্যমান ফ্যাসিবাদের ছায়া
গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটলেও রাষ্ট্র কাঠামোর নানা পরতে ফ্যাসিবাদের ছায়া বিদ্যমান বলে মনে করেন বিশিষ্টজন। তারা বলেছেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার যেসব নিবর্তনমূলক আইনের মাধ্যমে জনগণের ওপর শোষণ-পীড়নের ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করেছিল, সেসব আইন এখনও বলবৎ রয়েছে।
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো ১১৯ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম আকাঙ্ক্ষা ছিল মানুষের স্বাধীনতা খর্বকারী ও পীড়নমূলক সব আইন বিলোপের মধ্য দিয়ে মর্যাদা সংহত করা। কিন্তু ঘটছে উল্টো। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে সাইবার নিরাপত্তা আইনের নামে প্রতিস্থাপিত করে ফ্যাসিবাদী জমানার পীড়ন ব্যবস্থা অক্ষুণ্ন রাখা হয়েছে। যার মধ্য দিয়ে সামাজিক ফ্যাসিবাদের বিকাশের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। বিদ্যমান এসব আইনের সুযোগ নিয়ে মুক্তিকামী নাগরিকদের ওপর আইনি পীড়ন এবং গোষ্ঠীবদ্ধ উষ্মার সুযোগ পাচ্ছে বিভিন্ন কায়েমি গোষ্ঠী ও ব্যক্তি।
এতে বলা হয়, সম্প্রতি লেখক-সংগঠক রাখাল রাহা ও নাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’-এর অভিযোগে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। কবি সোহেল হাসান গালিব একই আইনে গ্রেপ্তার হয়ে জেল খাটছেন। গোষ্ঠীবদ্ধ উষ্মা উৎপাদনের মধ্য দিয়ে তাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলা হচ্ছে। এটি কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক সমাজে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। রাখাল রাহা ও নাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের পাশাপাশি নিবর্তনমূলক আইনকে সম্পূর্ণ বিলোপের দাবি জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
বিশিষ্ট নাগরিকরা মনে করেন, ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহিষ্ণুতার সংস্কৃতিকে জলাঞ্জলি দিয়ে কোনোভাবেই দেশে স্থিতিশীল রাজনৈতিক বন্দোবস্ত কায়েম হতে পারে না। আর রাষ্ট্রও এমন কোনো আইন জারি রাখতে পারে না, যা ভিন্নমত দমনে ব্যবহৃত হয়, অসহিষ্ণুতাকে উৎসাহিত করে।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন আনু মুহাম্মদ, সংগীতশিল্পী কফিল আহমেদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত কাইয়ুম, আইনজীবী সারা হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুমন সাজ্জাদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আ আল মামুন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আর রাজী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিনা লুৎফা, আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত প্রমুখ।