শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় সব আসামি খালাস
Published: 5th, February 2025 GMT
তিন দশক আগে পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ফাঁসির ৯ আসামিসহ সাজাপ্রাপ্ত সবাইকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম ও বিচারপতি হামিদুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান ও অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ।
গত ৩০ জানুয়ারি এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষ হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে খুলনা থেকে সৈয়দপুরে যাচ্ছিলেন। পথে সভা করার কথা থাকলেও বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুর নেতৃত্বে অন্যরা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঈশ্বরদী স্টেশন এলাকায় ট্রেনে গুলি ও বোমাবর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় ঈশ্বরদী জিআরপি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই দিনই একটি মামলা করেন। মামলাটির তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল ৫২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। আসামিদের মধ্যে পাঁচ জন মারা গেলে তাদের চার্জশিট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২০১৯ সালে ৩ জুলাই জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। সেই সঙ্গে ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। খালাস চেয়ে আপিল করেন আসামিরা।
ঢাকা/মামুন/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ট ব য ক চ কর র স য গ
এছাড়াও পড়ুন:
ভুট্টা ক্ষেতে পড়ে ছিল যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ
নাটোর সদরের বড় হরিশপুর ইউনিয়নের নারায়ণকান্দি এলাকার ভেদরার বিল থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে ওই এলাকার একটি ভুট্টা ক্ষেতে মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
নাটোর সদর থানার ওসি মাহবুর রহমান জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবর পেয়ে আজ সকালে শহরতলীর নারায়ণকান্দি এলাকার ভুট্টা ক্ষেতের মধ্যে থেকে ওই অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহের মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ওসি বলেন, প্রাথমিকভাবে এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকণ্ড বলেই মনে হচ্ছে। মরদেহের পরিচয় শনাক্তের পর এবং মামলা দায়েরের পর তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য। অধিকতর তদন্তের স্বার্থে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।