দিল্লির ৭০টি বিধানসভা আসনের জন্য আজ বুধবার সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। খবর এনডিটিভির।

অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ কি পরপর তৃতীয়বার একার ক্ষমতায় দিল্লিতে সরকার গঠন করতে পারবে, নাকি নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহদের চেষ্টা সফল হবে এবং দিল্লি বিধানসভায় আবার বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে? কংগ্রেস কি অন্তত একটা আসন পাবে? এই সিদ্ধান্ত দিল্লির ১ কোটি ৫৬ লাখ ১৪ হাজার ভোটার নেবেন। ফলাফল জানা যাবে ৮ ফেব্রুয়ারি।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, মোট ১৩,৭৬৬টি বুথে হচ্ছে ভোটগ্রহণ। দিল্লিতে আপ, কংগ্রেস এবং মায়াবতীর বিএসপি (বহুজন সমাজ পার্টি) ৭০টি আসনেই লড়ছে। অন্যদিকে, বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে ৬৮টি আসনে।

আরো পড়ুন:

৫০ মিনিটেই শেষ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট

মোদিকে হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের আমন্ত্রণ

একটি করে আসন ছেড়েছে এনডিএ’র দুই সহযোগী, জেডিইউ এবং এলজেপি (রামবিলাস)-কে। এছাড়া তিনটি বাম দল পৃথকভাবে আটটি আসনে লড়ছে। সিপিআই ছয়, সিপিএম দুই এবং সিপিআইএমএল লিবারেশন দু’টিতে।

সংখ্যালঘুপ্রধান দু’টি আসন, ওখলা এবং মুস্তাফাবাদে লড়ছে তেলঙ্গানার হায়দরাবাদের সংসদ সদস্য আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’। আলাদাভাবে ৩০টি আসনে লড়ছে বিজেপির সহযোগী অজিত পওয়ারের এনসিপি।

কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকলেও দিল্লির বিধানসভা বিজেপির অধরাই থেকে গেছে। গত দুই নির্বাচনে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ) ব্যাপক জয় পেয়েছিল। ২০২০ সালের ভোটে ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছিল আপ। বিজেপি জিতেছিল ৮টিতে। ১৫ বছর দিল্লির মসনদে থাকার পরও একটি আসনও জিততে পারেনি কংগ্রেস। এবারের ভোটে আপ-বিজেপি-কংগ্রেস, সকলেই নিজেদের মতো করে ময়দানে যুদ্ধ জেতার জন্য প্রস্তুত।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “দিল্লি বিধানসভায় আজ সমস্ত আসনে ভোট। দিল্লিবাসীর আছে আমার অনুরোধ, সকলে গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হোন, নিজের গুরুত্বপূর্ণ ভোট অবশ্যই দিন। যারা প্রথমবার ভোট দিতে যাচ্ছেন, তাদের সকলকে শুভেচ্ছা। মাথায় রাখবেন, আগে ভোটদান, তার পর পানিপান।”

দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। 

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ট ব য ক চ কর র স য গ গ রহণ

এছাড়াও পড়ুন:

দেশকে ৪ প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের

সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

দেশকে ৪টি প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী।

পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশকে ৪টি প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে আলাদা বিভাগ করার সুপারিশও করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ নিয়ে গ্রেটার সিটি ঢাকা ক্যাপিটাল সিটি গঠনের সুপারিশ করেছে কমিশন।

এছাড়া ইমিগ্রেশনের জন্য পুলিশের আলাদা ইউনিট গঠনের সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। পাবলিক সার্ভিস পৃথক করে তিনটি পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠনের প্রস্তাবও করা হয়েছে।

এদিন বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমানও প্রধান উপদেষ্টার কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছেন।

এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিচার বিভাগ কোনো দিনও স্বাধীন ছিল না, তাই কমিশন পুরোপুরি স্বাধীন করার প্রস্তাব দিয়েছে। স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস নিয়োগের সুপারিশ করেছে কমিশন। এছাড়া স্বতন্ত্র তদন্ত সংস্থা গঠনের সুপারিশ করেছে বিচার সংস্কার কমিশন। পুলিশী তদন্ত অনেক সময় রাজনৈতিক হয়ে থাকে এজন্য এটা দরকার বলে জানানো হয়।

ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট উপজেলা পর্যন্ত নেয়ার সুপারিশ, আর বিভাগীয় পর্যায়ে সুপ্রিম কোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ নিয়ে যাওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।

কমিশনগুলোর প্রস্তাবনা নিয়ে সবার সঙ্গে আলাপ করে প্রাইরোটি বেসিসে কিছু প্রস্তাবনাকে একত্রিত করা হবে যেখানে সব পক্ষের স্বাক্ষর থাকবে সেটার নাম হবে জুলাই চার্টার। এই জুলাই চার্টাররের কতটুকু বাস্তবায়ন করতে চায় রাজনৈতিক দলগুলো তার উপর নির্ভর করছে নির্বাচন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপ–প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর।

 বিএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ